রাধিকা পূজা:
Thursday, April 27, 2023
শ্রীরাধিকাজীই শ্রীকৃষ্ণের আরাধিকা:
শ্রীরাধিকাজীই শ্রীকৃষ্ণের আরাধিকা:
Wednesday, April 26, 2023
হ্লাদিনী:
হ্লাদিনী শক্তি:
অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে হ্লাদিনী আর হ্রাদিনী আলাদা সেজন্য কাম্মীরী মাহাত্ম্য থেকে একটা রেফারেন্স দিলাম যেখানে হ্রাদিনী ও হ্লাদিনী একই অর্থে দেখানো হয়েছে।
হ্লাদিনী মুরগী আর হ্রাদিনী মোরগ
.........১৬৪নং শ্লোক, কাশ্মিরী মাহাত্ম্য(নীলমাতা পুরান)
আসুন আমরা দেখে নেই অগ্নিপুরান কি বলে,
প্রথম স্ক্রীণশটে হ্লাদিন্যে নম: ও ২য় স্ক্রিনশটে হ্লাদিনী(স্ত্রীলিঙ্গ) দেখানো হয়েছে।
...................... ১৭৮ ও ৩৬০অধ্যায়, অগ্নিপুরান।
আমরা দেখতে পাই যে শাস্ত্রে বর্ণিত নদীগুলি কোনো শক্তির দেবীর নাম অনুসারে হয়েছে।
হ্রাদিনী নদী
..............১৪-১৬নং শ্লোক, অধ্যায় ১২, অনুসঙ্গ পর্ব, ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ।
স প্রাঙ্মুখো রাজগৃহাদভিনির্যায় বীর্যবান্।
ততঃ সুদামাং দ্যুতিমান্ সংতীর্যাবেক্ষ্য তাং নদীম্।
হ্রাদিনীং দূরপারাংচ প্রত্যক্ স্ত্রোতস্তরঙ্গিণীম্।
শতদ্রুমতরচ্ছ্রীমান্নদীমিক্ষ্বকুকুনন্দনঃ।।
অনুবাদঃ অতঃপর ইক্ষ্বাকুকুলনন্দন শ্রীমান বীর্যবান ও দীপ্তিমান ভরত রাজভবন থেকে পশ্চিমমুখে নির্গত হয়ে সুদামা নদী দেখতে পেলেন। সেই নদী পার হয়ে শ্রীমান দুরবিস্তৃত হ্লাদিনী নদী এবং পশ্চিমস্রোতা শতদ্রু নদী অতিক্রম করলেন।
…........ শ্লোক ১-২, সর্গ৭১, অযোধ্যা কাণ্ড, বাল্মিকী রামায়ণ।
হ্লাদিনী পাবনী চৈব নলিনী চ তথৈব চ।
তিস্রঃ প্রাচীং দিশং জগ্মুর্গঙ্গাঃ শিবজলাঃ শুভাঃ।
অনুবাদঃ হ্লাদিনী, পাবনী এবং নলিনী নামে তিনটি মঙ্গলময়ী কল্যাণসলিলা গঙ্গাস্রোতোধারা পূর্বদিকে প্রবাহিত হল।
............. শ্লোক ১২, সর্গ ৪৩, বালকাণ্ড, বাল্মিকী রামায়ণ।
হ্লাদিনী অর্থে রাধা বোঝায়:
দেবী কৃষ্ণময়ী প্রোক্তা রাধিকা পরদেবতা।
সর্ব্বলহ্মীস্বরুপা সা কৃষ্ণাহ্লাদস্বরুপিণী।
তত: সা প্রোচ্যতে বিপ্র হ্লাদিনীতি মনীষিভি:।
তৎকলাকোটিকোট্যংশা দুর্গাদ্যাস্ত্রিগুণাত্মিকা:
সা তু সাক্ষান্মহালহ্মী: কৃষ্ণো নারায়ণ: প্রভু:
নৈতয়োর্ব্বিদ্যতে ভেদঃ স্বল্পহপি মুনিসত্তম।
ইয়ং দূর্গা হরি রুদ্র: কৃষ্ণ: শক্র ইয়ং শচী
সাবিত্রীয়ং হরির্ব্রহ্মা ধুমোর্ণাসৌ যমো হরি:
অনুবাদঃ সর্বোৎকৃষ্ঠ ঈশ্বরী রাধিকা সরাসরি ঈশ্বর কৃষ্ণের প্রতিরুপ।তিনি ভাগ্যদেবীর প্রধান আকার। তিনিই কৃষ্ণের আনন্দ ও শক্তি। তিনি কৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি। দূর্গা এবং অন্যান্য দেবী তার তিন প্রকারে কোটি কোটি অংশ প্রকাশ তিনি সরাসরি মহালহ্মী এবং কৃষ্ণ ঈশ্বর নারায়ণ ও ঋষি শ্রেষ্ঠ, তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। তিনি দূর্গা এবং হরি রুদ্র, কৃষ্ণ ইন্দ্র এবং তিনি শচী। তিনি সাবিত্রী হরি ব্রহ্মা, তিনি ধুমর্ণা এবং হরি যম।
.............৫৩-৫৬নং শ্লোক,৮১অধ্যায়, পাতাল খণ্ড, পদ্মপুরাণ।
তাসাং নামানি বক্ষ্যামি পাপনাশকরাণি চ।
বিদ্যাহ্রীপুষ্টয়: প্রজ্ঞা নিসীবালী কুহূস্তথা।।৩১।।
রুদ্রা বীর্য্যা প্রভা নন্দা পোষণী র্ইদ্ধদা শুভা।
কালরাত্রির্ম্মহারাত্রির্ভদ্রকালী কপর্দ্দিনী।।৩২
বিকৃতির্দ্দণ্ডিমুণ্ডিন্যৌ সেন্দুখণ্ডা শিখণ্ডিনী।
নিশুম্ভশুম্ভমথিনী মহিষাসুরমর্দ্দিনী।।৩৩।।
ইন্দ্রাণী চৈব রুদ্রাণী শঙ্করার্দ্ধশরীরিণী।
নারী নারায়ণী চৈব ত্রিশূলিন্যপি পালিনী।
অম্বিকা হ্লাদিনী পশ্চদিত্যেবং শক্তয়: স্মৃতা:।।৩৪।।
যদ্যেতা: কুপিতা দেব্যস্তদা ব্রহ্মাণ্ডনাশনম্।
পরাজেয়ো ন চৈতাসাং কদাচিৎকচিদস্তি হি।।৩৫
...........৩১-৫১নং শ্লোক, অধ্যায় ১১, স্কন্দ ১২, দেবী ভাগবত পুরান।
দেবী কৃষ্ণময়ী প্রোক্তা রাধিকা পরদেবতা।
সর্ব্বলহ্মীস্বরুপা সা কৃষ্ণাহ্লাদস্বরুপিণী।৭২।
অনুবাদঃ সর্বলহ্মীস্বরুপা রাধিকাই কৃষ্ণের আহ্লাদরুপিণী।
তত: সা প্রোচ্যতে বিপ্র হ্লাদিনীতি মনীষিভি:।।৭৩।
অনুবাদ: তিনি কৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি।
হ্লাদিনী-য-মহা-শক্তি: সর্ব-শক্তি-বরিয়সী
তত্-সার-ভাব-রুপা শ্রী রাধিকা পরিকীর্তিতা।। ২৯৮
অনুবাদ: হ্লাদিনী রাধিকা মহাশক্তি সর্বশক্তি।
……………… ৭২,৭৩,২৯৮নং শ্লোক, সনত কুমার সংহিতা