সম্ভুতি- অসম্ভূতি:
অন্ধং তম: প্রবিশন্তি যেহসংভূতিমুপাসতে। ততো ভুয় ইব তমো য উ সম্ভূত্যাং রতা:।।
অনুবাদ: যে ব্যাক্তি কেবল অসম্ভূতি (বিনাশ) কী উপাসনা করে (ঐ প্রবৃত্তিতেই থাকে) উনি ঘোর অন্ধকার(অজ্ঞাত) মে ডুবে যায়। আর যে কেবল সম্ভূতি(সংঘটন-সৃজন) এর উপসসনা করে উনিও ঐ প্রকারে অন্ধকারে ফেসে যায়।
................. শুক্ল যজুর্বেদ ৪০/৯
সম্ভুতি ও অসম্ভুতি এর ব্যাখ্যা ঋষি অরবিন্দের ব্যাখ্যাঃ
আত্মার দুইটি অবস্থা রয়েছে। একটা সর্বগত আরেকটি সর্বাতীত। আত্মার এই দুইটি অবস্থা আছে বলিয়াই মানবীয় চেতন সত্তার দুইটি ভাব দৃষ্ট হয়। একটি জন্ম বা সম্ভুতি আরেকটি অজন্ম বা অসম্ভুতি। মানুষ জন্মের বিক্ষুব্ধ অবস্থা হইতেই যাত্রা করে এবং ক্রমে সে এই গতি হইতে মুক্ত হইয়া চেতন সত্তার যে নিষ্ক্রিয় শান্ত অবস্থা তাহাতেই পৌছায়-ইহাই অসম্ভুতি। প্রকৃতিতে জন্মের গ্রন্থি হইতেছে অহংজ্ঞান। এই অহংজ্ঞান বিনস্ট হইলে মানুষ অসম্ভুতি অবস্থা প্রাপ্ত হয়। এই কারনে অসম্ভুতিকে বলা হয়েছে বিনাশ।
শ্রীপাদ রামানুজাচার্য এর ব্যাখ্যায় বলেছেন,
সম্ভূতি শব্দের অর্থ সমাধি। সমাধি লাভ করিতে হইলে মান, দম্ভ, হিংসা প্রভৃতি যে সকল বস্তু বর্জ্জন করিতে হয় সেই সকল নিষিদ্ধ বস্তু হইতে নিবৃত্তির নাম অসম্ভূতি। যাহারা কেবল মাত্র এই সকল নিষিদ্ধ বস্তু বর্জ্জন করিবার সাধনা করিয়া থাকে তাহারা মোক্ষলাভ করিতে পারে না, অজ্ঞানে নিমগ্ন থাকে। আবার যাহারা এই সকল নিষিদ্ধ বস্তু ত্যাগ না করিয়া কেবল সমাধির সাধনা করে তাহারা আরও অন্ধকারে যায়।
No comments:
Post a Comment