অনুবাদ: সুত জি বললেন, হে বিপ্রগণ! যুগোলসহস্র শ্রবণ জেনে শ্রেষ্ঠ নারদ গ্রহণ করেছেন। দেবর্ষি নারদ বলেন, হে ব্রাহ্মণ! আপনি মন্ত্র বিধি কি বলা। আপনি কৃষ্ণ মন্ত্রো কি মহান ভৈবব বলেছেন। রাধা দেবি সকলের আরধ্য বলেছেন, ওনার অংশাবতারের চরিত্র ওনার মন্ত্রের সহিত তন্ত্রোক্ত প্রকারে বলেন।
শৃণু নারদ বক্ষ্যামি রাধাংশানাং সমুদ্ভবম্।।৯।।
শক্তিনাং পরমাশ্চর্য মন্ত্রসাধনপূর্ববম্।
য়া তু রাধা ময়া প্রোক্তা কৃষ্ণাদ্ধণ্ডিসমুদ্ভবা।।১০।।
গোলোকবাসিনী সা তু নিত্যা কৃষ্ণসহায়িণি।
তেজোমণ্ডলমধ্যস্থা দৃহ্যদৃহ্যস্বরুপিণী।।১১।।
কদাচিত্তু তয়া সাদ্ধে স্থিতস্য মুনিসত্তম।
কৃষ্ণাস্য বামভাগাত্তু জাতো নারায়ণ: স্বয়ম্।।১২।।
রাধিকায়াশ্চ বামাঙ্গান্মহালহ্মীর্বভূব হ।
তত: কৃষ্ণো মহালহ্মীং দত্ত্বা নারায়ণায় চ।।১৩।।
ছবিটি নারদ পুরানের মতিলাল বানারসিদাস ইংরেজি ভাষ্যের
অনুবাদ: দেবর্ষি সনতকুমার বলেন, হে নারদ! এখন রাধার অংশের বর্ণনাকরছি। মন্ত্র সাধনের সঙ্গে এই শক্তির পরমাশ্বৈর্য্য বৃত্তান্ত শুনো রাধার কৃষ্ণের অর্ধাঙ্গ থেকে সমুদ্ভব যিনি গোলোকে নিবাস করেন এবং নিত্য কৃষ্ণকে সহায়তা করেন। ওটা তেজো মন্ডলের মধ্যে অবস্থিত। উনি ওখানে অদৃশ্যরুপে বিভাজিত। হে মুনিবর! কখনো রাধার সহিত কৃষ্ণের অর্ধভাগ থেকে স্বয়ং নারায়ন উৎপন্ন হন অন্যদিকে রাধার বামাঙ্গ থেকে মহালহ্মী আবির্ভূত হন। তখন কৃষ্ণ নারায়নকে মহালহ্মী প্রদান করেন।
No comments:
Post a Comment