জয় রাধামাধব
অনেকে বলতে থাকেন কৃষ্ণ দ্বাফর যুগের তাহলে বেদে কৃষ্ণ কি করে আসবে? এমনকি তারা এটাও বলেন গীতা মহাভারতের অংশ।
কৃষ্ণ ও তার মুখনিস্মৃত গীতা যদি শুধু দ্বাফরের হয়ে থাকে তাহলে গীতাকে মিথ্যা বলতে হবে কারন গীতায় বলা হয়েছে এই জ্ঞাণ আমি (কৃষ্ণ) প্রথমে বিবস্বানকে দিয়েছিলাম পরে তাহা তার পুত্র মনুকে দেওয়া হয়।
শ্রীভগবানুবাচ –
ইমং বিবস্বতে যোগং প্রোক্তবানহমব্যয়ম্।
বিবস্বান্ মনবে প্রাহ মনুরিক্ষ্বাকবেহব্রবীৎ।।
অর্থঃ-(১) শ্রীভগবান্ বলিলেন – এই অব্যয় যোগ আমি সূর্য্যকে বলিয়াছিলাম। সূর্য্য (স্বপুত্র) মনুকে এবং মনু (স্বপুত্র) ইক্ষাকুকে ইহা বলিয়াছিলেন।
…………….. গীতা
৪/১
এই একটা শ্লোক দ্বারাই প্রমাণ হয় কৃষ্ণ ও
তার
গীতা দ্বাফরের পূর্বেও ছিলো। গীতার জ্ঞাণ মহাভারতের সময় পুনরায় প্রদান করা হয়। মানে গীতা
মহাভারতের অংশ বিশেষ নয়, অংশ বিশেষ বলাটা একটা অপপ্রচার/ভূল ধারনা
মাত্র।
এখানকার এই মনু সপ্তম মতান্তরের বৈবস্বত মনু। আশ্চর্য্যের বিষয় তাই না?
হুম আসলেও সেই রকম। এখন দেখা যাক
শান্ডিল্য ভক্তি সুত্রতে গীতার কথা বিদ্যমান। শান্ডিল্য ঋষিও শ্রুতি মন্ত্রের ঋষি।
সৈকান্তভাবো
গীতার্থ প্রত্যভিজ্ঞানাৎ।।৮৩।।
…… শান্ডিল্য ভক্তিসুত্র
এখন বলতেই পারেন যে শান্ডিল্য ভক্তি সুত্র প্রক্ষিপ্ত কারন আপনাদের নিকট সবই প্রক্ষিপ্ত যেমনটি আপনি নিজেই প্রক্ষিপ্ত। প্রক্ষিপ্ত ফন্ডিতগণের নিকট আরেকটি প্রমান দ্বাড় করিয়ে দিলাম সেটা হলো বাল্মীকি রামায়নে কৃষ্ণ। হুম চিন্তার বিষয়। এটাও দেখতে হলো আপনাদের।
বাল্মীকি রামায়নে কৃষ্ণ:
শার্ঙ্গধন্বা ঋষীকেশ: পুরুষ: পুরুষোত্তম:।
অজিত: খড়্গধৃগ বিষ্ণু: কৃষ্ণশ্চৈব বৃহদবল:।
অনুবাদ: আপনি শার্ঙ্গকার্মুকধারী, ঋষিকেশ(অর্থাৎ, ইন্দ্রীয়গামের প্রতু), বিশ্বব্রহ্মান্ডের সত্ত্বা, পুরুষোত্তম (সকলের শ্রেষ্ঠ), অজেয়, খড়গধারী বিষ্ণু এবং সর্বশক্তিমান শ্রীকৃষ্ণ।
…… ১৫/১১৭ স্বর্গ, যুদ্ধকান্ড, বাল্মিকী রামায়ণ
মাহেন্দ্রশ্চ কৃতো রাজা বলিং বদ্ধ্বা সুদারুণম্।
সীতা লহ্মীর্ভান্ বিষ্ণুর্দেব: কৃষ্ণ প্রজাপতি:২৭
অনুবাদ: আপনি অত্যন্ত পরাক্রমী দৈত্যরাজ বলিকে বন্দি করে দেবরাজ ইন্দ্রকে ত্রিভুবনের রাজা করিয়াছিলেন। সীতা সাক্ষাৎ লহ্মী এবং আপনি নারায়ণ। আপনি সচ্চিদানন্দস্বরুপ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং প্রজাপতি।
…… ২৭/১১৭ স্বর্গ, যুদ্ধকান্ড, বাল্মিকী রামায়ণ
এগুলি থেকে স্পস্টই প্রমাণিত হয় কৃষ্ণ ও গীতার অস্তিত্ব
পূর্বেও ছিলো।
এখন অবতারবাদ সম্পর্কে কিছু ধারনা নেওয়া যাক
প্রজাপতিশ্চরতি
গর্ভেহঅন্তরজায়মানো বহুদা বি জায়তে।
অনুবাদ: প্রজাপালক পরমাত্মার সত্ত্বা সম্পুর্ণ পদার্থে
বিদ্যমান, তিনি অজন্মা হয়েও অনেক রুপে প্রকট হন। ওনার কারন শক্তিতে সম্পূর্ণ ভূবন স্থিত।
জ্ঞানী জনেরা ওনার মুখ্য স্বরুপ দেখতে পান।
………… শুক্ল যজুর্বেদ ৩১/১৯ (শ্রী রাম শর্মা-ভাষ্য)
আরেকটি মন্ত্র দেখা যাক
এষ
হ দেব: প্রদিশোহনু সর্বা: পূর্বো হ জাত: স উ গর্ভে অন্ত:।
স
এব জাত: স জনিষ্যমাণ: প্রত্যঙ্ জনাংস্তিষ্ঠতি সর্বতোমুখ:।।
অনুবাদ: এই পরম দেবতাই পূর্বাদি সমস্ত দিক ও অগ্নিকোণ
প্রভৃতি অবান্তর দিক সকল ব্যাপিয়া আছেন; তিনিই সকলের পূর্বে আবির্ভূত হন। তিনিই গর্ভের
অভ্যন্তরে বর্তমান, তিনিই শিশুরুপে জন্মগ্রহণ করেন এবং পরেও তিনিই জন্মিবেন। তিনিই
সর্বোতমুখ হইয়া সকলের অভ্যন্তরে বাস করেন।
................. শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ ২/১৬ অথবা ৩২।
প্রশ্নে উঠতে পারে উক্ত মন্ত্রের অনুবাদে শিশু কোথ্থেকে
আনলেন?
আরেকটি মন্ত্র দেখা যাক
এষ
এস্য মদ্যোরহবো চষ্টে দিব: শিশু: য ইন্দুর্বারমাবিশৎ
অনুবাদ: (দিব্য শিশু) দ্যুলোকের যে পুত্র (যে ইন্দু) যে সৌম বটে (বারং
আ বিশাৎ) ছলনীমে প্রবেশ করে, ঐ আনন্দ বিতরনকারি সোমরস সবাইকে দেখেন।
……… সামবেদ ১২৭৭ অথবা ৪/৪/৩/১০ উত্তরার্চিক, সামবেদ।
(সুবোধ ভাষ্য)
উপনিষদেও সৎ স্বরুপ জন্ম নেন:
এখন দেখ যাক গীতা এই জন্ম সম্পর্কে কি বলে?
জন্মকর্ম্ম চ মে দিব্যমেবং যো বেত্তি তত্ত্বতঃ।
ত্যক্ত্বা দেহং পুনর্জ্জন্ম নৈতি মামেতি সোহর্জ্জুন।।
অর্থঃ-(৯) হে অর্জ্জুন, আমার এই দিব্য জন্ম ও কর্ম্ম যিনি তত্ত্বতঃ জানেন, তিনি দেহত্যাগ করিয়া পুনর্ব্বার আর জন্মপ্রাপ্ত হন না – তিনি আমাকেই প্রাপ্ত হন।
………… গীতা ৪/৯
এখানে দিব্য জন্মের কথা বলা হয়েছে।
শঙ্করাচার্য্য ও রামানুচার্য্য উভয়ই এই জন্মকে অপ্রাকৃত
বলেছেন। ইশ্বরের অপ্রাকৃত জন্ম স্বেচ্ছায় হয়ে থাকে। স্ক্রিণশটটি জগদীশ চন্দ্র ঘোষের
গীতা ভাষ্য থেকে।
উপরোক্ত প্রমান্যগুলি থেকে স্পস্টতই প্রমান হয় । ঈশ্বর
শিশুরুপেজন্ম নেন পরেও তিনিই জন্ম নেন। এছাড়া অবতারবাদ যে প্রমান্য তাহা উপনিষধ ও গীতা থেকে
আরো স্পস্টভাবেই প্রমান হয়।
এখানে মহাবিষ্ণুর অবতার পূর্ণ: প্রকীর্তিতা: বলা হয়েছে।
এখন দেখা যাক বেদের কৃষ্ণের কথা সরাসরি কোথায় আছে?
বেদে বিষ্ণু ও কৃষ্ণ এক । তবুও কিছু কিছু স্থানে বাসুদেব কৃষ্ণের কথা রয়েছে,
ওঁ নারায়ণায় বিদ্মহে বাসুদেবায় ধীমহি।
তন্নো বিষ্ণু: প্রচোদয়াৎ।।
অনুবাদ: আমরা নারায়ণকে জানবো, বাসুদেবকে (কৃষ্ণকে) ধ্যান করবো, সেই ধ্যানে বিষ্ণু আমাদের প্রেরিত করুন।
……… কৃষ্ণযজুর্বেদীয় তৈত্তরীয় আরন্যক ১০/১/৬ অথবা মহানারয়ণ উপনিষধ ৩/১/১৬
বাসুদেব অর্থে কৃষ্ণকেই বুঝিয়েছে তার উল্লেখ ভাষ্যকর দিয়েছেন:
কৃষ্ণাবতারে বসুদেব পুত্রই বাসুদেব যিনি পরমব্রহ্ম বিষ্ণু।
সর্ব্ববেদৈকবেদ্যায সর্ববেদমযায় চ।
বাসুদেবায নিত্যায় নমো ভক্তিপ্রিযায তে।
অনুবাদ: আপনি সমস্ত বেদের একমাত্র বেদ্য, সর্ব্ববেদময়, বাসুদেব, নিত্য এবং ভক্তের প্রিয়; আপনাকে ননমস্কার।
…………… ১০নং শ্লোক, ৭০ অধ্যায়, অশ্বমেদিকা পর্ব।
আমরা মহাভারতেও দেখতে পাই কৃষ্ণকে বাসুদেব বলিয়া সম্মোধন করা হচ্ছে।
বেদে বিষ্ণুর পত্নৈ(স্ত্রীর) কথা পাওয়া যায় মানে কৃষ্ণের অস্তিত্ব্য বিদ্যমান।
বিষ্ণুর গোপী স্ত্রীঃ
এখন দেখা যাক বরাহরুপী কৃষ্ণের কথা সরাসরি রয়েছে
অশ্বক্রান্তে রথক্রান্তে বিষ্ণুক্রান্তে বসুন্ধরে।
শিরসা ধারিতা দেবি রক্ষস্ব মাং পদে পদে।।
উদ্ধৃতাসি বরাহেণ কৃষ্ণেন শতবাহুনা।
ভূমির্ধেনুর্ধরিত্রী চ ধরণী লোকধারিণী।
অনুবাদ: হে দেবি, বসুন্ধরা অশ্বসমুহ তোমাকে পদক্ষেপ করেছে, রথগুলি ধাবিত হয়েছে, বিষ্ণু(বামনরুপে) পদক্ষেপ করেছেন। (স্নানকালে) তুমি মস্তকে ধৃত হয়ে পদে পদে আমাকে রক্ষা করো। তুমি বরাহরুপী শতবাহু কৃষ্ণের দ্বারা উদ্ধৃত হয়েছ। তুমি লোকধারণকারী পৃথিবী, ধেনু, তুমি ধরিত্রী, আশ্রয়দাত্রী।
……… কৃষ্ণযজুর্বেদীয় তৈতেরীয় আরন্যক ১০/১/৮ অথবা মহানারয়ন উপনিষধ ৪/(৪-৫)
তদ্ধৈতদ্ ঘোর আঙ্গিরস: কৃষ্ণায় দেবকীপুত্রায়োক্ত্বোবাচাপিপাস এব স বভূব । সোহন্তবেলায়া মেৎত্রয়ং প্রতিপদ্যতা অক্ষিতমস্যচ্যুতমসি প্রাণসংশিতমসীতি। তেত্রৈতে দ্বে ঋচৌ ভবত: ।।
অনুবাদ: ঘোর অঙ্গিরস বংশোদ্ নামক ঋষি দেবকীনন্দন কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে এই তত্ত্ব বলেছিলেন। ইহা শুনে (কৃষ্ণ) নিস্পৃহ (সর্ববিষয়ে নি:স্পৃহ) হইলেন। (ঘোর আঙ্গিরস বলিলেন) মৃত্যুকালে মানুষ এই তিন মন্ত্র উচ্চারন করিবে। তুমি (কৃষ্ণ) অক্ষর, তুমি (কৃষ্ণ) অচ্যুত, তুমি (কৃষ্ণ) প্রাণ সংশিত। এই বিষয়ে দুইটি ঋক্ আছে । উক্ত শ্রুতিতে দেবকীপুত্র বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণকে অক্ষর ব্রহ্ম বলা হয়েছে।
……….ছান্দোগ্য উপনিষদ ৩/১৭/৬
এখন একদল বলতে পারেন কৃষ্ণ অঙ্গিরস ঋষির শিষ্য কবে ছিলো?
নিরুক্তিকার যাস্ক মতে অঙ্গিরা অঙ্গার মাত্র। ভারত বর্ষে অঙ্গিরা নামে প্রাচীন ঋষি বংশ ছিলো। এছাড়া জীবনীকোষ- ভারতীয়- পৌরণিক দেখলে জানা যায় একদা শ্রীকৃষ্ণ ব্যাঘ্রপদ ঋষির আশ্রমে অঙ্গিরা মুনির নিকট পাশুপত যোগ লাভ করতে কঠোর তপস্যা করেন।
আসুন দেখি শাঙ্খায়ন আরন্যক কি বলে?
কৃত্সনং হারীতীব্রাহ্মণমেবোদাহরতি
অনুবাদ: কৃষ্ণই হরি।
................ ৮/১০ শাঙ্খায়ন আরন্যক
আমরা যজ্ঞ বৈ বিষ্ণুর কথা শুনেছি আসুন দেখি যজ্ঞ বৈ কৃষ্ণের কথা
যজ্ঞ বৈ কৃষ্ণ
অনুবাদ: যজ্ঞই কৃষ্ণ।
................. তৈতেরীয় আরন্যক ৫/২/১৩
ঋষিকেশরুপি কৃষ্ণ:
তমারাধ্য
জগন্নাথং প্রণিপত্য পিতামহ:। পপ্রচ্ছ যোগতত্ত্বং মে ব্রূহি চাষ্টাঙ্গসংযুক্তম্।।৩।।
অনুবাদ: যিনি জগন্নাথ(জগতের প্রভু), তাকে আরোধনা করে এবং
প্রণাম করে পিতামহ (ব্রহ্মা) বললেন- ‘আমাকে অষ্টাঙ্গ যোগতত্ত্ব বলুন।’
তমুবাচ
ঋষিকেশো বক্ষ্যামি শৃণু তত্ত্বত: । সর্বে জীবা: সুখৈর্দু:খৈর্মায়াজালেল বেষ্টিতা:।।৪।।
অনুবাদ: তাঁকে ঋষিকেশ বললেন, - বলবো শোন, যথার্থত: সকল
জীব সুখ ও দু:খ সমুহেতর মায়াজালে বেস্টিত।।
………… কৃষ্ণযজুর্বেদীয় যোগতত্ত্বোপনিষৎ (৩-৪)
পাঞ্চজন্যং হৃষীকেশো দেবদত্তং ধনঞ্জয়ঃ।
পৌণ্ড্রং দধ্মৌ মহাশঙ্খং ভীমকর্ম্মা বৃকোদরঃ।। ১/১৫
............... গীতা ১/১৫
এ শ্লোকের টীকায় মধুসূদন সরস্বতী লিখেছেন, ‘সর্ব্বেন্দ্রিয় প্রেরকত্বেন সর্ব্বান্তর্যামি সহায়ঃ পান্ডবানামিতি কথয়িতুং হৃষীকেশপদং’ ৷
এছাড়াও আরো দেখতে পাওয়া যায় শ্যামরুপি কৃষ্ণকে
শ্যাম বলিতে কৃষ্ণকে বোঝায় তার প্রমান কি?
উতঙ্ক ঋষি কৃষ্ণকে বললেন
হিরণ্যগর্ভরুপায় সংসারোত্তারণায় চ।
পুরুষায় পুরাণায় শান্তশ্যামায় তে নম:
অনুবাদ: ভগবান! আপনি ব্রহ্মস্বরুপ, সংসার হইতে উ্ধারকারী, পুরাণপুরুষ, শান্ত-মুর্ত্তি ও শ্যামবর্ণ- আপনাকে নমস্কার।
………… শ্লোক নং ০৮, অধ্যায় নং ৭০, অশ্বমেদিকা পর্ব।
একদল মুর্খ বলবে কৃষ্ণ মুক্ত আত্মা পরমাত্মা নয়। তাদের জন্য বলি মুক্ত আত্মা গর্ভদান করে কবে থেকে?
একই রকম কথা বেদেও পাওয়া যায়
বাঃ দারুন। তবে টাইপিং মিস্টেক গুলো একটু ঠিক করে নিলে, খুবই ভালো হয়।
ReplyDeleteদাদা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা আমার মধ্যে জিহ্বাতে লেগে রয়েছে তাই চাইলেও শুদ্ধ বাংলা বলতে ভূল হয় আমার। সাধু-চলিত মিক্সড হয়ে যায়। তার পরেও আপনি যদি আমাকে ইনবক্সে ভূলগুলি ধরিয়ে দিতে সাহায্য করেন তাহলে আমার উপকার হবে ভূলগুলি শুদ্ধ করার।
Deleteহারিবোল🥴🥴🥴
ReplyDeleteঅনুবাদের গুষ্ঠি উদ্ধার করে দিলো🙌🙌🙌🙌🙌
কোথায় কোথায় অনুবাদে ভূল রয়েছে দেখিয়ে না দিয়ে ভাট বকছেন কেনো? ৩০২ জন ব্লগটি পড়েছেন আপনিই একমাত্র অভিযোগ করলেন। দেখিয়ে দিন কোন কোন অনুবাদে ভূল রয়েছে।
Delete