Thursday, April 1, 2021

দ্বাফরের পূর্বের রাধা:

দ্বাফরের পূর্বের রাধা:


সমুদ্রতয়া বিদ্মহে বিষ্ণুনায়িকিনা ধীমহি

তন্নো রাধা প্রচোদয়াৎ।।


ছবিটি নাভাল কিশোর প্রেসের  ২/৪৮/১০



........................ ২/৪৮/১৪ মতিলাল বানারস


অনুবাদ: আমরা সমুদ্র কন্যাকে জানবো। বিষ্ণুপত্নী(নায়িকা)র ধ্যান করবো। সেই ধ্যানে রাধা আমাদের প্রেরণ করুন।


লিঙ্গ পুরানের রেফারেন্স থেকে আমরা দেখতে পাই রাধা সুমুদ্র কন্যাও বটে। তাহলে এই রাধা কি দ্বাফরের? এই রাধা, কৃষ্ণের (মোহিনী) অবতার কালীন সময়কার দ্বাফরের নয়। মোহিনী অবতারের কথা বাল্মীকি রামায়নে রয়েছে।



অবতারেচ বরাহে বৃকভানুসুতাচ যা।

যৎপাদপদ্মসংস্পর্শপবিত্রাচ বসুন্ধরা।।৫০

ব্রহ্মাদিভিরদৃষ্টা যা সর্ব্বদৃষ্টাচ ভারতে।

স্ত্রীরত্নসারসংভূতা কৃষ্ণবক্ষ:স্থলস্থিতা।

তথা ঘনে নবঘনে লোলা সৌদামিনী মুনে।।৫১

ষষ্টিং বর্ষসহস্রাণি প্রতপ্তং ব্রহ্মণা পুরা।

যৎপাদপদ্ম নখর দৃষ্টয়ে চাত্ম শুদ্ধয়ে।

নচ দৃষ্টঞ্চ স্বপ্নেহপি প্রতক্ষস্যাপি কা কথা।।৫২

তেনৈব তপসা দৃষ্টা ভূরি বৃন্দাবনে বনে।

কথিতা পঞ্চমী দেবী সা রাধা পরিকীর্ত্তিতা।।৫৩



অনুবাদ: পূর্ব্বে মহাবরাহে অবতার ধারণ করিয়া বসুন্ধরাকে উদ্ধার করার সময়ে যিনি বৃকভানু রাজার নন্দিনী রুপে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, বসুমতী যাহার পাদপদ্ম সংম্পর্শে অতি পবিত্র ভাব হন। ব্রহ্মাদি দেবগণও যাহাকে দর্শন করিয়া দর্শনেন্দ্রিয় সফল করিতে সমর্থ হন নাই, কিন্তু নবনীরদ বক্ষ:স্থল বিহারিণী সৌদামিনীর ন্যায় কৃষ্ণের বক্ষ:স্থল বিহারিণী সেই সর্ব্বোত্তম রমণীরত্নকে সন্দর্শন করিয়া সকলেই পরিতৃপ্ত হইয়াছেন। পূর্ব্বে ভগবান কমলযোনি যাহার চরণকোমলের নখরমালা নিরীক্ষণ করিয়া আত্মাকে পবিত্র করিবার নিমিত্ত সহস্র বৎসর পর্যন্ত কঠোর তপশ্চরন করেন, কিন্তু প্রত্যক্ষ করা তো দুরে থাক, একবার স্বপ্নেও সন্দর্শন করিতে সমর্থ হন নাই। তৎপরে যিনি ভূলোকে অবতীর্ণ হন, তখন সেই তপ:ফলে বৃন্দাবন বনে পরিলক্ষিত হইয়াছিলেন। কথিত এই পঞ্চম প্রকৃতিই শ্রী রাধা নামে বিখ্যাত।

…………… (৫০-৫৩) নং শ্লোক, প্রথম অধ্যায়, প্রকৃতি খণ্ড, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান।















No comments:

Post a Comment