কৃষ্ণ(কেশব)কেউ মহাদেব বলা হয়:
ভীতোহস্ম্যহং মহাদেব! শ্রুত্বা মার্গস্য বিস্তরম্।
কেনোপাযেন তং মার্গং তরন্তি পুরুষাঃ সুখম্।।৩।।
ভগবান উবাচ।
ইহ যে ধার্ম্মিকা লোকে জীবঘাতবিবর্জিতাঃ।
গুরুশুশ্রূষণে যুক্তা দেবব্রাহ্মণপূজকাঃ।।৪।।
অস্মান্ মানুষ্যলোকাত্তে সভার্ষ্যাঃ সবান্ধবাঃ।
যমধ্বানন্তু গচ্ছন্তি যথাবত্তং নিবোধ মে।।৫।।(যুগ্মকম)
ব্রাহ্মণেভ্যঃ প্রদানানি নানারুপাণি পান্ডব।
যে প্রযচ্ছস্তি বিপ্রেভ্যস্তে সুখং যান্তি তৎপথম্।।৬।।
অনুবাদ:
বৈশস্পায়ন বলিলেন- যুধিষ্ঠির কৃষ্ণের সেই সকল বাক্য শুনিয়া ভয়ে আকুল, মুর্চ্ছিত ও অচৈতন্য হইয়া ভুতলে পতিত হইলেন।।১।।
তাহার পর কৃষ্ণ তাঁহাকে আশ্বস্ত করিলে ধীরে ধীরে চৈতন্য লাভ করিয়া, জলদ্বারা নয়ন যুগল প্রক্ষালন পূর্ব্বক পুনরায় কৃষ্ণকে বলিলেন-।।২।।
মহাদেব, আমি তোমার নিকট বিস্তবক্রমে যমলোকপথের অবস্থা শুনিয়া ভীত হইয়াছি; অতএব বল, মানুষেরা কোন্ উপায়ে সুখে সেই পথ অতিক্রম করিতে পারে?।।৩।।
কৃষ্ণ বলিলেন- ' মহারাজ, এই জগতে যাঁহারা প্রাণিহিংসাবিহীন, গুরুর পরিচর্য্যায় নিয়ত এবং দেবতা ও ব্রাহ্মন পূজক, ধার্ম্মিক, তাঁহারা ভার্য্যা ও বন্ধূবর্গের সহিত এই মনুষ্যলোক হইতে যে পথে যমালয়ে গমন করেন, আপনি যথাযথভাবে আমার নিকট সেই পথ শ্রবণ করুণ।।৪-৫।।
পাণ্ডুওনন্দন, যাঁহারা ব্রহ্মনিষ্ঠ ব্রাহ্মণগনকে নানারুপ দান করেন, তাঁহারা সেই পথে সুখে গমন করেন।
...... (১-৬)/১২৬ অশ্বমেদিকা পর্ব, মহাভারত।
No comments:
Post a Comment