অত্রি সংহিতার ভ্রষ্ট শব্দটি নিয়ে বহুদিন পরে গাঞ্জর্ষি পরম্পরার দয়াসমাজিরা আনন্দ করার সুযোগ পেয়েছে বলে তাদের আনন্দ আর ধরছেনা। আসুন দেখে নেই দয়াসমাজি কতৃক পোস্টকৃত শ্লোক ও পঞ্চানন তর্করত্নের অনুবাদটি:
এই দয়াসমাজিরা নিয়মিতই বিভিন্ন বিধর্মিকৃত বাংলা অনুবাদ কিংবা সেক্যুলার টাইপ বাংলা অনুবাদ ইত্যাদি ব্যবহার করে সাধারন হিন্দুদের বিভ্রান্ত করে থাকেন ও তাদের দলে টানেন। প্রকৃত অনুবাদ দেওয়ার পূর্বে আসুন বাংলায় অনুবাদকারি পঞ্চনন তর্করত্নের সম্পর্কে চিন্তা করে দেখি।
ক) শিব মহাপুরানের দ্বাদশ(১২) সংহিতায় জ্ঞান সংহিতা নাই, কিন্তু তার শিবমহাপুরানে জ্ঞান সংহিতা নামক একটি সংহিতার আমদানি দেখা যায়। এটা প্রমান করে পঞ্চানন তর্করত্ন মহাশয় নিজের ইচ্ছেমত শ্লোকসহ অনুবাদ বসিয়েছেন।
আসুন দেখে নেই দ্বাদশ সংহিতাগুলি কি কি:
শিব পুরানের দ্বাদশ সংহিতার একটা ক্রম আছে যা শ্লোকের মাধ্যমে বিদ্যমান:
विघ्नेश्वर तथा रौद्रं वैनायक मनुत्तमम्। भौमं मात्र पुराणं च रूद्रैकादशं तथा।
कैलाशं शत्रूद्रं च कोटि रूद्राख्यमेव च। सहस्रकोटि रूद्राख्यंवायुवीय ततःपरम्
धर्मसंज्ञं पुराणं चेत्यैवं द्वादशः संहिता। तदैव लक्षणमुदिष्टं शैवं शाखा विभेदतः
1. विघ्नेश्वर संहिता 2. रुद्र संहिता 3. वैनायक संहिता 4. भौम संहिता 5. मात्र संहिता 6. रूद्रएकादश संहिता 7. कैलाश संहिता 8. शत् रूद्र संहिता 9. कोटि रूद्र संहिता 10. सहस्र कोटि रूद्र संहिता 11. वायवीय संहिता 12. धर्म संहिता
বিধ্যেশ্বর তথা রৌদ্রং বৈনায়কমনুত্তমম্। ভৌমন মাত্র পুরাণঞ্চ রুদ্রৈকাদশকং তথা।।৪৫।।
কৈলাশং শতরুদ্রঞ্চ কোটিরুদ্রাখ্যমেব চ। সহস্রকোটি রুদ্রাক্ষবায়বীয় তত: পরম্।।৪৬।।
ধর্মসংজুুং পুরাণঞ্চেত্যেবং দ্বাদশ সংহিতা:: ।।৪৭।।
তদৈব লক্ষমুদিষ্ট শৈবং শাখা বিভেদত:।।৫১।।
১) বিধ্যেশ্বর সংহিতা ২) রুদ্র সংহিতা ৩) বৈনায়ক সংহিতা ৪) ঔম (ওমা) সংহিতা ৫) মাতৃক সংহিতা
৬) রুদ্রাকাদশ ৭) কৈলাশ সংহিতা ৮) শতরুদ্র সংহিতা ৯) কোটি রুদ্র সংহিতা ১০) সহস্রকোটিরুদ্র সংহিতা ১১) বায়বীয় সংহিতা ১২) ধর্ম সংহিতা।
খ) ব্রহ্মবৈবর্ত পুরানে শ্লোক সংখ্যা ১৮০০০ কিন্তু পঞ্চানন তর্করত্ন মহাশয়ের অনুবাদকৃত বাংলা ভাষ্যে ২৪০০০শ্লোকসহ অনুবাদ পাওয়া যায়। ৬০০০শ্লোক অতিরিক্ত ঢুকিয়েছেন। এটাও প্রমান করে পঞ্চানন তর্করত্ন মহাশয় ইচ্ছেমত বিকৃত করেছেন ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান।
এখানে স্পস্ট দেখা যাচ্ছে ”ভ্রষ্টাস্ততে ভাগবতা ভবন্তি” এই শ্লোকের অর্থ বৈরাগী করেছেন। বৈরাগীরা গুরুপরম্পরা মানেন না। গুরুপরম্পরা না মানা সকলকে উদ্দেশ্য করেই এই শ্লোকটি উদৃত করা হয়েছে সে কালি উপাসক হোক আর সে কৃষ্ণ উপাসক হোক কিংবা সে বিষ্ণু/শিব উপাসক হোক। যারা গুরু পরম্পরা মেনে বিষ্ণু/কৃষ্ণ/কালি/শিব উপাসনা/সাধনা করেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়নি।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সাধারনত গুরুপরম্পরা মেনেই ধর্ম পালন করে আসছে। কিন্তু বর্তমানে এক গাঞ্জর্ষি পরম্পরার দয়াসমাজিরা কোনো গুরু পরম্পরা মানেনা। অত্রি সংহিতার এই শ্লোকটি তাদের উপরেও বর্তায়।
No comments:
Post a Comment