Monday, May 10, 2021

একাদশী বিরোধীদের ভেজা-ভেজা চুলকানির ক্রিম ও খস-খসে চুলকানির ওয়ানমেন্ট দেওয়া হয়েছে:

স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় কি পত্নী একাদশী (উপবাস ব্রত) পালন করিতে পারবে কিনা?


স্বামী বিবেকানন্দ কতৃক একাদশী পালন:



                                                   ছবিটি স্বামীজি কতৃক একাদশি পালন।

আসুন দেখে নেওয়া যাক শিবঅবতার শঙ্করাচার্য উপবাস সম্পর্কে কি বলেছেন?

যেকেউ কাস্ট শাস্ত্রানুসারে উপবাস/ফাস্টিং করতে পারবে । লিংক দেওয়া হলো 

https://www.thehindu.com/books/books-reviews/adi-shankaracharya-hinduisms-greatest-thinker-review-a-lesson-from-the-past/article24065950.ece/amp/?fbclid=IwAR3pfIHWWpowEXBQLHAkuHNqMLxWa8Qxbt1_5UKs2YY3t-1-FYqS3oC850k

উপবাস সম্পর্কে কিছু রেফারেন্স
একাদশি(উপবাস ব্রত) সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য অগ্নি পুরান, শিবপুরান, গড়ুর পুরান, নারদ পুরানে আছে ।

পঞ্চরাত্রং পয়: পীত্বা দধ্যাহারো হ্যুপোষিত:।
একাদশ্যং কার্ত্তিকে তু কৃচ্ছ্রোহয়ং ভাস্করোহর্থদ:।


অনুবাদ: কার্ত্তিক মাসীয় একাদশীতে পঞ্চরাত্র পয়:পান, দধি আহার ও উপবাস করিয়া, বিষ্ণুর পূজা করিবে। ইহার নাম সর্ব্বাভীষ্টজনক কৃচ্ছ্রভাস্কর।
........ ১৫নং শ্লোক, ১৯৮অধ্যায়, অগ্নিপুরান।

 এখন দেখা যাক পুরান ব্যাতিরেখে অন্য শাস্ত্রে কোথায় কি আছে?


                                                                  ছবিটি নারদ পঞ্চরাত্রের



                                            ছবিটি (৪-৭)/৪র্থ অধ্যায়, শাতাতাপ সংহিতা



ছবিটি (১-৪)/৪৯ বিষ্ণু সংহিতার

                                                 ৯০/১২ বনপর্ব, হরিদাস সিদ্ধান্ত বাগীশ

            ছবিটি হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশের মহাভারতের ৮৪/১০৭, অনুশাসন পর্ব


দয়াসমাজিরা হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশের মহাভারতের চেয়ে গীতা প্রেস ও কালিপ্রসন্ন সিংহের অনুবাদ বেশি  মানেন।


                                 ছবিটি গীতা প্রেসের মহাভারত ১০৯ অধ্যায়, অনুশাসন পর্ব


           ছবি দুটি কালি প্রসন্ন সিংহের মহাভারত ১০৯অধ্যায়, অনুশাসন পর্ব

                                        ছবিটি কাশিদাসের মহাভারতের

দ্রব্যযজ্ঞাস্তপোযজ্ঞা যোগযজ্ঞাস্তথাপরে।
স্বাধ্যায়জ্ঞানযজ্ঞাশ্চ যতয়ঃ সংশিতব্রতাঃ।।





অনুবাদ:
 কেহ কেহ দ্রব্যদানরূপ যজ্ঞ করেন, কেহ কেহ তপোরূপ যজ্ঞ করেন, কেহ কেহ যোগরূপ যজ্ঞ করেন, কোন কোন দৃঢ়ব্রত যতিগণ বেদাভ্যাসরূপ যজ্ঞ করেন, কেহ কেহ বেদার্থপরিজ্ঞানরূপ যজ্ঞ সম্পাদন করেন।
.................... ৪/২৮, গীতা



                                                    ছবিটি (২১-২৫), ৪র্থ স্বর্গ, বাল্মীকি রামায়ন



                                                             ছবিটি ২/২২০ মনু সংহিতা 





ছবিটি শতপথ ব্রাক্ষ্মণ: ২য় কান্ড ১ম অধ্যায় ৪র্থ ব্রাক্ষ্মণ ০১

এখন দেখা যাক বেদ মন্ত্রের দ্রষ্টা কয়েকজন ঋষি পত্নির নাম:

     ১)ঋগবেদ ১ম মন্ডল ১৭৯ সুক্তের দেবতা রতি, ঋষি অগস্ত্যের পত্নী লেপামুদ্রা।
      ২)ঋগবেদ ১০ম মন্ডলের ১৪৫নং সুক্তের দেবতা সপত্নীবাধন, ঋষি ইন্দ্রাণী

স্ত্রী-পুরুষে একত্রে যজ্ঞ করতেন:
ঋগবেদ্ ১/১৩১/৩, ১/১৭৩/২, ৫/৪৩/১৫, ৮/৩১/৫  রেফারেন্স অনুযায়ী পাওয়া যাবে।

বৃহদারন্যক শ্রুতিতে পতি পত্নীর একই সাথে পুত্র ও কন্যা প্রাপ্তির মন্ত্র বিদ্যমান



                                 ছবিটি ৬ষ্ঠ অধ্যায় ৪র্থ ব্রাক্ষ্মণ

এখন দেখা যাক বৃহদারন্যক শ্রুতিতে উপবাস নিয়ে কি বলে?

তমেতং বেদানুবচনেন ব্রাক্ষ্মণা বিবিদিষন্তি, যজ্ঞেন দানেন, তপসানশনেন ।


                              ছবিটি ৪র্থ অধ্যায় ৪র্থ ব্রাক্ষ্মণ মন্ত্র নং ২২

অনুবাদ: বেদবচন, যজ্ঞ, দান, তপস্যা, ও অনশনব্রত দ্বারা ব্রাক্ষ্মণগণ তাহাকে জানিতে চাহেন।



                          ছবিটি মাধ্বাচার্য্যকৃত বৃহদারন্যক উপনিষধের ৪/৪/২২ ভাষ্য

এখন দেখা যাক মহানারয়ন উপনিষধে কি বলা হয়েছে?

……তপ ইতি তপো নানশনাৎপরং যদ্ধি পরং তপস্তদ্দুর্ধর্ষং তদ্দুরাধর্ষং তস্মাত্তপসি রমন্তে।……...


অনুবাদ: তপস্যা-অনশন অপেক্ষা উৎকৃষ্ট  তপস্যা নাই। উৎকৃষ্ট তপস্যা (কৃচ্ছ্রচান্দ্রয়ণাদি) সুসাধ্য নয়। (সর্বপ্রাণীর পক্ষে) সুসাধ্য নয় বলে অসহনীয় তপস্যায় (মুমুক্ষগণ) আনন্দ পান।

………… ২/২১ মহানারয়ন উপনিষধ।


………শ্রুতং তপ: শান্তং তপো দানোং তপো………………………………………………



অনুবাদ: (বেদার্থ নির্ণয়পূর্বক) শাস্ত্র শ্রবণ তপ:। ইন্দ্রিয়দমন তপ:(শম ও দম রুপ সাধন সম্পৎ যাঁর আছে তিনি শান্ত), দান তপস্যা……………………………………………………………………

দম- বহিরিন্দ্রিয় সংযম। উপবাসাদি তপস্যা। একাদশী, পূর্ণিমা ও অমাবস্যা প্রভৃতি তিথিতে উপবাস বিহিত। শম- অন্তরিন্দ্রিয় সংযম। শত্রুর প্রতিও ক্রোধরাহিত্যরুপ তপস্যা।

………… ১/৮ মহানারয়ন উপনিষধ।



তেনাহরণ্যান্যদনাশ্বানুপবসেৎ পিতৃদেবত্যঃ স্যাৎ। ................ বজ্রো বৈ যজ্ঞঃ ক্ষুৎ খলু বৈ মনুষ্যস্য ভ্রাতৃব্যো যদনাশ্বানুপবসতি বজ্রেণৈব সাক্ষাৎক্ষুধং ভ্রাতৃব্যং হন্তি।

অনুবাদঃ যদি উপবাস করে শ্রাদ্ধাদি করা হয়, তবে পিতৃগণ তুষ্ট হন। .......... যজ্ঞ ব্জ্রসদৃশ, ক্ষুধা মানুষের শত্রু, না খেয়ে উপবাস করলে যজ্ঞরুপ বজ্র তার ক্ষুদারুপ শত্রুকে বিনাশ করে।
...... কৃষ্ণ যজুর্বেদ ১/৬/৭

প্রমান সাপেক্ষে দেখা যাচ্ছে যে উপবাস/ অনশন/ ফাস্টিং/একাদশী/দ্বাদশী ইত্যাদি স্ত্রীদের জন্যও প্রযোজ্য। এখন প্রশ্ন হলো বেদ মন্ত্রের দ্রষ্টা ঋষি ও ঋষি পত্নী যদি একই মন্ত্র না দেখে থাকেন তাহলে তারা কি করে একই সাথে অনশন ব্রতও পালন করেছিলেন? অবশ্যই ঋষি পত্নী আলাদাভাবে অনশন/উপবাস/একাদশী/দ্বাদশী ব্রত পালন করেছিলেন।



1 comment:

  1. খুব ভালো হয়েছে আর এই পোষ্টা তুলে ধরতে, অনেক পরিশ্রম করছেন দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
    নমস্কার।

    ReplyDelete