বেদে ভগবান ও গীতায় পরমেশ্বর:
বেদের আবন্যকে ও উপনিষদে ও কৃষ্ণ যজুর্বেদ সংহিতায় বিষ্ণুর গোপাল(কৃষ্ণ) রুপ মানে গোপী স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কৃষ্ণকে ভগবান বলা যাবে কিন্তু ঈশ্বর বলা যাবেনা। এই কথা বলিয়া কিছু দয়াসমাজি ধর্মকে নস্ট করার চেস্টায় অব্যাহত রয়েছেন।
আসুন দেখে নেওয়া যাক গীতায় কৃষ্ণকে শুধু ভগবান নয় ঈশ্বরও বলা হয়েছে তার রেফারেন্স:
এবমেতদ্ যথাত্থ ত্বমাত্মানং পরমেশ্বর।
দ্রষ্টুমিচ্ছামি তে রূপমৈশ্বরং পুরুষোত্তম।।
অনুবাদ: হে পরমেশ্বর, তুমি আপনার বিষয় যাহা বলিলে তাহা এইরূপ বটে; হে পুরুষোত্তম, আমি তোমার সেই ঐশ্বরিক রূপ দেখিতে ইচ্ছা করি।
.................... ১১/৩, গীতা।
এটা থেকে বোঝায় যাচ্ছে গীতায় কৃষ্ণকে শুধু ভগবান নয় ঈশ্বর বলেও ডাকা হয়েছে।
এখন আসুন দেখি কৃষ্ণ যদি ঈশ্বর হন তাহলে গীতায় কেনো ভগবান বলিয়া ডাকা হলো তাকে:
সহস্রাণি সহস্র েশা বাহ্বোস্তব হেতয়:। তাসামীশানো ভগব: পরাচীনা মুখা কৃধি।।
অনুবাদ: হে ভগবান! অপনার পূজা দ্বারা সহস্র প্রকার আয়ু(খন-শুলাদি আয়ুধ) পাওয়া যায়। আপনি সংসারে আয়ুর মুখ, আমাদের পরান্মুখ কর।
................ শুক্ল যজুর্বেদ ১৬/৫৩
নমস্ত্বে অস্ত্ত বিদ্যুতে নমস্তে স্তনয়িত্নবে। নমস্তে ভগবন্নস্ত্ত যত: স্ব: সমীহসে।।
অনুবাদ: বিদ্যুতের সমান তেজস্বী তথা মেঘের সমান গর্জন
কারী পরমাত্মা! আপনাকে নমস্কার, আপনি আমাদের জন্য মঙ্গলকারী, আপনাকে বারংবার নমস্কার
করি।
………… শুক্ল যজুর্বেদ ৩৬/২১
এই মন্ত্র দুটি দ্বারা প্রমান হয় ঈশ্বরকে ভগবান বলিয়াও ডাকা হয়ে থাকে। তাই কৃষ্ণ ঈশ্বর হয়েও ভূলোকে(পৃথিবী লোকে) তার লীলা সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন নামে বিভিন্ন উপাধিতে অবিভুত হয়েছেন।
No comments:
Post a Comment