Monday, May 17, 2021

গীতা

 গীতা:


কৃষ্ণের নাম:


কিং নো রাজ্যেন গোবিন্দ কিং ভোগৈর্জীবিতেন বা।
যেষামর্থে কাঙ্ক্ষিতং নো রাজ্যং ভোগাঃ সুখানি চ।।

............... ১/৩২

তস্মান্নার্হা বয়ং হন্তুং ধার্ত্তরাষ্ট্রান্ সবান্ধবান্।
স্বজনং হি কথং হত্বা সুখিনঃ স্যাম মাধব।।

.................. ১/৩৬

কথং জ্ঞেয়মস্মাভিঃ পাপাদস্মান্নিবর্ত্তিতুম্।
কুলক্ষয়কৃতং দোষং প্রপশ্যদ্ভির্জনার্দ্দন।।

............... ১/৩৮

তং তথা কৃপয়াবিষ্টমশ্রুপূর্ণাকুলেক্ষণম্।
বিষীদন্তমিদং বাক্যমুবাচ মধুসূদনঃ।।

................ ২/১

স্থিতপ্রজ্ঞস্য কা ভাষা সমাধিস্থস্য কেশব।
স্থিতধীঃ কিং প্রভাষেত কিমাসীত ব্রজেত কিম্।।

................. ২/৫৪




সনাতন কুলধর্ম ও শ্রাদ্ধ:


কুলক্ষয়ে প্রণশ্যন্তি কুলধর্ম্মা সনাতনাঃ

ধর্ম্মে নষ্টে কুলং কৃৎস্নমধর্ম্মোহভিভবত্যুত।। 

অনুবাদ: কূলক্ষয় হইলে সনাতন কূলধর্ম্ম নষ্ট হয় এবং ধর্ম্ম নষ্ট হইলে সমগ্র কূল অধর্ম্মে অভিভূত হয়।

.................... /৩৯


অধর্মাভিভবাৎ কৃষ্ণ প্রদুষ্যন্তি কুলস্ত্রিয়ঃ।

স্ত্রীষু দুষ্টাসু বার্ষ্ণেয় জায়তে বর্ণসঙ্করঃ।।

অনুবাদ: হে কৃষ্ণ, কূল অধর্ম্মে অভিভূত হইলে কূলস্ত্রীওগণ ব্যভিচারিণী হয়। হে বার্ষ্ণেয়, কূলনারীগণ ব্যভিচারিণী হইলে বর্ণসঙ্কর জন্মে।

.................... /৪০

সঙ্করো নরকায়ৈব কুলঘ্নানাং কুলস্য চ।

পতন্তি পিতরো হ্যেষাং লুপ্তপিণ্ডোদকক্রিয়াঃ।।

অনুবাদ: বর্ণসঙ্কর, কূলনাশকারীদিগের এবং কূলের নরকের কারণ হয়। শ্রাদ্ধ-তর্পণাদি ক্রিয়ার লোপ হওয়াতে ইহাদের পিতৃপুরুষ নরকে পতিত হয় (সদ্গতিপ্রাপ্ত হয় না)

............... ১/৪১


দিব্য জন্ম- আমার শরনাপন্ন- যে যেভাবেই ভজনা করে:


জন্মকর্ম্ম মে দিব্যমেবং যো বেত্তি তত্ত্বতঃ।

ত্যক্ত্বা দেহং পুনর্জ্জন্ম নৈতি মামেতি সোহর্জ্জুন।।

অনুবাদ: হে অর্জ্জুন, আমার এই দিব্য জন্ম কর্ম্ম যিনি তত্ত্বতঃ জানেন, তিনি দেহত্যাগ করিয়া পুনর্ব্বার আর জন্মপ্রাপ্ত হন নাতিনি আমাকেই প্রাপ্ত হন।


বীতরাগভয়ক্রোধা মন্ময়া মামুপাশ্রিতাঃ

বহবো জ্ঞানতপসা পূতা মদ্ভাবমাগতাঃ।।

অনুবাদ: বিষয়ানুরাগ, ভয় ক্রোধ বর্জ্জন করিয়া, আমাতে একাগ্রচিত্ত আমার শরণাপন্ন হইয়া, আমার জন্মকর্ম্মের তত্ত্বালোচনা রূপ জ্ঞানময় তপস্যাদ্বারা পবিত্র হইয়া অনেকে আমার পরমানন্দভাবে চিরস্থিতি লাভ করিয়াছেন।


যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্।

মম বর্ত্মানুবর্ত্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্ব্বশঃ।।

অনুবাদ: হে পার্থ! যে আমাকে যে-ভাবে উপাসনা করে, আমি তাহাকে সেই ভাবেই তুষ্ট করি। মনুষ্যগণ সর্ব্বপ্রকারে আমার পথেরই অনুসরণ করে অর্থাৎ মনুষ্যগণ যে পথই অনুসরণ করুক না কেন, সকল পথেই আমাতে পৌঁছিতে পারে।

................... ৪/(৯-১১)

যো যো যাং যাং তনুং ভক্তঃ শ্রদ্ধয়ার্চ্চিতুমিচ্ছতি।

তস্য তস্যাচলাং শ্রদ্ধাং তামেব বিদধাম্যহম্।।

অনুবাদ: যে যে সকাম ব্যক্তি ভক্তিযুক্ত হইয়া শ্রদ্ধাসহকারে যে যে দেবমূর্ত্তি অর্চ্চনা করিতে ইচ্ছা করেআমি (অন্তর্য্যামিরূপে) সেই সকল ভক্তের সেই সেই দেবমূর্ত্তিতে ভক্তি অচলা করিয়া দেই।

........................ ৭/২১

তয়া শ্রদ্ধয়া যুক্তস্তস্যারাধনমীহতে।

লভতে ততঃ কামান্ ময়ৈব বিহিতান্ হি তান্।।

অনুবাদ: সেই দেবোপাসক মৎবিহিত শ্রদ্ধাযুক্ত হইয়া সেই দেবমূর্ত্তির অর্চ্চনা করিয়া থাকে এবং সেই দেবতার নিকট হইতে নিজ কাম্যবস্তু লাভ করিয়া থাকে, সেই সকল আমাকর্ত্তৃকই বিহিত (কেননা সেই সকল দেবতা আমারই অঙ্গস্বরূপ)

..................... ৭/২২

অন্তবত্তু ফলং তেষাং তদ্ভবত্যল্পমেধসাম্।

দেবান্ দেবযজো যান্তি মদ্ভক্তা যান্তি মামপি।।

অনুবাদ:  কিন্তু অল্পবুদ্ধি সেই দেবোপাসকগণের আরাধনালব্ধ ফল বিনাশশীল দেবোপাসকগণ দেবলোক প্রাপ্ত হন, আর আমার ভক্তগণ আমাকেই লাভ করিয়া থাকেন।

................. ৭/২৩




বেদাভ্যাসরুপ যজ্ঞ, চণ্ডাল-ব্রাহ্মন সমদর্শন, বাঘের চামড়া:


দ্রব্যযজ্ঞাস্তপোযজ্ঞা যোগযজ্ঞাস্তথাপরে।

স্বাধ্যায়জ্ঞানযজ্ঞাশ্চ যতয়ঃ সংশিতব্রতাঃ।।

অনুবাদ: কেহ কেহ দ্রব্যদানরূপ যজ্ঞ করেন, কেহ কেহ তপোরূপ যজ্ঞ করেন, কেহ কেহ যোগরূপ যজ্ঞ করেন, কোন কোন দৃঢ়ব্রত যতিগণ বেদাভ্যাসরূপ যজ্ঞ করেন, কেহ কেহ বেদার্থপরিজ্ঞানরূপ যজ্ঞ সম্পাদন করেন।

.................. ৪/২৮


বিদ্যাবিনয়সম্পন্নে ব্রাহ্মণে গবি হস্তিনি

শুনি চৈব শ্বপাকে পণ্ডিতাঃ সমদর্শিনঃ।।

অনুবাদ: বিদ্যাবিনয়যুক্ত ব্রাহ্মণে, চণ্ডালে, গো, হস্তী কুক্কুরে আত্মবিৎ পণ্ডিতগণ সমদর্শী। আপাততঃ বিষম বস্তুতে সমদর্শন হয় কখন? যখন আত্মস্বরূপ বা ব্রহ্মস্বরূপ দর্শন হয়। আত্মজ্ঞানের ফলই সমত্ব। আত্মদর্শী পণ্ডিতগণ জগৎকে ব্রহ্ম-দৃষ্টিতে দেখেন। এই ব্রহ্মই নারায়ণ পদবাচ্য। তাঁহাদের দৃষ্টিতে ব্রাহ্মণ, চণ্ডাল, পাপী, পুণ্যবান, গাভী, হস্তী, কুক্কুর সকলই নারায়ণ।

....................... ৫/১৮


শুচৌ দেশে প্রতিষ্ঠাপ্য স্থিরমাসনমাত্মনঃ।

নাত্যুচ্ছ্রি তং নাতিনীচং চেলাজিনকুশোত্তরম্।।

তত্রৈকাগ্রং মনঃ কৃত্বা যতচিত্তেন্দ্রিয়ক্রিয়ঃ।

উপবিশ্যাসনে যুঞ্জ্যাদ্ যোগমাত্মবিশুদ্ধয়ে।।

অনুবাদ: পবিত্র স্থানে নিজ আসন স্থাপন করিবে; আসন যেন অতি উচ্চ অথবা অতি নিম্ন না হয়। কুশের উপরে ব্যাঘ্রাদির চর্ম্ম এবং তাহার উপর বস্ত্র পাতিয়া আসন প্রস্তুত করিতে হয়সেই আসনে উপবেশন করিয়া চিত্ত  ইন্দ্রিয়ের ক্রিয়া সংযম ‍পূর্ব্বক মনকে একাগ্র করিয়া আত্মশুদ্ধির জন্য যোগ অভ্যাস করিবে।

........................... ৬/(১১-১২)


ওঁ জপ ও আমাকে স্বরণ:

অন্তকালে মামেব স্মরন্ মুক্তা কলেবরম্।

যঃ প্রয়াতি মদ্ভাবং যাতি নাস্ত্যত্র সংশয়ঃ।।

অনুবাদ:  যিনি অন্তকালেও আমাকে স্মরণ করিতে করিতে দেহ ত্যাগ করিয়া প্রস্থান করেন, তিনি আমারই ভাব প্রাপ্ত হন, ইহাতে সংশয় নাই।

.................. ৮/৫


সর্ব্বদ্বারাণি সংযম্য মনো হৃদি নিরুধ্য চ।

মুর্দ্ধ্ন্যাধায়াত্মনঃ প্রাণমাস্থিতো যোগধারণাম্।।

ওমিত্যেকাক্ষরং ব্রহ্ম ব্যাহরন্ মামনুস্মরন্

যো প্রয়াতি ত্যজন্ দেহং যাতি পরমাং গতিম্।।

অনুবাদ:-  সমস্ত ইন্দ্রিয়দ্বার সংযত করিয়া (ইন্দ্রিয়গণকে বিষয় হইতে প্রত্যাহৃত করিয়া), মনকে হৃদয়ে নিরুদ্ধ করিয়া, প্রাণকে ভ্রূযুগলের মধ্যে ধারণ করিয়া, আত্মসমাধিরূপ যোগে অবস্থিত হইয়া ওঁ এই ব্রহ্মাত্মক একাক্ষর উচ্চারণপূর্ব্বক আমাকে স্মরণ করিতে করিতে যিনি দেহ ত্যাগ করিয়া প্রস্থান করেন তিনি পরম গতি প্রাপ্ত হন।

.................. ৮/(১২-১৩)


কীর্তন-ক্রতু-অগ্নি ও পত্র-পুস্প-ফল -জল ও পাপযোনী:


সততং কীর্ত্তয়ন্তো মাং যতন্তশ্চ দৃঢ়ব্রতাঃ।

নমস্যন্তশ্চ মাং ভক্ত্যা নিত্যযুক্তা উপাসতে।।

অনুবাদ: তাঁহারা যত্নশীল দৃঢ়ব্রত হইয়া ভক্তিপূর্ব্বক সর্ব্বদা আমার কীর্ত্তন এবং বন্দনা করিয়া নিত্য সমাহিত চিত্তে আমার উপাসনা করেন।

............... ৯/১৪


অহং ক্রতুরহং যজ্ঞঃ স্বধাহমহমৌষধম্।

মন্ত্রহহমহমেবাজ্যমহমগ্নিরহং হুতম্।।

অনুবাদ: আমি ক্রতু, আমি যজ্ঞ, আমি স্বধা, আমি ঔষধ, আমি মন্ত্র, আমিই হোমাদি-সাধন ঘৃত, আমি অগ্নি, আমিই হোম।

....................... ৯/১৬


পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রযচ্ছতি।

তদহং ভক্ত্যুপহৃত্মশ্নামি প্রযতাত্মনঃ।।

অনুবাদ: যিনি আমাকে পত্র, পুস্প, ফল, জল, যাহা কিছু ভক্তিপূর্ব্বক দান করেন, আমি সেই শুদ্ধচিত্ত ভক্তের ভক্তিপূর্ব্বক প্রদত্ত উপহার গ্রহণ করিয়া থাকি।

.................. ৯/২৬


মাং হি পার্থ ব্যপাশ্রিত্য যেহপি স্যুঃ পাপযোনয়ঃ।

স্ত্রিয়ো বৈশ্যাস্তথা শূদ্রাস্তেহপি যান্তি পরাং গতিম্।।

অনুবাদ: হে পার্থ, স্ত্রীলোক, বৈশ্য শূদ্র, অথবা যাহারা পাপযোনিসম্ভূত অন্ত্যজ জাতি তাহারাও আমার আশ্রয় লইলে নিশ্চয়ই পরমগতি প্রাপ্ত হন।

.................... ৯/৩২


পরম ধাম, লহ্মী, গায়ত্রী, একাংশ জগৎ:


পরং ব্রহ্ম পরং ধাম পবিত্রং পরমং ভবান্।
পুরুষং শাশ্বতং দিব্যমাদিদেবমজং বিভূম্।।

................ ১০/১২


মৃত্যুঃ সর্ব্বহরশ্চাহমুদ্ভবশ্চ ভবিষ্যতাম্।

কীর্ত্তিঃ শ্রীর্ব্বাক্ নারীণাং স্মৃতির্ম্মেধা ধৃতিঃ ক্ষমা।।

অনুবাদ: সংহর্ত্তাদিগের মধ্যে আমি সর্ব্বসংহারক মৃত্যু, ভবিষ্য প্রাণিগণেরও আমি উদ্ভব স্বরূপ; নারীগণের মধ্যে আমি কীর্ত্তি, শ্রী, বাক্‌, স্মৃতি, মেধা, ধৃতি, ক্ষমাএই সকল দেবতাস্বরূপ, অর্থাৎ সকল আমারই বিভূতি।

কীর্ত্তি, লক্ষ্মী, ধৃতি, সেবা, পুষ্টি, শ্রদ্ধা, ক্রিয়া, বুদ্ধি, লজ্জা, মতিদক্ষের এই দশ কন্যার ধর্মের সহিত বিবাহ হয়। এইজন্য ইহাদিগকে ধর্ম্মপত্নী বলে। উহার তিনটা এখানে উল্লিখিত হইয়াছে।

..................... ১০/৩৪


বৃহৎসাম তথা সাম্নাং গায়ত্রী চ্ছন্দসামহম্।

মাসানাং মার্গশীর্ষহহমৃতূনাং কুসুমাকরঃ।।

................. ১০/৩৫


যদ্ যদ্ বিভূতিমৎ সত্ত্বং শ্রীমদূর্জ্জিতমেববা।

তত্তদেবাবগচ্ছ ত্বং মম তেজোহংশসম্ভবম্।।

অনুবাদ: যাহা যাহা কিছু ঐশ্বর্য্যযুক্ত, শ্রীসম্পন্ন অথবা অতিশয় শক্তিসম্পন্ন তাহাই আমার শক্তির অংশসম্ভূত বলিয়া জানিবে।

................. ১০/৪১


অথবা বহুনৈতেন কিং জ্ঞাতেন তবার্জ্জুন।

বিষ্টভ্যাহমিদং কৃৎস্নমেকাংশেন স্থিতো জগৎ।।৪২

অনুবাদ:  অথবা হে অর্জ্জুন, তোমার এত বহু বিভূতিবিস্তার জানিয়া প্রয়োজন কি? (এক কথায় বলিতেছি) আমি এই সমস্ত জগৎ আমার একাংশ মাত্র দ্বারা ধারণ করিয়া অবস্থিত আছি।

.............১০/৪২


পরমেশ্বর-গুড়াকেশ

এবমেতদ্ যথাত্থ ত্বমাত্মানং পরমেশ্বর

দ্রষ্টুমিচ্ছামি তে রূপমৈশ্বরং পুরুষোত্তম।।

.................... ১১/৩


ইহৈকস্থং জগৎ কৃৎস্নং পশ্যাদ্য সচরাচরম্।

মম দেহে গুড়াকেশ যচ্চান্যদ্ দ্রষ্টুমিচ্ছসি।।

............ ১১/৭


গদা,চক্র- চতুর্ভুজ ও বাসুদেব-সৌম


কিরীটিনং গদিনং চক্রিণঞ্চ তেজোরাশিং সর্ব্বতো দীপ্তিমন্তম্।

পশ্যামি ত্বাং দুর্নিরীক্ষ্যং সমন্তাদ্ দীপ্তানলার্কদ্যুতিমপ্রমেয়ম্।।

অনুবাদ: কিরীট, গদা চক্রধারী, সর্ব্বত্র দীপ্তিশালী, তেজঃপুঞ্জস্বরূপ, প্রদীপ্ত অগ্নি সূর্য্যের ন্যায় প্রভাসম্পন্ন, দুর্নিরীক্ষ্য, অপরিমেয় তোমার অদ্ভূত মুর্ত্তি সর্ব্বদিকে সর্ব্বস্থানে আমি দেখিতেছি।

........................১১/১৭


কিরীটিনং গদিনং চক্রহস্তমিচ্ছামি ত্বাং দ্রষ্টুমহং তথৈব।

তেনৈব রূপেণ চতুর্ভূজে সহস্রবাহো ভব বিশ্বমুর্ত্তে।।

অনুবাদ: আমি কিরীটধারী এবং গদা চক্রহস্ত তোমার সেই পূর্ব্বরূপই দেখিতে ইচ্ছা করি। হে সহস্রবাহো, বিশ্বমূর্ত্তে, তুমি সেই চতুর্ভূজ মূর্ত্তি ধারণ কর।

..................১১/৪৬


ইত্যর্জ্জুনং বাসুদেবস্তথোক্ত্বা স্বকং রূপং দর্শয়ামাস ভূয়ঃ।

আশ্বাসয়ামাস ভীতমেনং ভূত্বা পুনঃ সৌম্যবপুর্মহাত্মা।।

........................১১/৫০


ক্ষেত্র-ক্ষেত্রজ্ঞ ও ব্রহ্মসুত্র:

ইদং শরীরং কৌন্তেয় ক্ষেত্রমিত্যভিধীয়তে।

এতদ্ যো বেত্তি তং প্রাহুঃ ক্ষেত্রজ্ঞ ইতি তদ্ বিদঃ।।

..........................১৩/২


ঋষিভির্বহুধা গীতং ছন্দোভির্বিবিধৈঃ পৃথক্।

ব্রহ্মসূত্রপদৈশ্চৈব হেতুমদ্ভির্বিনিশ্চিতৈঃ।।

................. ১৩/৫


হস্ত-পদ-চক্ষু,মস্তক,মুখ:

সর্ব্বতঃ পাণিপাদং সর্ব্বতোহক্ষিশিরোমুখম্।

সর্ব্বতঃ শ্রুতিমল্লোকে সর্ব্বমাবৃত্য তিষ্ঠতি।।

অনুবাদ: সর্ব্বদিকে তাঁহার হস্তপদ, সর্ব্বদিকে তাঁহার চক্ষু, মস্তক মুখ, সর্ব্বদিকে তাহার কর্ণঃ এইরূপে এই লোকে সমস্ত পদার্থ ব্যাপিয়া তিনি অবস্থিত আছেন।

..............................১৩/১৪


তপ:

তস্মাদোমিত্যুদাহৃত্য যজ্ঞদানতপঃক্রিয়াঃ

প্রবর্তন্তে বিধানোক্তাঃ সততং ব্রহ্মবাদিনাম্ ।।

অনুবাদ: এই হেতু ব্রহ্মবাদিগণের যজ্ঞ, দান তপস্যাদি শাস্ত্রোক্ত কর্ম সর্বদা ওঁউচ্চারণ করিয়া অনুষ্ঠিত হয়  

.....................১৭/২৪



No comments:

Post a Comment