Friday, May 14, 2021

অংশ নয় অংশু:

 অংশ নয় অংশু:


"দেবগন কর্তৃক প্রার্থিত হয়ে শ্রী হরি কেশদ্বয় উৎপাটন করলেন। তার একটি শুক্ল অপরটি কৃষ্ণবর্ণ। সেই কেশদ্বয় যদুকুল মহিলা রোহিনী এবং দেবকীতে আবিষ্ট হইয়াছিলো। শ্বেতবর্ণ কেশ বলভদ্র এবং কৃষ্ণবর্ণ কেশ কৃষ্ণরূপে উক্ত হন" 
#মহাভারত, আদিপর্ব ১৯৬।৩২-৩৩


এরপর উক্ত মহাভারতেই শ্রীকৃষ্ণ তাঁর ‘হৃষীকেশ’ নামেরও ব্যাখ্যা করেছেন : অগ্নি সূর্য প্রভৃতি তাপ ও কিরণ দ্বারা জগতকে আহ্লাদিত (হৃষ) করে, আর সেই কিরণরাজি ভগবানের কেশ সংজ্ঞায় অভিহিত হয়; এজন্যই তাঁহার নাম হৃষীকেশ ৷
অথবা, গীতার টীকাকারদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী—
হৃষীকেশ= হৃষীক (ইন্দ্রিয়) + ঈশ (কর্তা) ৷ 
অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ ইন্দ্রিয়গণের পরিচালক পরমাত্মা হওয়ায় তাঁর নাম হৃষীকেশ ৷
গীতায় সর্বপ্রথম শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে হৃষীকেশ নামটি ব্যবহৃত হয়েছে ১/১৫ শ্লোকে ৷ এ শ্লোকের টীকায় মধুসূদন সরস্বতী লিখেছেন, ‘সর্ব্বেন্দ্রিয় প্রেরকত্বেন সর্ব্বান্তর্যামি সহায়ঃ পান্ডবানামিতি কথয়িতুং হৃষীকেশপদং’ ৷


অংশুনা তে অংশু: পৃচ্যতাং পরুষা

অনুবাদ: হে দেব, আমার সুক্ষ্ম অবয়ব মোর সুক্ষ্ম অবয়বের সাথে বিলীন কর, আমার স্থুল অবয়ব তোমার স্থুল অবয়বের সহিত যুক্ত হোক।

………… কৃষ্ণ যজুর্বেদ ১/২/৬

No comments:

Post a Comment