Sunday, January 30, 2022

মাধ্বাচার্য্য কি কৃষ্ণের উপাসনা করেছিলেন?

 বৈষ্ণবীয় বাৎসল্য ভাব:




মাধ্বাচার্য্য কতৃক শ্যামের উপাসনা করা উডুপির বিগ্রহ। ধারনা করা হয় দাফরে রুক্মনী কতৃক শ্যামের এই বিগ্রহই উপাসনা করা হতো যেটাকে মাধ্বাচার্য্য উডুপিতে উপাসনা হেতু প্রতিষ্ঠা করেন।




মাধ্বাচার্যের দ্বাদশ স্ত্রোতের ষষ্ট্য স্ত্রোতের প্রথম ও সপ্তম স্ত্রোত কৃষ্ণকে নিয়ে,




এখান থেকে আমরা দেখলাম কৃ্ষ্ণকে দেবকি নন্দন রুপেই মাধ্বাচার্য্য উপাসনা করেছিলেন।




উডুপির কৃষ্ণ বিগ্রহ মাধ্বাচার্য্যের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।


বাৎসল্য ভাবে দেবকি নন্দন কৃষ্ণরুপি বিষ্ণুর উপাসনায় শ্রুতির সমর্থন:



   এষ হ দেব: প্রদিশোহনু সর্বা: পূর্বো হ জাত: স উ গর্ভে অন্ত:।

স এব জাত: স জনিষ্যমাণ: প্রত্যঙ্ জনাংস্তিষ্ঠতি সর্বতোমুখ:।।


অনুবাদ: এই পরম দেবতাই পূর্বাদি সমস্ত দিক ও অগ্নিকোণ প্রভৃতি অবান্তর দিক সকল ব্যাপিয়া আছেন; তিনিই সকলের পূর্বে আবির্ভূত হন। তিনিই গর্ভের অভ্যন্তরে বর্তমান, তিনিই শিশুরুপে জন্মগ্রহণ করেন এবং পরেও তিনিই জন্মিবেন। তিনিই সর্বোতমুখ হইয়া সকলের অভ্যন্তরে বাস করেন।


................. শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ ২/১৬ অথবা ৩২।



প্রশ্নে উঠতে পারে উক্ত মন্ত্রের অনুবাদে শিশু কোথ্থেকে আনলেন?

 

আরেকটি মন্ত্র দেখা যাক


এষ এস্য মদ্যোরহবো চষ্টে দিব: শিশু: য ইন্দুর্বারমাবিশৎ



অনুবাদ: (দিব্য শিশু)  দ্যুলোকের যে পুত্র (যে ইন্দু) যে সৌম বটে (বারং আ বিশাৎ) ছলনীমে প্রবেশ করে, ঐ আনন্দ বিতরনকারি সোমরস সবাইকে দেখেন।


……… সামবেদ ১২৭৭ অথবা ৪/৪/৩/১০ উত্তরার্চিক, সামবেদ। (সুবোধ ভাষ্য)





ইমমপাং সঙ্গমে সূর্যাস্য শিশু ন বিপ্রা মতিভী রিহন্তি।

অনুবাদঃ অন্তরিক্ষস্ত জল ও সূর্য্যের মিলনের জন্য বেন দেবতাকে স্তুতিবাক্যে পূজা করা হয় ঠিক যেমন মাতাপিতা শিশুকে আদর করেন।

............... কৃষ্ণ যজুর্বেদ ১/৪/৮


'শিশুং ন' উপমা দ্বারা অতি উচ্চভাব দেখানো হয়েছে। এখানে ভগবানের সহিত পিতাপুত্রের সম্পর্কে বাৎসল্য ভাবের বিকাশ দেখা যায়। পুত্রের মতো ভগবানকে ভালো ভালোবাসা।




প্রজাপতিশ্চরতি গর্ভেহঅন্তরজায়মানো বহুদা বি জায়তে।

                          তস্য যোনিং পরি পশ্যন্তি ধীরাস্তস্মিন্হ তস্তুর্ভূবনানি বিশ্বা।


অনুবাদ: প্রজাপালক পরমাত্মার সত্ত্বা সম্পুর্ণ পদার্থে বিদ্যমান, তিনি অজন্মা হয়েও অনেক রুপে প্রকট হন। ওনার কারন শক্তিতে সম্পূর্ণ ভূবন স্থিত। জ্ঞানী জনেরা ওনার মুখ্য স্বরুপ দেখতে পান।

………… শুক্ল যজুর্বেদ ৩১/১৯ (শ্রী রাম শর্মা-ভাষ্য)



জন্মকর্ম্ম  মে দিব্যমেবং যো বেত্তি তত্ত্বতঃ

ত্যক্ত্বা দেহং পুনর্জ্জন্ম নৈতি মামেতি সোহর্জ্জুন।।




অর্থঃ- হে অর্জ্জুনআমার এই দিব্য জন্ম  কর্ম্ম যিনি তত্ত্বতঃ জানেনতিনি দেহত্যাগ   করিয়া পুনর্ব্বার আর জন্মপ্রাপ্ত হন না – তিনি আমাকেই প্রাপ্ত হন

………… গীতা ৪/৯

 

এখানে দিব্য জন্মের কথা বলা হয়েছে। শঙ্করাচার্য্য ও রামানুচার্য্য উভয়ই এই জন্মকে অপ্রাকৃত বলেছেন। ইশ্বরের অপ্রাকৃত জন্ম স্বেচ্ছায় হয়ে থাকে। স্ক্রিণশটটি জগদীশ চন্দ্র ঘোষের গীতা ভাষ্য থেকে।









No comments:

Post a Comment