Friday, July 3, 2020

গোপালতপানি উপনিষধে রাধা: গোপীদের প্রতিনিধিত্বকারি প্রধান গোপীই পরোক্ষভাবে রাধা জাকে গান্ধর্বী বলা হয়েছে।


গোপালতপানি উপনিষধে রাধা:


   


অনেকে বলে থাকেন গোপালতপানি উপনিষধে নাকি রাধা নাই। তাহলে এই শ্রেষ্ঠ গান্ধর্বী কে? যিনি গোপীদের মধ্যে প্রতিনিধিত্ব করছেন? 😂😂😂😂 ভাগবত পুরানেও একইভাবে রাধার কথা রয়েছে। গোপীজনবল্লভ হলে আপনি গোপীকে অস্বীকার কি করে করবেন? রাধাকে শ্রেষ্ট গোপী বলা হয়েছে।


উত্তরভাগ:

শ্রু: তাসাং মধ্যে হি শ্রেষ্ঠা গান্ধর্ব্বীত্যুবাচ তং হি বৈ তাভিরেবং বিচার্য্য।।৯।।

অনুবাদ:   গোপীদিগের মধ্যে কাচিৎ গান্ধর্ব্বী নাম্নী প্রধাণা গোপী তাঁহাদিগের সহিত বিচার করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন।। 

  


স্ক্রীণশটটি স্বামী বি.ভি. ত্রিপুরারির গোপালতপানি উপনিষধের ভাষ্য থেকে দেওয়া হয়েছে। ভাষ্য অনুযায়ী মন্ত্রের সিরিয়াল আগপাছ আছে।

শ্রু:। কথং কৃষ্ণো ব্রহ্মচারী কথং দূর্ব্বাশনো মুনি: ।।১০

অনুবাদ: কিরুপে কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী এবং কি প্রকারেই বা মুনি দূর্ব্বাভোজী ।


শ্রু: । তাং হি মুখ্যাং বিধায় পূর্ব্বমনুকৃত্বা তূঞ্চীমানু: ।।১১।

অনুবাদ: অন্য স্ত্রীগণ কি করিলেন, এই আশঙ্খায় কহিতেছেন। অন্য স্ত্রীগণ গান্ধর্ব্বীকে প্রধাণা করিয়া বিধান পূর্ব্বক অগ্রবর্তিনী করিয়া পশ্চাৎ দেশে তূঞ্চিম্ভূত হইয়া রহিলেন।


শ্রু: । শব্দবানাকাশ :।।১২

অনুবাদ:  ভূত ও ভৌতিকের অন্তর্যামি আত্মার অক্রিয়ত্বপ্রযুক্ত কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী ইহা উপযুক্ত হইয়াছে এই অভিপ্রায়ে মুনিবর দূর্ব্বাসা কহিলেন, আকাশ শব্দগুণযুক্ত হয়।


শ্রু: । ইদং হি মনস্তোন্বেবং হি মনুতে ।।১৪।।

অনুবাদ: গান্ধর্ব্বী কহিলেন মুনে! তবে কিরুপে তোমার শব্দ শোনা যায়, এই আশঙ্কায় দুর্ব্বাসা কহিলেন যথা- রাধে!আকাশাদি পঞ্চভূতস্ত মন: চৈতন্যন্মিধানপ্রযুক্ত অহং ভোক্তা ইত্যাকার অভিমান করে। ১৪।।


স্ক্রীণশটটি বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর গোপালতপানির ভাষ্য থেকে দেওয়া হয়েছে।


পূর্ব্বভাগ:


শ্রু: । গোপীজনবল্লভজ্ঞাণেন তজ্জ্ঞাতং ভবতি।।৫।।

অনুবাদ: কাহার বিজ্ঞাণে বিশ্ব বিজ্ঞাতরুপে প্রকাশ পায়, এই প্রশ্নের উত্তর বলিতেছেন , যথা- (গোপীজনেতি) গোপীজনবল্লভজ্ঞাণ নিমিত্ত বিশ্বজ্ঞাত রুপে প্রকাশ পায়। তাৎপর্য্য । যিনি এই পরিদৃশ্যমান জগৎকে নামরুপ দ্বারা রক্ষা করিতেছেন অথবা পরম পুরুষ পরমব্রহ্মকে সম্বরণ করিতেছেন, এই অর্থে গোপী প্রকৃতি অর্থ্যাৎ মায়া, তাহা হইতে প্রপঞ্চ জন্মিয়াছে, এজন্য গোপীজন অর্থাৎ জগৎ. তাহার বল্লভ অর্থাৎ স্বামী সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়াধার স্বরুপ, ইহার বিজ্ঞাণে বিশ্ব বিজ্ঞাত রুপে প্রকাশ পায়।যেমন মৃৎপিণ্ড জ্ঞাননিমিত্ত সমস্ত মৃন্ময়রুপে পরিজ্ঞাত হয় তদ্রুপ।

 


স্ক্রীণশটটি বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর গোপালতপানির ভাষ্য থেকে দেওয়া হয়েছে।


শ্রু:। তদুহোচু: ক: কৃষ্ণো গোবিন্দশ্চ কোহসাবিতি গোপীজনবল্লভ: ক: কা স্বাহেতি।।৭

অনুবাদ: এই ব্রহ্মা কর্ত্তৃক পৃঢ়ার্থ উক্ত হইলে তদর্থ জিজ্ঞাসু মুনিগণ সংশয় পূর্ব্বক ব্রহ্মাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ব্রহ্মণ! কৃষ্ণ কে? গোবিন্দ কাহাকে বলে গোপীজনবল্লভ কে? স্বহাই বা কাহার নাম?





No comments:

Post a Comment