গর্গ সংহিতায় রাধা, রাধা শব্দের অর্থ, রাধা-কৃষ্ণের বিবাহ, তিলক ধারন, শঙ্খচুড়ের কাহিনী।
শ্রিয়া যুক্ত: স্বায়ুধাঢা: পার্ষদৈ: পরিসেবিত:।
সম্প্রলীনো বভুবাশু সোহপি শ্রীকৃষ্ণবিগ্রহে।। ৫।।
অনুবাদ: অনন্তর সহস্রবাহু সমান্বতসায়ধ সলহ্মীক-পার্ষদপরিসেবিত
ভুমা শ্বেতদ্বীপপতি লহ্ম শ্বেতবর্ণ অশ্বযুক্ত রথে আরোহণ পূর্ব্বক আসিয়া তৎক্ষণাৎ শ্রীকৃষ্ণ
বিগ্রহে সালীন হলেন।
…………… গোলক খন্ড, তৃতীয় অধ্যায়, শ্লোক নং ০৫
রময়া তু রকার: স্যাদাকারস্ত্বাদিগোপিকা ।
ধকারো ধরয়া হিস্যাদাকারো বিরজা নদী ।।৬৮।
শ্রীকৃষ্ণস্য পরস্যাপি চতুর্ধা তেজসেহভবৎ ।
লীলা ভূ: শ্রীশ্চ বিরজা চতস্র: পত্ন্য এব হি।।৬৯
সম্প্রলীননাশ্চ তা: সর্ব্বা রাধয়াং কুঞ্জমন্দিরে।
পরিপুর্ণতমাং রাধাং তস্মাদাহর্স্মনীষিণ: ।।৭০।।
অনুবাদ: রকার অর্থে রমা, আকার অর্থে আদিগোপী, ধকার অর্থ
ধরা, আকার অর্থে বিরজা নদী; ইহা পরৎপর শ্রীকৃষ্ণের তেজ হইতে উৎপন্ন ; লীলা, ভু, শ্রী
ও বিরজা এই চারটি শ্রীকৃষ্ণের পত্নী। এই সব কুঞ্জ মন্দিরে রাধা দেহে সংলীন হয়, এজন্য
রাধাকে মনীষিগণ পরিপূর্ণতম বলিয়া থাকেন।
…………… গোলক খন্ড, অধ্যায় ১৫, শ্লোক (৬৮-৭০)
স্ক্রীণশটটি পঞ্চানন তর্করত্ন এর গর্গ সংহিতার ভাষ্য থেকে দেওয়া।
স বাহুয়ামাস হরিঞ্চ রাধিকাং প্রদক্ষিণং সপ্ত হিরণ্যরেতস:।
ততশ্চ তৌ তে প্রণময্য বেদবিত্তৌ পাঠয়ামাস চ সপ্তমন্ত্রকম্
।।৩১
অনুবাদ: বেদ-বিধিজ্ঞ ব্রহ্মা রাধা-কৃষ্ণের সপ্তবার অগ্নি
প্রদক্ষিণ ও তাঁহাদিগের দ্বারা প্রণাম করাইলেনএবং
তারপর সপ্তমন্ত্র পাঠ করাই বিবাহ বিধি সম্পন্ন করিলেন।
………… গোলক খন্ড, অধ্যায় ১৬, শ্লোক ৩১
রাসেশ্বর্য্যা কৃষ্ণপত্ন্যা তুলসীসেবনে কৃতে। ২।
অনুবাদ: রাসেশ্বরী কৃষ্ণ পত্নী দ্বারা তুলসী সেবা।
…………… বৃন্দাবন খন্ডম, অধ্যায় ১৭, শ্লোক ০২
রাধা শ্রীবিরজা ভুশ্চ তিস্র: পত্ম্যেহভবন্ হরে:
তাসাং রাধা প্রিয়াতীব শ্রীকৃষ্ণস্য মহাত্মন: ।।৪
অনুবাদ: রাধা, বিরজা ও ভুমি হরির এই তিন পত্নী; তন্মেধ্যে
রাধাই মহাত্ম শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয়া।
………… বৃন্দাবন খন্ডম, অধ্যায় ২৫, শ্লোক ৪
রাধার অভিশাপে
শ্রীদামের শঙ্খচুড় হওয়ার উপাখ্যান
…………
বৃন্দাবন খন্ডম, অধ্যায় ২৬, শ্লোক (৩২-৪৬)
ঋভু ঋষির মুক্তি রাধা কৃষ্ণের দ্বারা।
…………… মথুরাখন্ডম, অধ্যায় ২০-২১
তুলশীমালিকাভিশ্চ হ্যুর্দ্ধপুন্ড্রধরা দ্বিজা: ।
গোপীচন্দনকাশ্মীলের্হরিমন্দিরচর্চ্চিতা: ।। ৪৬।।
শ্যামবিন্দুধরা: সর্ব্বে শ্রীধরা: কেচিদেব হি।
তিলকৈর্দ্বাদশৈর্ষুক্তা অষ্টমুদ্রাধরা: পরা: ।।৪৭।।
অনুবাদ: তুলসীমাল্য ও উর্দ্ধপুন্ড্র ধারণ করেন; গোপীচন্দন,
কুম্কুমাদি দ্বারা হরিমন্দিরাদি মুদ্রা ধারন করিয়া থাকেন। কেউ শ্যাম বিন্দু ধারন আর
কেউ বা শ্রী ধারন করেন, সকলেই দ্বাদশ তিলক
ও অস্টমুদ্রা ধারণ করেন।
……………… অশ্বমেদ খন্ডম, অধ্যায় ৫১, শ্লোক ৪৫-৪৭
No comments:
Post a Comment