কাপি তেন সমং যাতা কৃতপুণ্যা মদালসা ।
পদানি তস্যাশ্চৈতানি ঘনান্যল্পতসনি চ।।৩২
পুস্পাবচয়মত্রৌচ্চৈশ্চক্রে দামোদরো ধ্রুবম্ ।
যেনাগ্রাক্রান্তিমাত্রাণি পদান্যত্র মহাত্মন: ।।৩৩
অনুবাদ: আরও দেখ, কৃষ্ণের সহিত কোনো পুণ্যবতী রমনী মদালসভাবে গমন করিয়াছে, তাহার এই সকল নিবিড় ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পদচিহ্ন দেখা যাইতেছে। সখি! এই স্থানে মহাত্মা দামোদর উচ্চ হইয়া পুস্পচয়ন করিয়াছেন, তাহার সন্দেহ নাই। কারন এই সকল স্থানে তাঁহার পদের অগ্রভাগই চিহ্নিত হইয়াছে।
................. অধ্যায় ১৩, পঞ্চমাংস।
স্ক্রীণশটটি পঞ্চানন তর্কারত্নের ভাষ্য
অত্রোপবিশ্য সা তেন কাপি পুস্পৈরলম্কৃতা।
অন্যজন্মনি সর্ব্বাত্মা বিষ্ণুরভ্যর্চ্চিতো যয়া।।৩৪
পুস্পবন্ধনসম্মান-কৃতমানামপাস্য তাম্
নন্দগোপসুতো যাতো মার্গেণানেন পশ্যত।।৩৫
অনুবাদ: পূর্বজন্মে যে ভাগ্যবতী পুস্পদ্বারা সর্ব্বাত্মা ভগবান্ বিষ্ণুর অভ্রর্চ্চণা করিয়াছিলো, ভগবান কৃষ্ন এখানে বসিয়া তাহাকে পুস্প দ্বারা সাজাইয়াছেন। এই তাহার চিহ্ন দেখ। এই দেখ এই পথ অবলম্বন করিয়া, নন্দগোপসূত, সেই পুস্পবন্ধনরুপ সম্মানলাভে মানময়ী রমণীকে পরিত্যাগ করিয়া প্রস্থান করিয়াছেন। সখি! এই স্থানে কৃষ্ণপদচিহ্নের পাছ আর একজন নারীর পদচিহ্ন।
................. অধ্যায় ১৩, পঞ্চমাংস।
এখানে ৩৪ নং শ্লোকটিতে খেয়াল করলে দেখা যাবে যে অন্য জন্ম লেখা। এটা থেকে স্পস্ট হয়ে যায় যে অন্য জন্মেও ইনিই কৃষ্ণের সহিত থাকেন ও ছিলেন।
এখন দেখা যাক অন্যভাষ্যকর এই শ্লোকটি নিয়ে কি বলেন?
স্ক্রীণশটটি শ্রীধরাচারিয়ার বিষ্ণু পুরানের সংস্কৃত কমেন্টেরি
এখানে স্পস্ট করেই কৃষ্ণাজানুম বলা হয়েছে। অর্থাৎ কৃষ্ণের জান সেই গোপী যিনি অন্য জন্মেও কৃষ্ণের সহিত থাকেন।
অনুযানেহসমর্থান্য নিতম্বভরমস্থরা ।
যা গন্তব্যে দ্রুতং যাতি নিম্নপাদাগ্রসংস্থিতি: ।।৩৬
হস্তন্যস্তাগ্রহস্তেয়ং তেন যাতি তথা সখি।
অনায়ত্তপদন্যাসা বক্ষ্যতে পদপদ্ধতি: ।।৩৭
অনুবাদ: দেখিয়া বোধ হইতেছে, এই নারী নিতম্বভারে মন্থর গমনা, সুতরাং অনুগমনে অসমর্থা হইলেও গন্তব্য স্থানে দ্রুত গমন করিয়াছেন; কারণ ইহার পদের অগ্রভাগের স্থিতি চিহ্ন নিম্ন বলিয়া বোধ হইতেছে। সখি এই স্থান দিয়া কৃষ্ণ, তাহার অগ্রহস্ত নিজ হস্তে ধারণপূর্ব্বক লইয়া গিয়াছেন, কারণ উক্ত রমনীয় পদবিন্যাস অন্যায়ভাবেই হইয়াছে, ইহা স্পস্ট লক্ষিত হইতেছে।
................. অধ্যায় ১৩, পঞ্চমাংস।
হস্তসংস্পর্শমাত্রেণ ধূর্ত্তেনৈষা বিমানিতা ।
নৈরাশ্যমন্দগামিন্যা নিবৃত্তং লক্ষতে পদম্ ।।৩৮
ননমুক্তা ত্বরামিতি পুররেষ্যামি তেহন্তিকম্ ।
তেন কৃষ্ণন যেনৈষা ত্বরিতা পদপদ্ধতি: ।৩৯
অনুবাদ: আহা এখানে কোনো রমণী ধূর্ত্তের করস্পর্শ মাত্রেই পরিত্যক্তা হইয়াছে; কারণ নিরাশায় মন্দাগামিনী সেই রমণীর পদচিহ্ন এই স্থান হইতে প্রতি নিবৃত্ত হইয়াছে। এই স্থলে কৃষ্ণ কোনো গোপীকে, ”তুমি এখানে অবস্থিত কর, এই খানে একজন অসুর বাস করে, আমি তাহকে হনন করিয়া সত্বর তোমার নিকট আগমন করিতেছি।” এই প্রকার কোনো বাক্য বলিয়া প্রস্তান করিয়াছেন।
................. অধ্যায় ১৩, পঞ্চমাংস।
এখন দেখুন পদ্যাংশ আকারে বিষ্ণু পুরানের আরেকটি ভাষ্য এখানে সরাসরি রাধাপতি বলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment