তত: সসম্ভম: পার্থ: সমুথায় মুদান্বিত: ।
অসঙ্খ্যহর্ষপূর্ণাাত্মা দন্ডবত্তাং ননাম হু।।৪৮
আজ্ঞপ্তস্য তয়া সার্দ্ধং দেবী বয়স্যয়ার্জ্জুন: ।
গতো রাধাপতিস্থানং যৎসিদ্ধৈরপ্যগোরম্ ।।৪৯
ততশ্চ সদুপাদষ্টে গোলোকাদুপরিস্থিতিম্।
স্থিরং বায়ুধৃতং নিত্যং সত্যং সর্ব্বসুখাস্পদম্ ।।৫০
নিত্যং বৃন্দাবনং নাম নিত্যরাসমহোৎসবম্।
অপশ্যং পরমং গুহ্য পুর্ণপ্রেমরসাত্মকম্ ।। ৫১
অনুবাদ: পার্থ তথায় দেবীকে দর্শনমাত্রে আনন্দিত ও ত্বরাবান্
হইয়া দন্ডবৎ প্রণাম করিলেন ও দেবীর আদেশক্রমে তদীয় সহচরীর সহিত সিদ্ধদিগেরও অগোচর সেই
রাধাপতির বিহারগৃহে উপস্থিত হইলেন। যাহা গোলোকেরও উপরি বর্ত্তমান, বায়ুসাহায্যে অন্তরীক্ষে
অবস্থিত, সর্ব্বসুখের আস্পদ, নিত্য রাস বিহারে মহোৎসবপ্রদ, পূর্ণপ্রেমরস সেই আতি গুহ্য
নিত্যধাম বৃন্দাবনকে দেখিতে পাইলেন।
গোপনাদুচ্যতে গোপী রাধিকা কৃষ্ণবল্লভা।৫২
দেবী কৃষ্ণময়ী প্রোক্তা রাধিকা পরদেবতা।
সর্ব্বলহ্মীস্বরুপা সা কৃষ্ণাহ্লাদস্বরুপিণী।।৫৩
তত: সা প্রোচ্যতে বিপ্র হ্লাদিনীতি মনীষিভি:।
তৎকলাকোটিকোট্যংশা দুর্গাদ্যাস্ত্রিগুণাত্মিকা ।।৫৪
সা তু সাক্ষান্মহালহ্মী: কৃষ্ণো নারায়ণ: প্রভু:
নৈতয়োর্ব্বিদ্যতে ভেদঃ স্বল্পহপি মুনিসত্তম।।৫৫
ইয়ং দূর্গা হরি রুদ্র: কৃষ্ণ: শক্র ইয়ং শচী
সাবিত্রীয়ং হরির্ব্রহ্মা ধুমোর্ণাসৌ যমো হরি: ।।৫৬
বহুনা কিং মুনিশ্রেষ্ঠ বিনা তাভ্যাং ন কিঞ্চন
চিদচিল্লক্ষণং সর্ব্বং রাধাকৃষ্ণময় জগৎ ।।৫৭
অনুবাদ: কৃষ্ণপ্রিয়া রাধিকার নিজের অংশস্বরুপ এই জগৎপ্রপঞ্চের
অন্তরঙ্গ মায়াদিশক্তি এবং জগৎপ্রপঞ্চের অন্তর
চিদাদি শক্তিদ্বারা গোপন অর্থ্যাৎ রক্ষা করিতেছেন, বলিয়া তাহরে নাম গোপী হইয়াছে এবং
তিনি কৃষ্ণময়ী বলিয়া পরমদেবতা এই কারনে সর্ব্বারাধ্যা, তাই তাহাকে রাধিকা বলা হয়। তিনি
সর্ব্বলহ্মীস্বরুপা এবং কৃষ্ণের আনন্দরুপিণী। হে বিপ্র! সেই কারণেই মনীষিগণ তাঁহাকে
হ্লাদিনী বলিয়া থাকেন। ত্রিগুণময়ী দূর্গা প্রভৃতি শক্তিগণ তাঁহারই কোটি কলার কোটি-অংশের
এক অংশ। তিনি সাক্ষাৎ মহালহ্মী আর কৃষ্ণ সাক্ষাৎ প্রভু নারায়ন। হে মুনিসত্তম! ইহাদের
অনুমাত্র প্রভেদ নাই। রাধিকা –দুর্গা, কৃষ্ণ-রুদ্র, রাধিকা-শচী, কৃষ্ণ-ইন্দ্র, রাধিকা-সাবিত্রী,
কৃষ্ণ-ব্রহ্মা, রাধিকা-ধূমোর্ণ্য, কৃষ্ণ-যম। হে মুণে অধিক কি বলিব? তাঁহারাই- সব, সেই
রাধাকৃষ্ণ ব্যতিরেখে আর কিছুই নাই।
……………… শ্লোক (৫২-৫৭), অধ্যায় ৫০, পাতাল খন্ডম, পদ্মপুরান।
স্ক্রীণশটটি গীতাপ্রেসের পদ্মপুরানের পাতাল খন্ডের সংস্কৃত থেকে
এখানে উল্লেখ করা হলো যে সনৎ কুমার সংহিতাতেও এই শ্লোকগুলি বিদ্যমান।
বৃন্দাবনের রাধাই দ্বারকায় রুক্মীনি:
শিবকুণ্ডে শিবানন্দা বন্দিনী দেহিকাতটে।
রুক্মীণী দ্বারবত্যান্ত রাধা বৃন্দাবন বনে। ৩৬।
দেবকী মথুরায়ন্ত্ত জাতা মে পরমেশ্বরী ।
চন্দ্রকুটে তথা সীতা বিন্ধ্যে বিন্ধ্যনিব সিনী।।৩৭
বায়াণস্যাং বিশালাহ্মী বিমলা পুরাষোত্তমে।
বৃন্দাবনাধিপত্যঞ্চে দত্তং তস্মৈ প্রসীদতা। ৩৮
অনুবাদ: এই রাধিকায় শিবকুন্ডে শিবানন্দা, দেবীকাতটে নন্দিনী,
দ্বরকায় কুক্মীণী, এই বৃন্দাবনে রাধা, মথুরায় দেবকীরুপে আমাদের পরমেশ্বরী, চন্দ্রকুটে
সীতা, বিদ্ধ্যাচলে বিদ্ধ্যবাসিনী, বারাণসীতে বিশালাক্ষী, ও পুরাষোত্তম বিমলা নামে
বিরাজ করেন।
…………… শ্লোক (৩৬-৩৮)
অধ্যায় ৪৬, পাতাল খন্ডম, পদ্ম পুরান।
উপরের তথ্য থেকে জেনে গেলাম যে রাধা-কৃষ্ণের উপাসনা করলে সকল উপাসনা হয়ে যায়।
আসুন তিলক সম্পর্কে কিছু জেনে নেই
বামভাগে স্থিতো ব্রহ্মা দক্ষিণে ভু সদাশিব:
মধ্যে বিষ্ণুং বিজনীয়াত্তস্মান্মধ্যং ন লেপয়েৎ।।২৮
অনুবাদ: উর্দ্ধ্পুন্ড্রের বামভাগে ব্রহ্মা ও দহ্মিণে সদাশিব
অবস্থিত থাকেন এবং মধ্যস্থলে বিষ্ণুকে জানিবে। তজ্জন্য উহার মধ্যস্থান লেপন অবিধেয়।
……… শ্লোক নং ২৮. অধ্যায় ৪৮, পাতাল খন্ডম, পদ্ম পুরান
শ্রীকৃষ্ণ দ্বারা শিবের যুগল মন্ত্র দীক্ষা প্রাপ্তি ...
পাতালখন্ডম,
পৃষ্ঠা নম্বর ৫৬৫ ও শিব বলছেন মার্ক করে দেওয়া হয়েছে
No comments:
Post a Comment