ছবি: নারদ পুরানের স্ক্রিনশট
গঙ্গায়ৈ রাধিকামন্ত্রং প্রদদৌ কমলোদ্ভব।
তৎস্তোত্রং কবচং পূজাবিধানং ধ্রানমেব চ ।১২৭।
সর্ব্বং তৎসামবেদোক্তং পুরশ্চর্য্যা ক্রমং তথা ।
গঙ্গা তামেব সংপূজ্য বৈকণ্ঠং প্রযযৌ সতী ।১২৮।
অনুবাদ: অত:পর কমলযোনি ব্রহ্মা গঙ্গাদেবীকে সামবেদোক্ত
রাধিকামন্ত্র এবং রাধিকার স্তোত্র কবচ পূজাবিধি ধ্যান ও পুরশ্চরণ প্রভৃতি সমস্ত উপদেশ
প্রদান করিলেনতিনি ব্রহ্মানর উপাদিস্ট মন্ত্রানুসারে সেই কৃষ্ণবিলাসিনী রাধাকে পূজা
করিয়া বৈকুন্ঠে গমণ করিলেন ।।১২৭। ১২৮।।
…………… শ্লোক (১২৭-১২৮), অধ্যায় ১১, প্রকৃতি খন্ডম
তদ্বামাংশামাহালহ্মাীর্দ্দক্ষিণাংশ চ রাধিকা।
রাধাদৌবরষামাস দ্বিভুজঞ্চপরাৎপরং।।১০।।
অনুবাদ: তৎকালে যিনি তাঁহার বামাংশজাতা হইলেন তিনি মহালহ্মী
নামে প্রসিদ্ধা এবং যিনি দক্ষিণাংশজাতা হইলেন
তিনি রাধিকা নামে খ্যাতিলাভ করিলেন। তন্মেধ্যে প্রথমে কৃষ্ণমনোমহিনী শ্রীমতী রধিকা পরাৎপর
পরমেশ্বর দ্বিভুজ হরিকে বরণ করিলেন। ১০।
…………… শ্লোক ১০, অধ্যায় ৩৫, প্রকৃতি খন্ডম।
অথসা দক্ষিণাদেবী ধ্বস্তাগোলকতোমুনে।
সুচিরঞ্চ তপস্তপ্ত্বা বিবেশ কমলাতনৌ। ৩৫
অনুবাদ: এদিকে দক্ষিণীদেবী রাধিকার অভিশাপে গোল্যেকচ্যুতা
হইয়া বহুদিন তপস্যা পুর্ব্বক কমলাদেহে প্রবিষ্ট হইলেন।।
…………… শ্লোক নং ৩৫, অধ্যায় ৪২, প্রকৃতি খন্ডম।
যজ্ঞ উবাচ।
পুরা গোলোক গোপীযং গোপীনাং প্রবরাপরা।
রাধাসমাতংসখীচ শ্রীকৃষ্ণপ্রেয়সী প্রিয়ে।।৭২।
কার্ত্তিকীপূর্ণিমায়ান্ত রাসে রাধামহোৎসবে।
আবির্ভুতা দক্ষিণাংশাৎ কৃষ্ণস্য তেন দক্ষীণা। ৭৩
অনুবাদ: যজ্ঞ কহিলেন, দেবি! শ্রীমতী রাধিকা যেমন শ্রীকৃষ্ণের
প্রেয়সী তদ্রুপ তুমিও গোলকদামে স্ রাধিকার তুল্য প্রধানা গোপিকারুপে কৃষ্ণপ্রিয়া হইয়া
অবস্থান করিয়াছিলে। ৭২।
কার্ত্তিকী পূর্ণিমাতে রাস মন্ডলে যে কৃষ্ণপ্রানা শ্রীমতি
রাধার মহোৎসব হইয়াছিল সেই সময়ে শ্রীকৃষ্নের দক্ষিণাংশ হইতে সহসা তুমি আবির্ভুতা হওয়াতে
দক্ষিণা নামে প্রসিদ্ধা হইয়াছ।73
………… শ্লোক নং (৭২-৭৩), অধ্যায় ৪২, প্রকৃতি খন্ডম
কৃষ্ণেন সহ রাধায়াঃ পুণ্যে বৃন্দাবন বনে।
বিবাহং কারয়ামাস বিধিনা জগতাং নিধিং।৪১
স্বপ্নে রাধাপদাম্ভোজং নহি পশ্যন্তি বল্লবাঃ।
স্বয়ং রাধা হরেঃ ক্রোড়ে ছায়া রায়ান মন্দিরে।।৪২
অনুবাদঃ তৎপরে ব্রহ্মা পবিত্র বৃন্দাবন বনমধ্যে শ্রীকৃষ্ণের সহিত রাধিকার বিবাহ বিধি সম্পাদন করিয়াছিলেন। গোপগন স্বপ্নেও শ্রীমতির চরণকমল দর্শন করিতে সমর্থ হয় নাই, কারণ রাধিকা স্বয়ং কৃষ্ণক্রোড়ে বিরাজমান, কেবল ছায়ারুপে রায়ান মন্দিরে বাস করিয়াছিলেন।
............ ৪১,৪২ নং শ্লোক, প্রকৃতি খন্ড, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান।
পঞ্চানন তর্করত্ন মহাশয়ের বাংলা ভাষ্য ব্রহ্মখন্ডে বলা হয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রাণ হতে রাধারাণী উদ্ভূত। এখন সেই অংশ ঠিক না প্রক্ষিপ্ত সেবিষয়ে বলবেন। আর যদি ঠিক হয় তাহলে দুই খন্ডের এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য সম্বন্ধে একটু আলোকপাত করবেন। হরেকৃষ্ণ!🙏🌷
ReplyDeleteপঞ্চানন তর্করত্ন মহাশয় শিবপুরানে জ্ঞাণসংহিতা নামক একটি সংহিতা যোগ করিয়া মোট ৬টি সংহিতায় শিবপুরান বাংলা ভাষ্য বের করিয়াছেন। কিন্তু শিব পুরানের দ্বাদশ সংহিতায় জ্ঞাণ সংহিতা নামক কোনো সংহিতা বিদ্যমান নহে। পঞ্চানন তর্করত্ন মহাশয়ের অনেক বাংলা ভাষ্যেই এরকম অনেক প্রক্ষিপ্ত কাহিনী খুঁজে পাওয়া যায়।
Delete