.................. অধ্যায় ৩৪৮ মহাভারত(কালিপ্রসন্ন সিংহ।)
কীর্তি যে নক্ষত্র দেবী তাহা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
শ্রীশ্চ তে লহ্মীশ্চ পত্ন্যাবহোরাত্রে পার্শ্বে নক্ষত্রাণি রুপমশ্বিনৌ ব্যাত্তম্। ইঞ্চন্নিষাণামুং ম ইষাণ সর্বলোকং ম ইষাণ।।
অনুবাদ: এখানে শ্রী অর্থে সর্বজনের আশ্রয়যোগ্য সম্পদ অর্থাৎ ভূদেবী লহ্মী শব্দে সৌন্দর্য্য অর্থাৎ লহ্মীদেবী আর নক্ষত্র অর্থে নিজের রুপ অর্থ্যাৎ রাধা/নিলা দেবী।
………… শুক্ল যজুর্বেদ ৩১/২২
আসুন দেখে নেই গীতা প্রেসের মহাভারত কি বলে?
নারায়নপরা কীর্তি: শ্রীচ্ছ লহ্মীচ্ছ দেবতা:।
নারায়ণপরং সাংখ্যং যোগো নারায়ণাত্মক:।।
অনুবাদ: কীর্তি, শ্রী এবং লহ্মী আদি দেবতার নারায়ণই পরম আশ্রয় মানা হয়। সাংখ্যের পরম তাৎপর্যও নারায়ণই আর যোগও নারায়ণেরই স্বরুপ।
............... ৮৭নং শ্লোক, ৩৪৭অধ্যায়, মহাভারত(গীতাপ্রেস)
মৃত্যুঃ সর্ব্বহরশ্চাহমুদ্ভবশ্চ ভবিষ্যতাম্।
কীর্ত্তিঃ শ্রীর্ব্বাক্ চ নারীণাং স্মৃতির্ম্মেধা ধৃতিঃ ক্ষমা।।
অনুবাদ: সংহর্ত্তাদিগের মধ্যে আমি সর্ব্বসংহারক মৃত্যু, ভবিষ্য প্রাণিগণেরও আমি উদ্ভব স্বরূপ; নারীগণের মধ্যে আমি কীর্ত্তি, শ্রী, বাক্, স্মৃতি, মেধা, ধৃতি, ক্ষমা – এই সকল দেবতাস্বরূপ, অর্থাৎ ঐ সকল আমারই বিভূতি।
................ ১০/৩৪ গীতা।
মাধ্বাচার্য্য সম্প্রদায়ের হরিদাস আচার্য্য- শ্রীপাদবিজয়দাস(তীর্থ)তার রাধিকা হৃদয়া অম্বুজা নিন্দাতে কীর্ত্তি হিসাবে (গীতা ১০/৩৪) রাধিকাকে পল্লবী হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
কীর্তি অর্থে রাধাকে বুঝিয়েছে তার আরো একটি প্রমান:
রাধাবং কীর্তিদাসুতা
......... ৩০৭নং শ্লোক, সনত কুমার সংহিতা।
No comments:
Post a Comment