বেদের বরাহরুপি পরমেশ্বর:
বেদের বরাহ অবতার আলোচনার পূর্বে চলুন একটু মহাভারত থেকে জেনে নেই বরাহ অবতার সম্পর্কে:
হংস:, কূর্মশ্চ মৎস্যশ্চ প্রদুর্ভাবা দ্ধিজোক্তম।। ১০৩।।
বরাহো নরসিংহশ্চ বামনো রাম ইব চ।
রামো দাশারথিচৈব সাত্বত: কল্কিরেব চ।।১০৪।।
অনুবাদ: দ্বিজশ্রেষ্ঠ! হংস, কূর্ম, মৎস্য, বরাহ, নরসিংহ, বামন, পরশুরাম, দশরথনন্দন রাম, যদুবংশি শ্রীকৃষ্ণ তথা কল্কি- যে সব অবতার ।
.................... ১০৩-১০৪শ্লোক৩৪১অধ্যায়৫৩৫২পৃ, শান্তি পর্ব, মহাভারত(গীতা প্রেস)
এখন আসুন দেখি অবতার সম্পর্কে বেদে কি বলা হয়েছে:
এখানে মহাবিষ্ণুর অবতার পূর্ণ: প্রকীর্তিতা: বলা হয়েছে।
আসুন দেখে নেই বেদে সরাসরি সূকর কোথায় রয়েছে:
ত্বং সূকরস্য দর্দৃহি তব দর্দূর্তু সূকর:।
স্তোতৃনিন্দ্রস্য রায়সি কিমস্মাসান্দুচ্ছুনায়সে নি ষু স্বপ।।
ছবিটি স্বামী দিব্যানন্দ এর ঋগ্বেদ ভাষ্য থেকে দেওয়া। এখানে সূকর অর্থে নারায়নকে বুঝিয়েছেন।
ছবিটি তথাকথিত আর্য্য সমাজি হরিশরন সিদ্ধান্ত লংকারের ঋগ্বেদ ভাষ্য থেকে নেওয়া এখানে সূকর অর্থে উত্তম কাজ যিনি করেন, উত্তম রীতি দ্বারা বশ করেন, উত্তম যুদ্ধকর্তা।
এই মন্ত্রের দেবতা ইন্দ্র। এটা থেকে স্পস্ট হওয়া যায় যে সূকর রুপের নিকট প্রার্থনা করা হয়েছে।
................... ঋগ্বেদ ৭/৫৫/৪
আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই বিরাট পুরুষের পশু রুপের কথা:
সপ্তাস্যাসন্ পরিধয়স্ত্রি: সপ্ত সমিধ: কৃতা:। দেবা যদ্যজ্ঞং তম্বানা অবধ্ন পুরুষং পশুম্।
……… শুক্ল যজুর্বেদ ৩১/১৫
এখানে থেকে বোঝায় যায় ঈশ্বর পশুর রুপ ধারন করেন।
আসুন এখন দেখে নেই কোথায় কোথায় বরাহ অবতারের কথা রয়েছে:
এখন দেখা যাক শতবাহু যুক্ত বরাহরুপি পরমাত্মার কথা সরাসরি:
অশ্বক্রান্তে রথক্রান্তে বিষ্ণুক্রান্তে বসুন্ধরে।
শিরসা ধারিতা দেবি রক্ষস্ব মাং পদে পদে।।
উদ্ধৃতাসি বরাহেণ কৃষ্ণেন শতবাহুনা।
ভূমির্ধেনুর্ধরিত্রী চ ধরণী লোকধারিণী।
ছবিটি মহানারায়ন উপনিষধের রামকৃষ্ণ মিশনের ভাষ্য থেকে নেওয়া।
অনুবাদ: হে দেবি, বসুন্ধরা অশ্বসমুহ তোমাকে পদক্ষেপ করেছে, রথগুলি ধাবিত হয়েছে, বিষ্ণু (বামনরুপে) পদক্ষেপ করেছেন। (স্নানকালে) তুমি মস্তকে ধৃত হয়ে পদে পদে আমাকে রক্ষা করো। তুমি বরাহরুপী শতবাহু কৃষ্ণের দ্বারা উদ্ধৃত হয়েছ। তুমি লোকধারণকারী পৃথিবী, ধেনু, তুমি ধরিত্রী, আশ্রয়দাত্রী।
……… কৃষ্ণযজুর্বেদীয় তৈতেরীয় আরন্যক ১০/১/৮ অথবা মহানারায়ন উপনিষধ ৪/(৪-৫)
দিবো বরাহমরুষং কপর্দিনং ত্বেষং রুপং নমস্য নি হ্বয়ামহে।
হস্তে বিভ্রদ্ভেষজা বাষাণি শর্ম বর্ম ছর্দিরস্মভ্যং যৎসৎ।।৫
ছবিটি রামগোবিন্দ ত্রিবেদীর ভাষ্য থেকে নেওয়া
অনুবাদ: ঐ স্বর্গীয় উৎকৃষ্ট বরাহের মতো দৃঢ়, অরুণবর্ণ, কপদৌ, দীপ্তিমান্ আর উজ্জ্বল ধর রুদ্র কে নমস্কার দ্বারা বলা হয়। হাত দিয়ে বরণীয় ভেষজ ধারন করে ওনার সুখ, বর্ম আর ঘর প্রদান করো।
.............. ঋগ্বেদ ১/১১৪/৫
উপরের রেফারেন্সগুলি থেকে স্পস্টভাবে জানা যায় বেদে পশুর রুপে বরাহরুপি পরমাত্মার কথা রয়েছে।
তথ্য সংযুক্ত চলবে,
No comments:
Post a Comment