মূর্তি পূজা:
দেহধারী মানুষের পক্ষে সাকার ঈশ্বরের তুলনায় নিরাকার ঈশ্বরে মনঃসংযোগ করা অধিক কষ্টকর। ভক্তিবাদী সম্প্রদায়গুলিতে মূর্তিপূজা ঈশ্বরোপাসনার একটি বিশেষ অঙ্গ। ভক্তিবাদীরা মূর্তিপূজা বা মূর্তিসেবার মাধ্যমে ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের মধুর সম্পর্ককে সুদৃঢ় রাখার কথা বলেন। কেউ টেলিফোনের সঙ্গে কথা বলে না; বরং টেলিফোনের মাধ্যমে একজনের সঙ্গে আর এক জনের যোগাযোগ স্থাপিত হয়। টেলিফোন ছাড়া দূরে থাকা লোকটির সঙ্গে কথা বলা অসম্ভব।
হিন্দুধর্মে শিবলিঙ্গ ও শালগ্রাম শিলা মতো নিরাকার প্রতীকেও দেবতার পূজা প্রচলিত রয়েছে।
সনাতন ধর্মে আট (৮ )প্রকারের মূর্তি পূজা আছে ..
আমার পূজা অষ্টমূর্তির মধ্যে যে কোনো বিগ্রহে বিধেয় ! যেমন ১- প্রস্তর ২- দারু ৩- ধাতু .৪ বালুকা ৫- মৃত্তিকা ও চন্দনাদি ৬- পট চিত্র ৭ মনোময় ৮- মনিময় !!!
আগম শাস্ত্র মতে, "স্থূলমূর্তি" বা "বিম্বমূর্তি" (মূর্তির শরীর) ও "মন্ত্রমূর্তি" (মূর্তির শক্তি) এক নয়। মন্ত্রমূর্তিই কেবল প্রাচীন মন্দিরগুলিতে পূজিত হয়ে আসছে। বিম্বমূর্তিতে স্থিত মন্ত্রমূর্তিটিকে যথাযথ অনুষ্ঠান, মুদ্রাপ্রদর্শন, স্তোস্ত্রপাঠ ও বলিদানের মাধ্যমেই পূজা করা সম্ভব।
দক্ষিণ ভারতে কালো গ্র্যানাইট পাথরের মূর্তি নির্মিত হয়। উত্তর ভারতে শ্বেতপাথরের মূর্তি নির্মিত হয়ে থাকে। বঙ্গদেশে মাটি, ধাতু, কাঠ ও পাথর দিয়ে মূর্তি নির্মাণের প্রথা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment