Friday, April 22, 2022

রঘু বংশী প্রভু রাম:

 রঘু বংশী প্রভু রাম:





অব্যক্তপ্রভবো ব্রহ্মা শাশ্বতো নিত্য অব্যয়:।

তস্মান্মরীচি: সংজজ্ঞে মরীচে: কশ্যপ: সুত:

বিবস্বান্ কশ্যপাজ্জজ্ঞে মনুর্বৈবস্বত: স্মৃত:।।


অনুবাদ: ব্রহ্মা হলেন বাক্যাতীতি, চিরন্তন, সদৈকরুপ এবং অবিনাশী। তাঁর থেকে ব্রহ্মা থেকে মরীচির উৎপত্তি। মরীচির পুত্র কশ্যপ। কশ্যপ থেকে বিবস্বান্ এবং বিবস্বান্ থেকে বৈবস্বত মনুর জন্ম।


মনু: প্রজাপতি: পূর্বমিক্ষ্বাকুশ্চ মনো: সুত:।

তমিক্ষ্বাকুময়োধ্যায়াং রাজানং বিদ্ধি পূর্বকম্।।

অনুবাদ: এই মনুই পূর্ব প্রজাপতি নামে খ্যাত। মনুর পুত্র ইক্ষ্বাকু  এই ইক্ষ্বাকু অযোধ্যার প্রথম রাজা বলে জানবেন।


............ (২০-২১)নং শ্লোক৭০সর্গ, বালকান্ড, বাল্মীকি রামায়ন।


প্রভু ব্রহ্মা থেকে প্রভু রাম পর্যন্ত সিরিয়াল:

) ব্রহ্মা

) মরীচি

) কশ্যপ

) বিবস্বান্

) বৈবস্বত মনু

) ইক্ষ্বাকু

) কুক্ষি

) বিকুক্ষি

) বাণ

১০) অনরণ্য

১১) পৃথু

১২) ত্রিশঙ্কু

১৩) ধুন্ধুমার

১৪) যুবনাশ্ব

১৫) মান্ধাতা

১৬) সুসন্ধি

১৭) ধ্রুবসন্ধি

১৮) ভরত

১৯) অসিত

২০) সগর

২১) অসমঞ্জ

২২) অংশুমান

২৩) দিলীপ

২৪) ভগীরথ

২৫) কাকুৎস্থ

২৬) রঘু

২৭) শঙ্খণ

২৮) সুদর্শন

২৯) অগ্নিবর্ণ

৩০) শীঘ্রগ

৩১) মরু

৩২) পশুশ্রুক

৩৩) অম্বরীষ

৩৪) নহুষ

৩৫) যযাতি

৩৬) নাভাগ

৩৭) অজ

৩৮) দশরথ

৩৯) রাম


..................... (২০-৪৫)নং শ্লোক, ৭০সর্গ, বালকান্ড, বাল্মীকি রামায়ন।


Wednesday, April 6, 2022

কৃষ্ণ কি মুক্ত আত্মা ?:

 জগদ্ব্যাপারবর্জম্ প্রকরণাৎ অসন্নিহিতত্বাচ্চ।।

বেদান্ত সূত্র ৪/৪/১৭

মুক্তপুরুষের ব্রহ্মত্ব প্রাপ্তির কথা উল্লেখ আছে। উহা কিন্তু জগদ্ব্যাপারবর্জং অর্থাৎ সৃষ্টি-স্থিতি-নাশ রুপে  কার্য একমাত্র পরব্রহ্মস্বরুপেরই। মুক্ত পুরুষের ব্রহ্মত্ব প্রাপ্তি হলেও সে জগদ্ব্যাপার লাভ করেন না।

অনাবৃত্তি: শব্দাদনাব্রত্তি শব্দাৎ

বেদান্ত সুত্র ৪/৪/২২

আব্রহ্মভুবনাল্লোকা: পুনরাবর্তিনোহর্জুন।

মামুপেত্য তু কৌন্তেয় পুণর্জন্ম ন বিদ্যতে।।

আমাকে প্রাপ্ত হলে আর পুনর্জন্ম হয় না। এই সুত্রে তাহাই বলিয়াছেন। মুক্ত আত্মার আর পুনরাবৃত্তি হয় না।

………….গীতা ৮/১৬

কর্মই পুনর্জন্মের কারণ। মুক্ত পুরুষের সঞ্চিত প্রারব্ধ ও ত্রিয়মান সর্বপ্রকার কর্মের বীজ নি:শেষে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। সুতরাং পুনর্জন্মের কারণ বিদ্যমান না থাকায় পুনর্জন্ম অসম্ভব।

Sunday, April 3, 2022

গীতা:

 গীতা:

গুরু গীতাঃ মহাদেব শিব পার্বতীর কথোপকথন এখানে রয়েছে শিব পার্বতী নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন, যে একজন মানুষের অন্তরাত্মার জাগরণের জন্য সঠিক গুরুর প্রয়োজন, এবং সেই গুরুর মাহাত্ম্য এর উল্লেখ স্কন্দ পুরাণে আছে

অষ্টবক্র গীতাঃ এখানে রাজা জনক অষ্টবক্র ঋষির কথোপকথন রয়েছে, এখানে অদ্বৈত বেদান্তের ব্যাপারে বলা হয়েছে, মানুষের মধ্যের সম্পর্ক, আত্মশুদ্ধির বিষয়েও বলা রয়েছে মহাভারতের বন পর্বে এর উল্লেখ আছে

অভধুত গীতাঃ ঋষি দত্তাত্রেয় স্কন্দ বা দেবতা কার্তিকের মধ্যের কথোপকথন জীবনের উপলব্ধির ব্যাপারে এখানে আলোচনা রয়েছে

ভগবৎ গীতাঃ শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের কথোপকথন, যেটা সবথেকে জনপ্রিয়, যা জীবনের নানা সমস্যার সমাধানের কথা বলে থাকে

অণু গীতাঃ  এটাও শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের মধ্যে কথোপকথন, যখন অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে অনুরোধ করেন, পুনরায় ভগবৎ গীতা শোনাতে, কারণ তিনি বেশিরভাগই ভুলে গেছেন

ব্রহ্ম গীতাঃ ঋষি বশিষ্ট শ্রী রামের মধ্যে কথোপকথন জীবনের নির্বাণের বিষয়, এবং ব্রাহ্মণের আচরণ কেমন হওয়া উচিত, এবং কিভাবে অন্তরাত্মার জাগরণ ঘটবে সেই বিষয়ে আলোচনা

জনক গীতাঃ রাজা জনকের স্বগতোক্তি রয়েছে এখানে

প্রথম রাম গীতাঃ শ্রীরাম শ্রীলক্ষণের মধ্যে কথোপকথন, বিষয়, অদ্বৈত বেদান্ত এর বিভিন্ন দিক, যেখানে জীব, অভিদ্য, ঈশ্বর, মায়া, এসবের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে

দ্বিতীয় রাম গীতাঃ শ্রীরাম হনুমানের মধ্যে কথোপকথন, যেখানে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে জগত থেকে নিবৃত্তির নিবারণের বিষয় বর্ণিত

ঋভু গীতাঃ ঋষি ঋভু তার শিষ্য নিদঘের মধ্যে কথোপকথন শিব পুরাণের উপপুরাণ শিব রহস্য পুরাণের মূল আধার এটি

সিদ্ধা গীতাঃ রাজা জনকের সামনে বিভিন্ন সিদ্ধ্য ঋষির জ্ঞানের বিস্তার, যেখানে মূলত অনন্তের মধ্যে নিজের আত্মার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ের আলোচনা রয়েছে

উত্তরা গীতাঃ ভগবৎ গীতার পরবর্তী অংশ, যেটা ব্রাহ্মান্ড পুরাণে বর্ণিত আছে

বক গীতাঃ দেবরাজ ইন্দ্র এবং ঋষি বকের মধ্যে জগতের নানা কষ্টের বিবরণ

ভিক্ষু গীতাঃ যেখানে শ্রীকৃষ্ণ একজন লোভী ব্রাহ্মণের রূপে এসে উদ্ধব কে শিক্ষা দেন

গোপী গীতাঃ যেখানে শ্রীকৃষ্ণের সাথে বিয়োগের সময় গোপিনীদের গান রয়েছে, যা ঈশ্বরের প্রতি সমর্পণের একটা দৃষ্টান্ত বলা যায়

উদ্ধব গীতাঃ রাজ হাঁস রূপী বিষ্ণু , ব্রহ্মার তিন পুত্রের মধ্যে কথোপকথন, যা হংস গীতা বলেও পরিচিত


বেদের ভাষ্য:

 

বেদ মন্ত্রার্থ তিন প্রকার আধিভৌতিক, আধিদেবিক, আধ্যাত্মিক (নিরুক্ত -আধিভৌতিক মনুষ্যের ব্যবহারিক বিষয়ক, আধিদৈবিক অর্থাৎ পদার্থ বিদ্যা বিষয়ক, আধ্যাত্মিক পরমাত্মা এবং জীবাত্মা বিষয়ক ভাষ্যকারেরা একভাবে বেদের ভাষ্য প্রণয়ন করেন নাই বিভিন্ন ভাষ্যকার বিভিন্ন প্রণালীতে বেদের ভাষ্য প্রচার করিয়াছেন ভাষ্যগুলিকে সাধারণতঃ তিনভাগে বিভক্ত করা যায়নৈরুক্তিক প্রণালী ঐতিহাসিক প্রণালী, এবং পৌরাণিক প্রণালী