Thursday, July 9, 2020

স্কন্দ পুরানে আত্মারাম কৃষ্ণের আত্মা রাধা

স্কন্দ পুরানে রাধা:


      


তস্মিঘ্নন্দাত্নজ: কৃষ্ণ সদানন্দাঙ্গবিগ্রহ:

আত্মারামশ্চাপ্তকাম: প্রেমাক্তৈরনুষুয়তে ।।২১।।

আত্মা তু  রাধিকা তস্য  তয়ৈব রমণাদসৌ

আত্মারামতয়া প্রাজ্ঞৈ: প্রোচ্যতে গূঢ়বেদিভি:।।২২

কামাস্ত বাঞ্চিতাস্তস্য গাবো গোপাশ্চ গোপিকা:

নিত্যা: সর্ব্বে বিহারাদ্যা আপ্তকামস্ততস্ত্বয়ম্।।২৩।।

 




অনুবাদ: এই ব্রজে আত্মারাম আপ্তকাম, নন্দাত্নজ সদানন্দবিগ্রহ কৃষ্ণ প্রেমিকগণেরই অনুভূতি গোচর হন রাধা ইঁহার আত্মা, ইনি তাাঁহার সহিত রমন করেন; এজন্য গূঢ়বিৎ প্রাজ্ঞগণ ইহাকে আত্মারাম বলেন ইচ্ছামাত্রেই তিনি গো, গোপ, গোপিকা প্রভৃতি কাম্যবস্তু প্রাপ্ত হন এবং এই সকল বিহার বস্তু সতত প্রাপ্ত হন বলিয়া ইনি আপ্তকাম নামে অভিহিত

 

…………… শ্লোক (২১-২৩), অধ্যায় ১ম, স্কন্দপুরান বিষ্ণুখন্ডে ভাগবত মাহাত্ম্য



  



শ্রীকালিন্দু উবাচ্।

আত্মারামস্য কৃষ্ণস্য ধ্রুবমাত্মাম্তি রাধিকা।

তস্যা দাস্যপ্রভবেণ বিবহোহস্মান্ন সংস্পৃশেৎ ।।১১।।

তস্যা এবাংশবিস্তবা: সর্ব্বা: শ্রীকৃষ্ণনায়িকা:।

নিত্যসম্ভোগ এবাস্তি তস্যা সাম্মুখ্যযোগত:।।১২।।

স এব সা স সৈবাস্তি বংশী তৎপ্রেমরুপিকা

শ্রীকৃষ্ণনখচন্দ্রালিসঙ্গাচ্চন্দ্রাবলী স্মৃতা।।১৩।।

রুপান্তবম গৃহ্নানা তযো: সেবাতিলালসা।

রুক্মিণ্যাদিসমাবেশো মযাত্রৈব বিলোকিত:।।১৪।।






অনুবাদ: কালিন্দী বলিলেন,- আত্মারাম কৃষ্ণের আত্মা রাধিকা, আমি তাঁহার দাসী, তাহার দাস্য প্রভাবেই কাতরতা আমাকে স্পর্শ করিতে অসমর্থ, সন্দেহ নাই কৃষ্ণের যে সকল নায়িকা, তাঁহারাও সেই রাধিকার অংশবিস্তার জানিবে রাধিকার সহিত নিত্য কৃষ্ণের সম্ভোগ-যোগ বিদ্যমান; অতএব রাধিকযোগে অপর নায়িকারাও কৃষ্ণের সহিত সম্মন্ধযুক্ত হন এই আমি দেখিতেছি; সেই কৃষ্ণ, সেই রাধিকা, সেই তাঁহার প্রেমরুপিণী বংশী এবং যিনি কৃষ্ণের নখচন্দ্রের সংযোগে চন্দ্রবলী বলিয়া সম্মানিত হইতেন; সেই চন্দ্রাবলীও রহিয়াছেন রাধা-কৃষ্ণের সেবায় একান্ত অনুরক্তিবশত: ই্ঁহারা কেহই রুপান্তর গ্রহণ করেন নাই আর রুক্মিণ্যাদির সমাবেশও আমি একই স্থানে দেখিতেছি?

................শ্লোক (২১-২৩), অধ্যায় ২য়, স্কন্দপুরান বিষ্ণুখন্ডে ভাগবত মাহাত্ম্য



এখান থেকে বোঝা গেলো যে কৃষ্ণের অন্য সকল পত্নী রাধার অংশ


No comments:

Post a Comment