Wednesday, March 31, 2021

ত্রয়ী বিদ্যা বলিতে কি অথর্ববেদকে বোঝায় না:

ত্রয়ী বিদ্যা বলিতে কি অথর্ববেদকে বোঝায়?

উত্তর: না।

কিন্তু কেনো সে বিষয়ে রেফারেন্স সহকারে প্রমান তুলে ধরা হলো।


দয়াসমাজিরা প্রায়শই মহাভারতের রেফারেন্স টেনে বলে যে ত্রয়ী বিদ্যায় অথর্ববেদ রয়েছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক রেফারেন্সটি



মহাভারতের কালিপ্রসন্ন সিংহ ও গীতা প্রেস সহ দুটি মহাভারতের অনুবাদে বেদত্রয়ে অথর্ববেদের নাম পাওয়া যায়। কালিপ্রসন্ন সিংহের টি শ্লোক ছাড়া অনুবাদ আর গীতা প্রেসেরটি হিন্দি। কিন্তু কাশি দাসী, ধীরেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্য, প্রতাপ চন্দ্র রায়, রাজশেখর বসু, রাজাগোপালচারি, কাশিদাশ মৈত্র, হরিদাশ সিদ্ধান্ত বাগীশ সহ বাকি ০৭জনের মহাভারতে এই শ্লোকটি পাওয়া যায়না। এখন দেখে নেওয়া যাক তাদের মহাভারতের অনুবাদে কি রয়েছে?



এখানে শ্লোক সহ অনুবাদ দেওয়া হলো হরিদাস সিদ্ধান্ত বাগীশ এর মহাভারতের শ্লোকসহ অনুবাদ থেকে।

.................. শ্লোক নং ৬৫, অধ্যায় নং ১১৯, অনুশাসন পর্ব।



তাহলে ব্যাপারটি একে অপরের সাংঘর্ষিক হয়ে গেলো। আসুন তাহলে সমাধান খুজেঁ বের করি।



তে তু বিত্ত্বোর্ধ্বা ঋচ: সাম্নে যজুষ: স্বরমেব প্রাশিণ।।

এখানে স্পস্টতই দেখা যায় ঋক্ সাম ও যজু কে ত্রয়ী বিদ্যা বলা হচ্ছে।
........... ছান্দোগ্য ১/৪/৩



ঋক্ সাম ছাড়া যা কিছু আছে সবই যজু:




...... মিমাংসা সূত্র ২/৩৭


এখান থেকে জানতে পারলাম ঋক্,সাম ছাড়া সবই যজু । এটার অর্থ দ্বাড়ায় মিমাংসা সূত্রও ত্রয়ী বলতে ঋক্, সাম ও যজুকে বুঝিয়েছে। এখানে যেহেতু অথর্ব এর উল্লেখ নাই তাই ত্যানা পেঁচানোর অবকাশ থাকেনা। এর পরেও যারা ত্যানা পেঁচান তাদের জন্য আরো প্রমান দেওয়া হলো।




দেবা বৈ মৃত্যোর্বিভ্যতস্ত্রয়ীং বিদ্যং প্রবিশন।।

তারপর তহারা ঋক্, সাম, যজু স্বরের মধ্যে প্রবেশ করলো।

.........ছন্দোগ্য ১/৪/২




ত্রয়ো বেদা এত এব বাগের ঋগ্ বেদো মনো যজুর্বেদ: প্রাণ: সামবেদ

তিনটিবেদের মধ্যে ঋগ্বেদ বাক্যের সহিত তুলনীয়। সামবেদ প্রাণের সহিত তূলনীয় এবং যজুর্বেদ মানের সঙ্গে তুলনীয়।

............ বৃহদারন্যক ১/৫/৫




উপরোক্ত মন্ত্র দুটিতে স্পস্ট করে ত্রয়ো বিদ্যা উল্লেখ রয়েছে। এটাতে প্রমান হয় অথর্ব ত্রয়ো বিদ্যার মধ্যে পড়েনা।


আরেকটা ত্যানা হিসাবে ঋগ্বেদের ১০/৯০/০৯ মন্ত্রের রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়। এই মন্ত্রে উল্লেখিত ছন্দকে তারা অথর্ববেদ হিসাবে ধরেন। আসুন দেখি ছন্দ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।



ষড়ঙ্গ্যান্যঙ্গানি

ছয়টি বেদাঙ্গ


১) শিক্ষা

২) ব্যাকরন

৩) ছন্দ: ঋক্ ও সাম সংহিতার সব মন্ত্রই ছন্দোবদ্ধ। ঋগ্বেদের শাংখায়ন শ্রৌতসুত্রে ছন্দের কথা উল্লেখ আছে।

৪) নিরুক্ত

৫) জ্যোতিষ

৬)কল্প


এখানে দেখলাম ছয়টি বেদাঙ্গের একটি হচ্ছে ছন্দ।


এখন দেখে নেওয়া যাক সেই ঋগ্বেদের ১০/৯০/০৯ নং মন্ত্রটি:


তস্মাদ্যজ্ঞৎ সর্বহূত ঋচ: সামানি জজ্ঞিরে।
ছন্দাংসি জজ্ঞিরে তস্মাদ্যজুস্তস্মাদজায়ত।।




অনুবাদ: সর্বাত্মক পুরুষ হোম দ্বারা যুক্ত আর উহা থেকে ঋক্ আর সাম দ্বারা উৎপন্ন হয়েছে। উনার নিকট থেকে গায়ত্রী আদি ছন্দ উৎপন্ন হয়েছে। উনার থেকে যজুর্বেদও উৎপন্ন হয়েছে।
........... ঋগ্বেদ ১০/৯০/০৯



এখানে রামগোবিন্দ ত্রিবেদী তার অনুবাদে ছন্দই রেখেছেন, অথর্ববেদ বানান নাই।



এখন আসুন কৌষিতকি উপনিষধে কি বলা রয়েছে?



আমরা কৌষিতকি ব্রাহ্মণের কৌষিতকি উপনিষধে দেখতে পেলাম বেদত্রয় বলিতে অথর্ববেদকে বোঝায় না।



উপনিষদের প্রমান ছাড়াও ব্রাহ্মণ থেকে একটি প্রমান দ্বাড় করালাম


যমৃষস্ত্রয়ীবিদ্যে বিদুঃ ঋচঃ সামানি যজুংষি।
.

এখানে স্পস্ট করেই বলে দিয়েছে ত্রয়ী বিদ্যা বলিতে ঋগ্বেদ, সামবেদ ও যজুর্বেদ।

.... তৈতরীয় ব্রাহ্মণ ১/২/১/২৬

এখানে অথর্ববেদের নাম নাই। তাই ত্রয়ী বিদ্যায় অথর্ববেদ ঢোকানোর কোনো অবকাশ নাই।

তথ্য সংযুক্তি চলমান থাকবে:

৭ম শতাব্দীর বেণীসংহারমে্ রাধা:

 ৭ম শতাব্দীর বেনিসংহারামে রাধা:


    




নারায়ন ভট্ট ৭ম শতাব্দীর



















অমরকোষের রাধা:

অমরকোষের রাধা:























রাধা চল্লিশা:

 রাধা চল্লিশা:





                            রাধার ৪০টি প্রশংসার মধ্যে কয়েকটি নিম্নে দেওয়া হলো:

॥ दोहा ॥

श्री राधे वुषभानुजा, भक्तनि प्राणाधार । वृन्दाविपिन विहारिणी, प्रानावौ बारम्बार ॥

जैसो तैसो रावरौ, कृष्ण प्रिय सुखधाम ।चरण शरण निज दीजिये, सुन्दर सुखद ललाम ॥

অনুবাদ: শ্রী রাধাকে প্রণাম, যিনি রাজা বৃষ্ভানুর কন্যা, যিনি তাঁর ভক্তদের জীবনের একমাত্র উৎস এবং বৃন্দাবনে বাস করেন। ভাল হোক বা খারাপ, আমি একচেটিয়াভাবে তোমার! হে ভগবান কৃষ্ণের প্রিয়তম [আনন্দের আবাস], দয়া করে আমাকে আপনার পদ্মের পায়ে আশ্রয় দেন যা অত্যন্ত সুন্দর এবং অনন্ত আনন্দে পরিপূর্ণ।


॥ चौपाई ॥

जय वृषभानु कुँवरी श्री श्यामा, कीरति नंदिनी शोभा धामा ।।
 
नित्य बिहारिनी रस विस्तारिणी, अमित मोद मंगल दातारा ।।১।।

অনুবাদ: রাজা বৃষভানু ও রানী কীর্তিদার কন্যা শ্রী রাধার সমস্ত গৌরব, যিনি সীমাহীন সৌন্দর্যের আবাসস্থল। তিনি অমৃত "নিত্য বিহার" প্রদান করেন, চিরনতুন অমৃত বর্ষণে ঈশ্বরী, এবং অপরিমেয় সুখ এবং শুভতা প্রদান করেন।


राम विलासिनी रस विस्तारिणी, सहचरी सुभग यूथ मन भावनी ।।
 
करुणा सागर हिय उमंगिनी, ललितादिक सखियन की संगिनी ।।২।।

অনুবাদ: তিনি "রাস রাস" এর অমৃত ধারা বর্ষণ এবং বিশুদ্ধ প্রেমের মেজাজ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ঈশ্বরী। তিনি যখন 'সেচারী' বান্ধবিদের দলের মধ্যে দাঁড়িয়ে সবার হৃদয়কে মুগ্ধ করেন। তিনি করুণার সমুদ্র, এবং প্রেমে আনন্দিত থাকেন, এবং সর্বদা ললিতা এবং অন্যান্য সখিদের সাথে থাকেন।


दिनकर कन्या कुल विहारिनी, कृष्ण प्राण प्रिय हिय हुलसावनी ।।
 
नित्य श्याम तुमररौ गुण गावै,राधा राधा कही हरशावै ।।৩।।

অনুবাদশ্রী রাধার প্রতি প্রণাম, যিনি সূর্য-ঈশ্বর রাজবংশের সদস্য, যিনি ভগবান কৃষ্ণের প্রিয় এবং যিনি ভগবান কৃষ্ণের হৃদয়কে মন্ত্রমুগ্ধ করেন। হে শ্রী কৃষ্ণ তোমার নাম "রাধা রাধা" জপ করে খুব আনন্দ অনুভব করেন এবং সর্বদা আপনার গৌরব গেয়ে আপনার উপাসনা করেন।


मुरली में नित नाम उचारें, तुम कारण लीला वपु धारें ।।
 
प्रेम स्वरूपिणी अति सुकुमारी, श्याम प्रिया वृषभानु दुलारी ।।৪।।

অনুবাদ: শ্রী রাধাকে প্রণাম, যাঁর আনন্দের জন্য শ্রী কৃষ্ণ তাঁর বাঁশিতে তাঁর নাম করেন এবং তাঁর প্রতিটি উল্লাস করেন, যিনি ঐশ্বরিক-প্রেমের প্রতিমূর্তি, চিরতরুণ, এবং যিনি ভগবান কৃষ্ণের প্রিয়তম এবং রাজা বৃষভানুর সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর কন্যা।


नवल किशोरी अति छवि धामा, द्दुति लधु लगै कोटि रति कामा ।।
 
गोरांगी शशि निंदक वंदना, सुभग चपल अनियारे नयना ।।৫।।

অনুবাদ: শ্রী রাধার প্রতি প্রণাম, যিনি চিরতরুণ দের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ঝলকের আবাসস্থল, আপনার রূপের জাঁকজমক এমন গৌরবের সাথে জ্বলজ্বল করে যা লক্ষ লক্ষ কামদেবের চেয়ে বেশি। আপনার রূপ অত্যন্ত ন্যায্য এবং গলিত সোনার মতো, যা চাঁদকে লজ্জায় ফেলে দেয় তোমার চোখ অমৃত, দুষ্টু, তীক্ষ্ণ এবং ভেদকারী


जावक युत युग पंकज चरना, नुपुर धुनी प्रीतम मन हरना ।।
 
संतत सहचरी सेवा करहिं, महा मोद मंगल मन भरहीं ।।৬।।

অনুবাদ: শ্রী রাধার প্রতি প্রণাম, যার পদ্মের পা 'মেহেদি-আলতা' দিয়ে সজ্জিত, যার নূপুরগুলি স্বয়ং জাদুকরের হৃদয় চুরি করে [শ্রী কৃষ্ণ]। সেহচারীরা চিরকাল আপনার সেবা করেন এবং চরম আনন্দ লাভ করেন এবং তাদের হৃদয়কে শুভে পূর্ণ করেন।


रसिकन जीवन प्राण अधारा, राधा नाम सकल सुख सारा ।।
अगम अगोचर नित्य स्वरूपा, ध्यान धरत निशिदिन ब्रज भूपा ।।৭।।


অনুবাদ: শ্রী রাধার প্রতি প্রণাম, যিনি রসিকদের জীবন, যার নাম ["রাধা"] সমস্ত আনন্দময় অমৃতের উৎস, যার রূপ চিরন্তন যা বেদ ও শাস্ত্রের বোধগম্যতার বাইরে, এবং যার রূপ সর্বদা ভগবান কৃষ্ণ নিজেই ধ্যান করেন।


उपजेउ जासु अंश गुण खानी, कोटिन उमा रমা ब्रह्मिनी ।।
नित्य धाम गोलोक विहारिन , जन रक्षक दुःख दोष नसावनि ।।৮।।

অনুবাদ: শ্রী রাধার প্রতি প্রণাম, যার রূপের এক পরমাণু থেকে উমা, রমা ও সরস্বতী বিভিন্ন প্রকারে অস্তিত্বে আসে। হে গোলোক ধামে চিরকাল বাস কর, আত্মার সমস্ত দুঃখ দূর কর।



शिव अज मुनि सनकादिक नारद, पार न पाँई शेष शारद ।।
 
राधा शुभ गुण रूप उजारी, निरखि प्रसन होत बनवारी ।।৯।।


অনুবাদ:  ভগবান শিব, ভগবান ব্রহ্মা, ঋষি, সনৎ কুমার, নারদ, শেষ এবং সরস্বতী  ইত্যাদি আপনাকে ভালভাবে বুঝতে অক্ষম। তুমি ইহকাল, সৌন্দর্য, শুভ, এবং তোমাকে দেখে কৃষ্ণ আনন্দে ভরে যায়।



ब्रज जीवन धन राधा रानी, महिमा अमित न जाय बखानी ।।
 

प्रीतम संग दे ई गलबाँही , बिहरत नित वृन्दावन माँहि ।।১০।। 

অনুবাদ: শ্রী রাধাকে প্রণাম, যিনি ব্রজ ধামের ধন, যার গৌরব অপরিসীম এবং কথায় বলা যায় না, যিনি তাঁর প্রিয়তমের গলায় হাত রেখে বৃন্দাবনে চিরকাল ঘুরে বেড়ান।


राधा कृष्ण कृष्ण कहैं राधा, एक रूप दोउ प्रीति अगाधा ।।
 
श्री राधा मोहन मन हरनी, जन सुख दायक प्रफुलित बदनी ।।১১।।

অনুবাদ: রাধা কৃষ্ণের নাম উচ্চারণ করে, এবং কৃষ্ণ রাধার নাম উচ্চারণ করে, তারা দুজনেই একই রূপ ধারণ করছে, এবং ঐশ্বরিক প্রেমের সীমাহীন সমুদ্র। শ্রী রাধা ভগবান কৃষ্ণের মনের জাদুকর, সকলকে সুখ দেন এবং প্রেমে নেশাগ্রস্ত থাকেন।



कोटिक रूप धरे नंद नंदा, दर्श करन हित गोकुल चंदा ।।
 
रास केलि करी तुहे रिझावें, मन करो जब अति दुःख पावें ।।১২।।

অনুবাদ: শ্রী কৃষ্ণ আপনার একক 'দর্শন' [দৃষ্টি] জন্য অগণিত রূপ ধারণ করেন। শ্রী কৃষ্ণ আপনার আনন্দের জন্য মহারাস লীলা পরিবেশন করেন এবং যখন আপনি তাঁর কাছ থেকে "মান" [ক্রোধ] করেন, তখন তিনি বিচ্ছেদের বেদনা বহন করেন।



प्रफुलित होत दर्श जब पावें, विविध भांति नित विनय सुनावे ।।
 
वृन्दारण्य विहारिनी श्यामा, नाम लेत पूरण सब कामा ।।১৩।।

অনুবাদ: আপনার 'মান' লীলার পর শ্রী কৃষ্ণ যখন আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, তখন তিনি আনন্দিত হন এবং শালীনতা পূর্ণ হয়ে বিভিন্নভাবে আপনার প্রশংসা করেন। হে রাধা, তুমি বৃন্দাবনে চিরকাল বাস কর, কেবল তোমার নাম উচ্চারণ করে, প্রতিটি কাজ সংশোধন করা হয়।

 

 
कोटिन यज्ञ तपस्या करहु, विविध नेम व्रतहिय में धरहु ।।
 
तऊ न श्याम भक्तहिं अहनावें, जब लगी राधा नाम न गावें ।।১৪।।

অনুবাদ: আপনি লক্ষ লক্ষ যজ্ঞ করতে পারেন, আপনি লক্ষ লক্ষ তপস্যা করতে পারেন, আপনি লক্ষ লক্ষ প্রার্থনা ও উপবাস করতে পারেন, কিন্তু শ্রী কৃষ্ণ শ্রী রাধার নাম না গাইলে সেই ব্যক্তিকে কখনই ভক্ত হিসাবে গ্রহণ করেন না।

 

 
व्रिन्दाविपिन स्वामिनी राधा, लीला वपु तब अमित अगाधा ।।
 
स्वयं कृष्ण पावै नहीं पारा, और तुम्हैं को जानन हारा ।।১৫।।

অনুবাদ: শ্রী রাধার প্রতি প্রণাম, যিনি বৃন্দাবনের রানী, যার 'লীলা'  অপরিসীম এবং সকলের বোধগম্যতার বাইরে। অন্যদের সম্পর্কে কী বলতে হবে, এমনকি লর্ড কৃষ্ণও এটি পুরোপুরি বুঝতে পারেন না।

 

 
श्री राधा रस प्रीति अभेदा, सादर गान करत नित वेदा ।।
 
राधा त्यागी कृष्ण को भाजिहैं, ते सपनेहूं जग जलधि न तरिहैं ।।১৬।।

অনুবাদ: শ্রী রাধার প্রতি প্রণাম, যিনি 'রাস স্বরূপ' [যার রূপ অমৃতে পরিপূর্ণ] এবং 'প্রীতি স্বরূপ' [যার রূপ ঐশ্বরিক প্রেমে পরিপূর্ণ], এবং এতে কোনও পার্থক্য নেই, এবং তাই বেদও এর প্রশংসা করেন। রাধাকে ছেড়ে শ্রী কৃষ্ণের পূজা করলে বস্তুজগতের সাগর পার হতে পারবে না, স্বপ্নেও।

 

कीरति हूँवारी लडिकी राधा, सुमिरत सकल मिटहिं भव बाधा ।।
 
नाम अमंगल मूल नसावन, त्रिविध ताप हर हरी मनभावना ।।১৭।।

অনুবাদ: কীর্তিদার মনোমুগ্ধকর প্রিয় কন্যা শ্রী রাধাকে প্রণাম, যিনি তাঁর কথা মনে রাখেন, তাঁর জীবনের সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তার নাম অশুভতার শিকড়ধ্বংস করে, বিভিন্ন জন্মের কারণে সৃষ্ট সমস্ত ধরণের ব্যথা ধ্বংস করে এবং প্রভু 'হরি' [কৃষ্ণ] এবং 'হর' [শিব] এর কাছে খুব আকর্ষণীয়।

 
राधा नाम परम सुखदाई, भजतहीं कृपा करहिं यदुराई ।।
 
यशुमति नंदन पीछे फिरेहै, जी कोऊ राधा नाम सुमिरिहै ।।১৮।।

অনুবাদ: শ্রী রাধার নাম পরম আনন্দের কারণ এবং যে কেউ এই নামে গান গায় সে যাদব কৃষ্ণের নিজের করুণা পায়। যে নিয়মিত রাধার নাম উচ্চারণ করে, যশোদার পুত্র চিরকাল তাকে কৃপা করে।

 

 
रास विहारिनी श्यामा प्यारी, करहु कृपा बरसाने वारी ।।
 
वृन्दावन है शरण तिहारी, जय जय जय वृषभानु दुलारी ।।১৯।।

অনুবাদ: ও, শ্যামা পেয়ারী [যে রাসের নাটকে আনন্দ পায়], দয়া করে আমার প্রতি দয়া করুন কারণ শ্রী বৃন্দাবন ধামও আপনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন [বৃন্দাবন ধাম ও আপনাকে ছাড়া অস্তিত্বের কথা ভাবতে পারে না]। সমস্ত শিলাবৃষ্টি, সমস্ত শিলাবৃষ্টি, সকলেই বৃষ্ভানুর প্রিয় কন্যা শ্রী রাধার জয়গান।


॥ दोहा ॥

श्री राधा सर्वेश्वरी, रसिकेश्वर धनश्याम । करहूँ निरंतर बास मै, श्री वृन्दावन धाम ॥

অনুবাদ: ও, শ্রী রাধা, 'সর্বেশ্বরী'  এবং শ্রী কৃষ্ণ, 'রসিকেশ্বর', আমি কি সর্বদা শ্রী বৃন্দাবন ধামে বাস করি।

 


রাধাই কীর্তি:

রাধাই  কীর্তি:





কীর্তি, শ্রী ও লহ্মী প্রভৃতি দেবতা সমুদয় নারায়নকেই আশ্রয় করিয়াছেন।




.................. অধ্যায় ৩৪৮ মহাভারত(কালিপ্রসন্ন সিংহ।)


কীর্তি যে নক্ষত্র দেবী তাহা বলার অপেক্ষা রাখেনা।



শ্রীশ্চ তে লহ্মীশ্চ পত্ন্যাবহোরাত্রে পার্শ্বে নক্ষত্রাণি রুপমশ্বিনৌ ব্যাত্তম্। ইঞ্চন্নিষাণামুং ম ইষাণ সর্বলোকং ম ইষাণ।।


অনুবাদ: এখানে শ্রী অর্থে সর্বজনের আশ্রয়যোগ্য সম্পদ অর্থাৎ ভূদেবী লহ্মী শব্দে সৌন্দর্য্য অর্থাৎ লহ্মীদেবী আর নক্ষত্র অর্থে নিজের রুপ অর্থ্যাৎ রাধা/নিলা দেবী।

………… শুক্ল যজুর্বেদ ৩১/২২



আসুন দেখে নেই গীতা প্রেসের মহাভারত কি বলে?



নারায়নপরা কীর্তি: শ্রীচ্ছ লহ্মীচ্ছ দেবতা:।

নারায়ণপরং সাংখ্যং যোগো নারায়ণাত্মক:।।




অনুবাদ: কীর্তি, শ্রী  এবং লহ্মী আদি দেবতার নারায়ণই পরম আশ্রয় মানা হয়। সাংখ্যের পরম তাৎপর্যও নারায়ণই আর যোগও নারায়ণেরই স্বরুপ।

............... ৮৭নং শ্লোক, ৩৪৭অধ্যায়, মহাভারত(গীতাপ্রেস)



মৃত্যুঃ সর্ব্বহরশ্চাহমুদ্ভবশ্চ ভবিষ্যতাম্।

কীর্ত্তিঃ শ্রীর্ব্বাক্  নারীণাং স্মৃতির্ম্মেধা ধৃতিঃ ক্ষমা।।


অনুবাদ: সংহর্ত্তাদিগের মধ্যে আমি সর্ব্বসংহারক মৃত্যুভবিষ্য প্রাণিগণেরও আমি   উদ্ভব স্বরূপনারীগণের মধ্যে আমি কীর্ত্তিশ্রীবাক্‌, স্মৃতিমেধাধৃতিক্ষমা – এই সকল দেবতাস্বরূপঅর্থাৎ  সকল আমারই বিভূতি।

................ ১০/৩৪ গীতা।




মাধ্বাচার্য্য সম্প্রদায়ের হরিদাস আচার্য্য- শ্রীপাদবিজয়দাস(তীর্থ)তার  রাধিকা  হৃদয়া অম্বুজা নিন্দাতে কীর্ত্তি হিসাবে (গীতা ১০/৩৪) রাধিকাকে পল্লবী হিসাবে উল্লেখ করেছেন।



কীর্তি অর্থে রাধাকে বুঝিয়েছে তার আরো একটি প্রমান:


রাধাবং কীর্তিদাসুতা

......... ৩০৭নং শ্লোক, সনত কুমার সংহিতা।












সৌভাগ্য লহ্মী তন্ত্রে রাধা:

 সৌভাগ্য লহ্মী তন্ত্রে রাধা:





শ্রীশ্রীকৃষ্ণ জযতি জগতাং জন্মদাতা চ পাতা,

হর্তা চান্তে হরতি ভজতাং যক্ষ সংসারভীতিম্।

রাধানাথ; সজলজলদশ্যামল: পীতবাসা,

বৃন্দারণ্যে বিহরতি সদা সচ্চিদানন্দরুপ:।৩।

জ্যোতিরুপং পরমপুরুষ নির্গুণং নিত্যমেকম্।

নিত্যানন্দং নিখিলজগতামীশ্বরং বিশ্ববীজম্।

গোলকেশং দ্বিভুজমুরলীধারিণং রাধিকেশম্

বন্দে বৃন্দারকবিধিহরিহরব্রাতবন্ধাদিংঘ্ন পদ্মম্।৪।



 অনুবাদ: জো কৃষ্ণ সমস্ত জগত্ কে জন্মদাতা, পালনকর্তা এবং  অন্ত মেং সংহারকর্তা হৈং। জো লোগ কৃষ্ণ কী ভজনা করতে হৈং, বো (কৃষ্ণ) উনকে সংসার-ভয় কো দুর করতে হৈং। জো রাধানাথ হৈং; পানি ভরে হুয়ে মেঘ কে সমান জো শ্যামবর্ণ হৈং ; পীতবস্ত্রধারী হৈং ; বৃন্দাবন মেং সর্বদা বিহার করতে হৈং ; জো সচ্চিদানন্দ স্বরুপ হৈং ; বহ শ্রীকৃষ্ণ জয়লাভ করতে হৈং অর্থাৎ বহ সর্বাপেক্ষা উত্কর্ষাতিশায়ী হৈং।।৩।।

 


জো জ্যোতি:স্বরুপ, পরমপুরুষ, নির্গুণ, এক (অদ্বিতীয়), নিত্য, নিত্য আনন্দস্বরুপ, সমস্ত জগত্ কে ঈশ্বর, বিশ্বকে আদিকারণ, গোলককে অধিপতি, দ্বিভুজ এবং মুরলীধারী হৈং; দেবতাগণ, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর – সভী জিনকে পাদপদ্ম কী বন্দনা করতে হৈ, উন রাধিকেশ (কৃষ্ণ) কী মৈং বন্দনা করতা হূঁ।৪।


................. ব্রজবিহার, ১৩অধ্যায়, (৩-৪) নং শ্লোক, সৌভাগ্য লহ্মী তন্ত্র।