Thursday, April 1, 2021

নারায়ন ও মহাদেবের যুদ্ধ

 নারায়ন ও মহাদেবের যুদ্ধ:


      




নারায়ন ও মহাদেবের যুদ্ধ ( শান্তি পর্ব ৩২৮অধ্যায়)......................................

অর্জ্জুণ উবাচ ।
অস্মিণ্ যুদ্ধে তু বার্ঞ্চেয় ! ত্রৈলোক্যশমনে তদা ।
কো জয়ং প্রাপ্তবাংস্তত্র শংসৈতস্মে জনার্দ্দন ।। ৩০২
অনুবাদ: অর্জ্জুন বলিলেন- বৃষ্ঞিনন্দন জনার্দ্দন! ত্রিভুবন বিনাশক এই যুদ্ধে কে জয় লাভ করিয়াছিলেন, ইহা আমার নিকট বল।।৩০২


শ্রী ভগবান উবাচ্
তয়ো: সংলগ্নয়োযুদ্ধে রুদ্রনারায়নত্মনো: ।
উদ্বিগ্না: সহসা কৎস্না: সর্ব্বলোকাস্তদাভবন।।৩০৩।।
অনুবাদ: ভগবান্ বলিলেন- সেই মহাদেব ও নারায়নের যুদ্ধে ব্যাপৃত হইলে, তখন পৃথিবীর সমস্ত লোক সহসা উদ্বিগ্ন হইয়া পড়িলো।৩০৩।।


দেবান্ রজস্তমশ্চৈব সমাবিবিশতুস্তদা ।
বসুধা সঞ্চকম্পে চ নভশ্চ বিপফাল হ ।।৩০৫।।
অনুবাদ: তখন রজোগুন ও তমগুন দেবগণে প্রবেশ করিল, পৃথিবী কাপিতে থাকিল এবং অকাশও যেনো লাফাইতে লাগিল।।৩০৫।।


তস্মিন্নেবং সমুৎপন্নে নিমিত্তে পাণ্ডুনন্দন !।
ব্রহ্মা বৃতো দেবৈগণৈঋষিভিশ্চ মহাত্মভি: ।। ৩০৭
আজগামাশু তং দেশং যত্র যুদ্ধমবর্ত্তত ।
সোহাঞ্জলিপ্রগ্রহো ভুত্বা চতুর্ব্বক্ত্রো নিরুক্তগ: ।। ৩০৮
উবাচ বচনং রুদ্রং লোকানামস্তু বৈ শিবম্ ।
ন্যস্যায়ুধানি বিশ্বেশ জগতো হিতকাম্যয়া ।।৩০৯।।
অনুবাদ: পান্ডুনন্দন! এইরুপ সেই দুর্লক্ষণ উপস্থিত হইলে, যে স্থানে সেই যুদ্ধ হইবার সম্ভব হইয়াছিল, মহাত্মা দেবগণ ও ঋষিগণে পরিবেষ্টিত হইয়া ব্রহ্মা সেই স্থানে আগমন করিলেন। তাহার পর চতুরায়ন ব্রহ্মা সেই স্থানে আসিয়া কৃত্ঞ্জলি হইয়া মহাদেবকে এই কথা বলিলেন- বিশ্বেশ্বর! আপনি জগতের হিত কামনা করিয়া অস্ত্র পরিত্যাগ করুন, জগতের মঙ্গল হউক।।৩০৭-৩০৯।।



যদক্ষরমথাব্যক্তমীশং লোকস্য ভাবনম্ ।
কুটস্থং কর্ত্তৃনিদ্বন্দ্বমকর্ত্তেতি চ যং বিদু: ৩১০।।
ব্যাক্তিভাবগতস্যাস্য একা মুর্ত্তিরিয়ং শুভা ।
নরো নারায়নশ্চৈব জাতৌ ধর্ম্মকৃলোদ্বাহৌ ।।৩১১
তপসা মহতা যুক্তৌ দেবশ্রেষ্ঠৌ মহাব্রতৌ ।
অহং প্রসাদজস্তস্য কুতশ্চিৎ কারণান্তরে ।।৩১২।।
অনুবাদ: যিনি অনশ্বর, অব্যক্ত, ঈশ্বর, লোকের উৎপাদক, হৃদয়বর্ত্তী, জগতের সৃষ্টিকর্ত্তা ও দ্বন্দ্বশুন্য এবং ঋষিরা যাহাকে জগতের অকর্ত্তা বলিয়াও জানেন, তিনি এখন সাকার হইয়াছেন এবং নর ও নারায়নরুপে ধর্ম্মবংশশ্রেষ্ঠ হইয়া জন্মগ্রহন করিয়াছেন অথচ ইহারা দুজনেই জগতের মঙ্গলজনক একমুর্ত্তি, দেবতাশ্রেষ্ঠ, গুরুতর তপস্যযুক্ত ও মহাব্রাচারী, আমি কোনো কারনে ইহারই অনুগ্রহে জন্মগ্রহণ করিয়াছি।। ৩১০-৩১২।।



ত্বঞ্চৈব ক্রোধজন্তাত! পুর্ব্বসর্গে সনাতন: ।
ময়া চ সার্দ্ধং বরদং বিবুধৈশ্চ মহার্ষিভি: ।। ৩১৩
প্রসাদয়াশু লোকানাং শান্তির্ভবতু মা চিরাম্ ।
ব্রহ্মণা ত্বেবমুক্তস্ত রুদ্র: ক্রোধাগ্নিমুৎসৃজসন্ ।।৩১৪
ফসাদয়ামাস ততো দেবং নারায়ণং প্রভুম্ ।
শরণঞ্চ জগামাদ্যং বরেণ্যং বরদং প্রভুম্ ।।৩১৫।।
অনুবাদ: জগৎপিতা! আপনিও প্রথম সৃষ্টির সময়ে ইহারই ক্রোধ হইতে সনাতন রুদ্র-রুপে জন্মিয়াছিলেন। অতএব বরদাতা মহেশ্বর! আপনি এখন দেবগণ, মহর্ষি-গণ ও আমার সহিত মিলিত হইয়া সত্বর এই ভগবানকে প্রসন্ন করুন; ত্রিভুবনের মঙ্গল হউক; বিলম্ব করিবেন না। ব্রহ্মা এইরুপে বলিলে মহাদেব ক্রোধানল পরিত্যাগ করিয়া, প্রভু নারায়নকে প্রসন্ন করিলেন এবং জগতের আদি, সর্ব্বশ্রেষ্ঠ, বরদাতা ও প্রভাশালী নারায়নের শরণাপন্ন হলেন।।৩১৩-৩১৫।।


ততোহথ বরদো দেবো জিতক্রোধো জিতেন্দ্রিয়: ।
প্রীতিমানভবত্তত্র রুদ্রেণ সহ সঙ্গত: ।।৩১৬।।
অনুবাদ: তাহার পর ক্রোধবিজয়ী,জিতেন্দ্রিয় ও বরদাতা নারায়ন মহাদেবের প্রতি সন্তুষ্ট হইয়া, তাঁহার সহিত সম্মিলিত হইলেন।। ৩১৬।।

No comments:

Post a Comment