Friday, April 2, 2021

রুদ্র ভষ্ম মেখে বিষ্ণুর নাম জপ:

 রুদ্র ভষ্ম মেখে বিষ্ণুর নাম জপ:


     



ব্রহ্মাবাচ।।১৮।। অহং গতোহদ্রিকৈলাসমিন্দ্রাদ্যৈ-র্দ্দৈবতৈ: সহ। তত্র দৃষ্টোময়া রুদ্রো-ধ্যায়মান: পরং পদৎ।।১৯।।পৃষ্ঠো-নমস্কৃত: কিং ত্বং দেবং ধ্যায়সি শঙ্কর। ত্বত্ত্নান্যং পরং দেবং জানামি ব্রুহি মাং তত: সারাৎ সারতরং তত্ত্বং শ্রোতুকাম: সুরৈ: সহ।।২০।।
অনুবাদ: ব্রহ্মা কহিলেন ব্যাস! আমি একদা ইন্দ্রাদি-দেববৃন্দের সহিত কৈলাস পর্ব্বতে হমন করিয়া দেখিলাম, রুদ্রদেব পরংপদ চিন্তা করিতেছেন। (১৮-১৯) আমি তাহাকে ধ্যাননিষ্ঠ দেখিয়া নমস্কার করিয়া জিজ্ঞেস করিলাম, শঙ্কর আপনি কাহার চিন্তা করিতেছেন? আমি আপনি ভিন্ন অন্য কোনো দেবতাকে জানিনা। যদি আপনা হইতে প্রধানতর অন্য কোনো দেবতা থাকেন, তবে তাহা আমার নিকটে অকপটে প্রকাশ করুন। সেই সারতত্ত্ব শুনিতে অমরবর্গের ও আমার শ্রবণ স্পৃহা বলবতী হইতেছে।২০।
…………… শ্লোক (১৮-২০), অধ্যায় ০২, পুর্ব খন্ড, গড়ুর পুরান।
রুদ্র উবাচ।।২১।। অহং ধ্যায়ামি তং বিষ্ণং পরমাত্মানমীশ্বরং। সর্ব্বদং সর্ব্বগং সর্ব্বং সর্ব্বপ্রাণি-হৃদিস্থিতং ।। ভস্মোদ্ধূলিতদেহস্ত জটা মন্ডল মন্ডিত:। বিষ্ণোরারাধনার্থং মে ব্রতচর্য্যা পিতামহ।।২৩।। তমেব গত্বা প্রচ্ছাম: সারং সং চিন্তয়াম্যহং। বিষ্ণুং জিষ্ণুং পদ্মনাভং হরিং দেহবিবর্জ্জিতং ।। ২৪।।
অনুবাদ: শঙ্কর বলিলেন, আমি সেই সর্ব্বফলপ্রদ, সর্ব্বগ, সর্ব্বান্তরস্য পরমাত্মা, পরমেশ্বর বিষ্ণুকে চিন্তা করিতেছি।(২১-২২)। হে পিতামহ! আমি সেই জগদাধার বিষ্ণুর আরধনার্থ অঙ্গে ভষ্ম লেপনওে মস্তকে জটাকলাপ ধারণকরিয়া ব্রত্যচর্য্যার নিরত আছি।২৩। আমরা সকলে মিলিত হইয়া যে পঞ্চভৌতিক দেহ বিহীন পদ্মনাভ হরির নিকটে গমন করিয়া স্বারত্ত্ব জিজ্ঞাসা করিবো।, আমি সেই পরৎপর বিষ্ণুকে চিন্তা করিতেছি। ২৪।
……………… শ্লোক (২১-২৪)
যুক্ত্বা সর্ব্বাত্মনাত্মসাং তং দেবং চিন্তয়া-ম্যহং ।।২৫।। যস্মিন্ বিশ্বানি ভুতানি তিষ্ঠন্তি চ বিশন্তি চ। গণভূতানি ভূতেশে সূত্রে মণিগণাইব।।২৬।।
অনুবাদ: যিনি নির্ম্মল, শুদ্ধপদ, পরমেশ্বর সেই হরিকে সর্ব্বপ্রকারে আত্মার সহিত যুক্ত করিয়া চিন্তা করিতেছি।২৫।। যাঁহাতে সকল ভূত বর্ত্তমান আছে, সেই বিশ্বনাথকে চিন্তা করিতেছি। ২৬।।
……………… শ্লোক (২৫-২৬), অধ্যায় ০২, পুর্বখন্ড, গড়ুর পুরান।
সহস্রাক্ষং সহস্রাঙ্ঘ্রিং সহস্রোরুং বরাননং। অণীয়সামণীয়াংসং স্থবিষ্ঠ স্থবীয়সাং । গরীয়সাং গরিষ্ঠঞ্চ শ্রেয়সমাপি। ২৭।। যং বাক্যেস্বনুবাক্যেষু নিষৎমূপনিষৎ চ। গৃনন্তি সত্যকর্স্মাণং সত্যং সত্যেষু সামসু।২৮।। পুরানপুরুষ প্রোক্ত-ব্রহ্মা প্রোক্ত-দ্বিজাতিষু। ক্ষয়ে সঙ্কর্ষণ: প্রোক্তস্তমুপাস্য-মুপাস্মহে।।২৯।।
অনুবাদ: সেই মহাপুরুষ সহস্রাক্ষ, সহস্যপাদ, সহস্রোরুওে শ্রেষ্ঠবদন। তিনি সুক্ষ্ম হইতে সুক্ষ্মতম, স্থুল হইতে স্থুলতম, গুরু হইতে গুরুতম্ এবং শ্রেষ্ঠ হইতে শ্রেষ্ঠতম। ২৭।। বেদোপনিষধবাক্যে যে সত্যকর্ম্মা সত্যময় জনার্দ্দনের গুণ বর্ণিত আছে, যিনি আদি পুরুষ সেই সঙ্কর্ষণ পরমাধ্য ব্রহ্মের উপসনা করছি।২৯।।
………… শ্লোক নং , অধ্যায় ০২, পুর্বখন্ড, গড়ুর পুরান।
রুদ্র উবাচ।।৪৪।। হরে কথয় দেবশ দেবদেব: ক-ইশ্বর:। কোধ্যেয়: কশ্চ বৈ পুজ্য: কৈর্ব্ব্রতৈস্তষ্যতে পর: ।।৪৫।। কৈর্দ্ধস্মৈ: কৈশ্চ নিয়মৈ: কয়া বা ধর্ম্ম-পূজয়া। কেনাচারেণ তুস্ট: স্যাৎ কিং তদ্রুপঞ্চ তস্য বৈ।।৪৬।।
অনুবাদ: মহাদেব নারায়নকে বলিলেন, দেবপতে! আপনি আমার প্রশ্নের সদুত্তর করুন। দেবাদিদেব ইশ্বর কে? কাহাকেই বা ধ্যান ও পূঁজা করা যায়? কিরুপ ব্রতানুষ্ঠানে, কিরুপ ধর্ম্মালম্বনে কিরুপ নিয়মচরণে, কি প্রকার পূজাঁ করিলে ও কোনো প্রকার আশ্রয় করিলে, তিনি সন্তুষ্ঠ থাকেন? এবং সেই ঈশ্বরের রুপ কি?
………………. শ্লোক নং (৪৪-৪৬), অধ্যায় ০২, পুর্ব খন্ড, গড়ুর পুরান।
হরিরুবাচ।।৫০।। শৃনু রুদ্র প্রবক্ষ্যামি ব্রহ্মণা চ সুরৈ: সহ। অহং হি দেবোদেবানাং সব্র্ব্বলোকেশ্বরেশ্বর: ।।৫১।। অহং ধ্যেয়শ্চ পুজ্যশ্চ স্তত্যোহহং স্তুতিভি: সুরৈ: অহং হি পুজিত রুদ্র দদামি পরমাং গতিং। ৫২
অনুবাদ: হরি বলিলেন, হে রুদ্র! হে ব্রাহ্মন্! হে দেবগন! তোমরা অবহিত চিত্তে শ্রবণ করো । আমিই দেবগণের দেবতা। আমিই নিখিলভুবনের ইশ্বর,।(৫০-৫১)। অমরগণ আমাকেই ধ্যাণ, পূঁজা ও স্তব করিয়া থাকেন। হে শঙ্কর! আমাকেই আরাধনা করিলে আমি পরমা গতি প্রদান করি।৫২
…………… শ্লোক নং (৫০-৫২), অধ্যায় ০২, পুর্বখন্ড, গড়ুর পুরান।
ব্রহ্মাভূত্বাসুজদ্বিষ্ণুর্জ্জগৎ পাতি হরি: স্বয়ং । রুদ্ররুপী চ কল্পান্তে জগৎ সংহরতে প্রভু: ।।১৩।।
অনুবাদ: একমাত্র স্বয়ং জগন্নাথ প্রভু ব্রহ্মারুপে সৃস্টি করেন, বিষ্ণুরুপে পালন করেন, কল্পাবসানে রুদ্ররুপে সংহার করেন।
……………… শ্লোক সং ১৩, অধ্যায় ০৩, পুর্ব্ব খন্ড, গড়ুর পুরান।
নারদোহ্যভবৎ পুত্র: কশ্যপস্য মুনে: পুন: যজ্ঞে ধ্বস্তেহথ দক্ষেহপি শশাপোগ্রং মহেশ্বরৎ ।।১৯।। ষষ্ট্বা ত্বামুপচারৈশ্চ অপস্রক্ষন্তি হি দ্বিজা:। জন্মান্তরেহপি বৈরাণি ন বিনশ্যন্তি শঙ্কর ।।২০।।
অনুবাদ: নারদ দক্ষশাপে অতিভুত হইয়া কশ্যপ মুনির পুত্ররুপে পুনর্ব্বার জন্ম পরিগ্রহ করিলেন । দক্ষ স্বীয় য্জ্ঞ বিনাশের পর মহাদেবকেউ শাপ প্রদান করিলেন- ’মহাদেব! যে ব্রাহ্মণগণ উপাচারদ্বারা তেসার অর্চ্চনা করিবে, তাহার জগতে অপ্রতিষ্ঠ ও সকলের বৈরভাজন হইবে, জন্মান্তরেও তাদের বৈরভাব বিনস্ট হইবেনা।
…………… শ্লোক (১৯-২০), অধ্যায় ০৬, পুর্বখন্ড, গড়ুর পুরান
কৃষ্ণ কৃষ্ণেতি কৃষ্ণেতি যো মাং স্মরতি নিত্যশ: জলং ভিত্ত্বা যথশা পদ্মং নরকাদুদ্ধরাম্যহ! ।।৬।।
অনুবাদ: যে ব্যাক্তি ‘কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ ‘ এইরুপে প্রতিদিন আমাকে স্বরণ করে, সে জল ভেদ করিয়া পদ্ম উথিশত হয়, আমি তাহাকে সেই রুপ নরক হইতে উদ্ধার করি।
…………… শ্লোক সং০৬, অধ্যায় ২৮, উত্তর খন্ড, গড়ুর পুরান।

No comments:

Post a Comment