বৈষ্ণবীয় বাৎসল্য ভাব:
উডুপির কৃষ্ণ বিগ্রহ মাধ্বাচার্য্যের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাৎসল্য ভাবে দেবকি নন্দন কৃষ্ণরুপি বিষ্ণুর উপাসনায় শ্রুতির সমর্থন:
এষ হ দেব: প্রদিশোহনু সর্বা: পূর্বো হ জাত: স উ গর্ভে অন্ত:।
স এব জাত: স জনিষ্যমাণ: প্রত্যঙ্ জনাংস্তিষ্ঠতি সর্বতোমুখ:।।
অনুবাদ: এই পরম দেবতাই পূর্বাদি সমস্ত দিক ও অগ্নিকোণ প্রভৃতি অবান্তর দিক সকল ব্যাপিয়া আছেন; তিনিই সকলের পূর্বে আবির্ভূত হন। তিনিই গর্ভের অভ্যন্তরে বর্তমান, তিনিই শিশুরুপে জন্মগ্রহণ করেন এবং পরেও তিনিই জন্মিবেন। তিনিই সর্বোতমুখ হইয়া সকলের অভ্যন্তরে বাস করেন।
................. শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ ২/১৬ অথবা ৩২।
প্রশ্নে উঠতে পারে উক্ত মন্ত্রের অনুবাদে শিশু কোথ্থেকে আনলেন?
আরেকটি মন্ত্র দেখা যাক
এষ এস্য মদ্যোরহবো চষ্টে দিব: শিশু: য ইন্দুর্বারমাবিশৎ
অনুবাদ: (দিব্য শিশু) দ্যুলোকের যে পুত্র (যে ইন্দু) যে সৌম বটে (বারং আ বিশাৎ) ছলনীমে প্রবেশ করে, ঐ আনন্দ বিতরনকারি সোমরস সবাইকে দেখেন।
……… সামবেদ ১২৭৭ অথবা ৪/৪/৩/১০ উত্তরার্চিক, সামবেদ। (সুবোধ ভাষ্য)
প্রজাপতিশ্চরতি গর্ভেহঅন্তরজায়মানো বহুদা বি জায়তে।
অনুবাদ: প্রজাপালক পরমাত্মার সত্ত্বা সম্পুর্ণ পদার্থে বিদ্যমান, তিনি অজন্মা হয়েও অনেক রুপে প্রকট হন। ওনার কারন শক্তিতে সম্পূর্ণ ভূবন স্থিত। জ্ঞানী জনেরা ওনার মুখ্য স্বরুপ দেখতে পান।
………… শুক্ল যজুর্বেদ ৩১/১৯ (শ্রী রাম শর্মা-ভাষ্য)
জন্মকর্ম্ম চ মে দিব্যমেবং যো বেত্তি তত্ত্বতঃ।
ত্যক্ত্বা দেহং পুনর্জ্জন্ম নৈতি মামেতি সোহর্জ্জুন।।
অর্থঃ- হে অর্জ্জুন, আমার এই দিব্য জন্ম ও কর্ম্ম যিনি তত্ত্বতঃ জানেন, তিনি দেহত্যাগ করিয়া পুনর্ব্বার আর জন্মপ্রাপ্ত হন না – তিনি আমাকেই প্রাপ্ত হন।
………… গীতা ৪/৯
এখানে দিব্য জন্মের কথা বলা হয়েছে। শঙ্করাচার্য্য ও রামানুচার্য্য উভয়ই এই জন্মকে অপ্রাকৃত বলেছেন। ইশ্বরের অপ্রাকৃত জন্ম স্বেচ্ছায় হয়ে থাকে। স্ক্রিণশটটি জগদীশ চন্দ্র ঘোষের গীতা ভাষ্য থেকে।