Thursday, July 27, 2023

ব্রজনাথ কৃষ্ণই দ্রৌপদীর বস্ত্রহারণ থেকে রক্ষা করেছিলো:

ব্রজনাথ কৃষ্ণই দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ থেকে রক্ষা করেছিলো:




আসুন পড়ে দেখি:



অনুবাদরাজন! তখন দু:শাসন ঐ ভরা সভায় দ্রৌপদীর বস্ত্র বলপূর্বক ধরে টানতে শুরু করে দিলো। ৪০ ।। বৈশ্পায়ন বলেন- জনমেজয়! যখন বস্ত্র টান দিচ্ছিলো, তখন দ্রৌপদী ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণের স্বরণ নিলেন।৪০ ১/২। দ্রৌপদী মনে মনে বলেন- আমি পূর্বকালের মহাত্মা বশিষ্ঠজীর কথা পুরো স্বরণ রয়েছে যে খুব বিপদের সময় ভগবান্ শ্রীহরির স্বরণ করা উচিৎ।। বৈশ্পায়ণ জী বলেন- জনমেজয়! ঐ বিচারে দ্রৌপদী বারংবার ‘গোবিন্দ’ আর ‘কৃষ্ণ’ নাম নিয়ে বিড়বিড় করছিলেন আর বিপদকালীন সময়ে অভয়দানকারীলোকপুতিতাভয় নারায়ণ স্বরুপ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চিন্তা করেন।। হে গোবিন্দ! হে দ্বারকাবাসী শ্রীকৃষ্ণ! হে গোপাঙ্গনাদের প্রাণবল্লভ কেশব! কৌরব আমার অপমান করছে, আপনি কি জানছেন না? হে নাথ! হে রমানাথ! হে ব্রজনাথ! হে শঙ্কটনাশকারী জনার্ধন! আমি কৌরবরুপ সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছি, আমাকে উদ্ধার করুন।।৪১-৪২।। সচ্ছিদানন্দনস্বরুপ শ্রীকৃষ্ণ! মহাযোগিন্! বিশ্বাত্মান্! বিশ্বভাবন্! গোবিন্দ! কৌরবদের মধ্যে কষ্ট পাওয়া মুক্ষ শরণাগত অবলাকে রক্ষা করো।।৪৩।। রাজন! এই প্রকার তিন লোকের স্বামী শ্যামসুন্দর শ্রীকৃষ্ণের বার বার চিন্তা করে আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে জোরে জোরে কাদঁতে লাগেন। ৪৪।। ধ্রুপদনন্দিনীর করুণ ডাক শুনে কৃপালু শ্রীকৃষ্ণ গলে গেলেন এবং আসন ছেড়ে দ্রুত পায়ে দৌড় দিলেন। যজ্ঞশেনকুমারী কৃষ্ণা(দ্রৌপদি) নিজের রক্ষা করার জন্য শ্রীকৃষ্ণ, বিষ্ণু, হরি এবং নর আদি ভগবানকে জোরে জোরে ডাকতে ছিলেন। ঐ সময় ধর্মস্বরুপ মহাত্মা শ্রীকৃষ্ণ অব্যক্তরুপে ওনার বস্ত্রে প্রবেশ করে অনেক অনেক সুন্দর বস্ত্র দ্বারা দ্রৌপদীকে ঢেকে ফেললেন।। ৪৫-৪৬।। জনমেজয়! দ্রৌপদীর বস্ত্র টান দেওয়ার সময় ঐভাবে অন্য অনেক বস্ত্র প্রকট হচ্ছিলো।।৪৭।। রাজন! ধর্মপালের প্রভাবে বহু ধরণের বহু রঙের বস্ত্র হচ্ছিলো।।৪৮।।

..................... শ্লোক (৪০-৪৮), অধ্যায় ৬৮, সভা পর্ব, মহাভারত(গীতাপ্রেস)



অনুবাদ: শ্রীকৃষ্ণ! চার কারণে আপনার আমাকে প্রতিদিন রক্ষা করা উচিৎ। এক আপনি আমার আত্মীয়। দুই অগ্নিকুণ্ড থেকে উৎপন্ন হওয়ায় গৌরবশালী, তিন আপনার সখী আর চার আপনি রক্ষা করতে সমর্থ।

....................... শ্লোক ১২৭, অধ্যায় ১২, বনপর্ব, মহাভারত(গীতা প্রেস)।



 


অনুবাদ: পাণ্ডবরা সবকিছু দেখছিলো তবুও তাদের ক্রোধ হয়নি এমনকি ওর হাত থেকে ছাড়ানোর চেস্টা করেনি ঐ সময় আমি (অত্যন্ত অসহায় হয়ে) মনে মনে আপনার চিন্তা করে বলেছিলাম- ‘গোবিন্দ! আমাকে রক্ষা করো’ (প্রভো! তখন আপনিই কৃপা করে আমার লজ্জ্বা বাচিয়েছেন।)।।

.................... শ্লোক নং ২৬, অধ্যায় ৮২, উদ্যোগ পর্ব, মহাভারত(গীতা প্রেস)।

























No comments:

Post a Comment