Sunday, October 24, 2021

রামায়নের কৃষ্ণ:

 রামায়নের কৃষ্ণ:





ইতি শ্রুত্বা হৃষীকেশ: কামঠং রুপমাস্থিত:।

পর্বতং পৃষ্ঠত: কৃ্ত্বা শিশ্যে তত্রোদধৌ হরি:।

অনুবাদ: হৃষিকেশ শ্রীহরি দেবতাদের  এই প্রার্থনা শুনে কচ্ছপের রুপ ধরে মন্দার পর্বতকে নিজের পৃষ্ঠে ধারন করলেন এবং সুমুদ্রে শয়ন করলেন।



পর্বতাগ্রং তু লোকাত্মা হস্তেনাক্রম্য কেশব:।

দেবানাং মধ্যত:  স্থিত্বা মম  পুরুষোত্তম:।।

অনুবাদ: বিশ্বাত্মা পুরুষোত্তম কেশব, দেবতাদের মধ্যে অবস্থিত হয়ে পর্বতের অগ্রভাগ হস্ত দ্বার ধারন করে সুমুদ্র মন্থন করতে লাগলেন।


......................... ২৯,৩০ নং শ্লোক ৪৫অধ্যায়, বালকান্ড, বাল্মিকি রামায়ন।




শার্ঙ্গধন্বা ঋষীকেশপুরুষপুরুষোত্তম:

অজিতখড়্গধৃগ্ বিষ্ণুকৃষ্ণশ্চৈব বৃহদ্ বল:


অনুবাদআপনি শার্ঙ্গকার্মুকধারীঋষিকেশ(অর্থাৎইন্দ্রীয়গামের প্রভু)বিশ্বব্রহ্মান্ডের সত্ত্বাপুরুষোত্তম (সকলের শ্রেষ্ঠ), অজেয়খড়গধারী বিষ্ণু এবং সর্বশক্তিমান শ্রীকৃষ্ণ



সেনানীর্গ্রামণীশ্চ ত্বং বুদ্ধি: সত্ত্বং ক্ষমা দম:।

প্রভবশ্চাপ্যয়শ্চ ত্বমুপেন্দ্রো মধুসুদন:।


অনুবাদ: আপনি দেব সেনাপতি, প্রামসমুহের মুখ্য কর্তা। আপনি বুদ্ধি, ক্ষমা, ইন্দ্রিয়গ্রামের প্রশমক দম নামে জ্ঞাত। সমস্ত কিছুর উৎস ও প্রলয়। আপনি উপেন্দ্র বামনাবতার এবং মধুসুদন (মধু নামক দৈত্যের সংহারক)।


…… (১৫-১৬)/১১৭ স্বর্গযুদ্ধকান্ডবাল্মিকী রামায়ন।


আপনি বলতে পারেন এই মধুসুদনতো বিষ্ণুকে বলা  হয়েছে, হুম বিষ্ণু রুপী কৃষ্ণ কিংবা কৃষ্ণরুপী বিষ্ণুকেই বলা হয়েছে। বিষ্ণু পূর্ব থেকেই কৃষ্ণ নামে পরিচিত। অথবা বলতে পারেন কৃষ্ণই বিষ্ণু নামে পূর্ব থেকেই পরিচিত। সত্য তো এটাই যে বিষ্ণু ও কৃষ্ণ একই। আসুন দেখে নেই গীতায় কৃষ্ণের বিশ্বরুপ প্রদর্শনের পূর্ব থেকেই বারংবার কৃষ্ণকে মধুসুদন বলে ডাকা হয়েছে।



অর্জ্জুন উবাচ

মাতুলাঃ শ্বশুরাঃ পৌত্রাঃ শ্যালাঃ সন্বন্ধিনস্তথা।
এতান্ন হন্তুমিচ্ছামি ঘ্নতোহপি মধুসূদন।। /৩৪


সঞ্জয় উবাচ

তং তথা কৃপয়াবিষ্টমশ্রুপূর্ণাকুলেক্ষণম্।

বিষীদন্তমিদং বাক্যমুবাচ মধুসূদনঃ।। /


অর্জ্জুন উবাচ

কথং ভীস্মমহং সংখ্যে দ্রোণঞ্চ মধুসূদন।

ইযুভিঃ প্রতিযোৎস্যামি পুজার্হাবরিসূদন।। /


অর্জ্জুন উবাচ

যোহয়ং যোগস্ত্বয়া প্রোক্তঃ সাম্যেন মধুসূদন।

এতস্যাহং পশ্যামি চঞ্চলত্বাৎ স্থিতিং স্থিরাম্।।৬/৩৩


অর্জ্জুন উবাচ

অধিযজ্ঞঃ কথং কোহত্র দেহেহস্মিন্ মধুসূদন

প্রয়াণকালে কথং জ্ঞেয়োহাস নিয়তাত্মভিঃ।।৮/২



আসুন দেখি  বাল্মিকী রামায়নে কোথায়  সরাসরি কোথায় কৃষ্ণের কথা রয়েছে,



মাহেন্দ্রশ্চ কৃতো রাজা বলিং বদ্ধ্বা সুদারুণম্

সীতা লহ্মীর্ভান্ বিষ্ণুর্দেবকৃষ্ণ প্রজাপতি:২৭


অনুবাদআপনি অত্যন্ত পরাক্রমী দৈত্যরাজ বলিকে বন্দি করে দেবরাজ ইন্দ্রকে ত্রিভুবনের রাজা করিয়াছিলেন সীতা সাক্ষাৎ লহ্মী এবং আপনি নারায়ণ আপনি সচ্চিদানন্দস্বরুপ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং প্রজাপতি

…… ২৭/১১৭ স্বর্গযুদ্ধকান্ডবাল্মিকী রামায়ণ






















কুর্ম রুপি পরমাত্মা:

 কুর্ম রুপি পরমাত্মা:



হংস:, কূর্মশ্চ মৎস্যশ্চ প্রদুর্ভাবা দ্ধিজোক্তম।। ১০৩।।

বরাহো নরসিংহশ্চ বামনো রাম ইব চ।

রামো দাশারথিচৈব সাত্বত: কল্কিরেব চ।।১০৪।।




অনুবাদ:  দ্বিজশ্রেষ্ঠ! হংস, কূর্ম, মৎস্য, বরাহ, নরসিংহ, বামন, পরশুরাম, দশরথনন্দন রাম, যদুবংশি শ্রীকৃষ্ণ তথা কল্কি- যে সব অবতার ।

.................... ১০৩-১০৪শ্লোক৩৪১অধ্যায়৫৩৫২পৃ, শান্তি পর্ব, মহাভারত(গীতা প্রেস)


ইতি শ্রুত্বা হৃষীকেশ: কামঠং রুপমাস্থিত:।

পর্বতং পৃষ্ঠত: কৃ্ত্বা শিশ্যে তত্রোদধৌ হরি:।

অনুবাদ: হৃষিকেশ শ্রীহরি দেবতাদের  এই প্রার্থনা শুনে কচ্ছপের রুপ ধরে মন্দার পর্বতকে নিজের পৃষ্ঠে ধারন করলেন এবং সুমুদ্রে শয়ন করলেন।


পর্বতাগ্রং তু লোকাত্মা হস্তেনাক্রম্য কেশব:।

দেবানাং মধ্যত:  স্থিত্বা মম  পুরুষোত্তম:।।

অনুবাদ: বিশ্বাত্মা পুরুষোত্তম কেশব, দেবতাদের মধ্যে অবস্থিত হয়ে পর্বতের অগ্রভাগ হস্ত দ্বার ধারন করে সুমুদ্র মন্থন করতে লাগলেন।


......................... ২৯,৩০ নং শ্লোক ৪৫অধ্যায়, বালকান্ড, বাল্মিকি রামায়ন।



যদা সংহরতে চায়ং কুর্ম্মোহঙ্গানীব সর্ব্বশঃ।

ইন্দ্রিয়াণীন্দ্রিয়ার্থেভ্যস্তস্য প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠিতা।। 


অনুবাদ: কচ্ছপ যেমন কর-চরণাদি অঙ্গসকল সঙ্কুচিত করিয়া রাখে, তেমনি যিনি রূপরসাদি ইন্দ্রিয়ের বিষয় হইতে ইন্দ্রিয়সকল সংহরণ করিয়া লন, তিনিই স্থিতপ্রজ্ঞ।


.................. গীতা ২/৫৮















সুপর্ণ: পার্জন্য আতির্বাহসো দর্বিদা তে বায়বে বৃহস্পতয়ে বাচস্পতয়ে পৈঙ্গরাজোহলজ আন্তরিক্ষ: প্লবো মদগুর্মৎস্যস্তে নদীপতয়ে দ্যাবাপৃথিবীয়: কূর্ম:।।

অনুবাদ: 


.............. ৩৪নং মন্ত্র ২৪ যর্জুবেদ।




Thursday, October 14, 2021

কামরুপি পরমাত্মা:

নারায়ন কেশবই কামদেবঃ



ভীষ্ম উবাচ,

 নম নারায়ণায়েতি কামদেবাত্মনে নমঃ

 অনুবাদঃ নারায়ণ কামদেবাত্মাকে নমস্কার

 ........ ১১৫ নং শ্লোক, ২৩ অধ্যায়, সৃষ্টি খন্ড, পদ্মপুরান।

 


ন পশ্যামি কামকেশবয়োঃ সদা

 অনুবাদঃ কখনোই কামদেব ও কেশবে ভেদ করিনা।

 ........ ১২৮ নং শ্লোক, ২৩ অধ্যায়, সৃষ্টি খন্ড, পদ্মপুরান।



যত: সর্ব্বে প্রসূয়ন্তে হ্যানঙ্গাত্মাঙ্গদেহিন:।

উম্মাদ: সর্ব্বভূতানাং তস্মৈ কামাত্মনে নম:

 

অনুবাদ: যাহাদের মনে কাম এবং সমস্ত অঙ্গেও কাম থাকে, সেইরুপ সমস্ত প্রাণী যাহা হইতে উৎপন্ন হয় এবং যিনি সমস্ত প্রাণীর উম্মত্ততা জন্মাইয়া থাকেন; সেই কামরুপী পরমাত্মাকে নমস্কার করি।

................ ৫২নং শ্লোক, ৪৬অধ্যায়, শান্তি পর্ব, মহাভারত।


কামস্তদগ্রে সমবর্তত মনসো রেত: প্রথমং যদাসীৎ।

স কাম কামেন বৃহতা সযোনী রায়স্পোষং যজমানায় ধেহি।।



ছবিটি হরিশরন সিদ্ধান্ত লঙ্কার এর।


ছবিটি সুবোধ ভাষ্যের।


……. অথর্ববেদ ১৯কান্ড ৫২সুক্ত ১ নং মন্ত্র।


ত্বং কাম সহসাসি প্রতিষ্ঠিতো বিভুর্বিভাবা সখা আ সখীয়তে।

ত্বমুগ্র: পৃতনাসু সাসহি: সহ ওজো যজমানায় ধেহি।।



ছবিটি হরিশরন সিদ্ধান্ত লঙ্কার এর।


ছবিটি সুবোধ ভাষ্যের।

……. অথর্ববেদ ১৯কান্ড ৫২সুক্ত ২ নং মন্ত্র।

Monday, October 4, 2021

কৃষ্ণই গণেশ:

 কৃষ্ণই গণেশ:






যা এব মুলপ্রকৃতির্যস্যা: পুত্রো গণেশ্বর: ।

কৃত্বা কৃষ্ণব্রতং সাচ লেভে গণপতিং সুতং।২১।।

স্বাংশেন কৃষ্ণো ভগবান বভুত চ গণেশ্বর:।২২।।

 


অনুবাদ: গণেশজননী মূলপ্রকৃতি ভগবতী দুর্গাদেবী পরাৎপর পরমাত্মা কৃষ্ণের ব্রত অবলম্বন করিয়া তৎপ্রসাদে গণপতিকে পুত্ররুপে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ভগবান কৃষ্ণ সীয় অংশে গণেশরুপে সমুৎপন্ন হন।।



……………… অধ্যায় ৬৬, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান প্রকৃতি খন্ডম।



এই পুস্পক ব্রতের প্রভাব দ্বারা স্বয়ং গোলোকনাথ শ্রীকৃষ্ণ পার্বতীর গর্ভ থেকে উৎপন্ন হয়ে আপনার পুত্র হবেন। ঐ কৃপানিধি স্বয়ং সমস্ত দেবগণের ইশ্বর। এই জন্য ত্রিলোকে গণেশ নামে বিখ্যাত।



..................... অধ্যায় ০৬, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান, গণপতি খন্ড। 








Saturday, October 2, 2021

বিষ্ণু পুরান পদ্মপুরানের পরে এসেছে:

বিষ্ণু পুরান পদ্মপুরানের পরে এসেছে:


আসুন দেখে নেই পুরানের ক্রম

ব্রাহ্মং পাদ্মং বৈষ্ণবঞ্চ শৈবং ভাগবতং তথা।

যথান্যং নারদীয়ঞ্চ মার্কেন্ডেয়ঞ্চ সপ্তমম্ ।

আগ্নেয়মষ্টমঞ্চৈব ভবিষ্যং নবমং তথা ।। ২২

দশমং ব্রহ্মবৈবর্ত্তং লৈঙ্গমেকাদশং স্মৃতম্ ।

বরাহং দ্বাদশঞ্চৈব স্কান্দঞ্চাত্র ত্রয়োদশম্ ।।২৩

চতুর্দ্দশং বামনঞ্চ কৌর্ম্মং  পঞ্চদশং স্মৃতম্ ।

মাৎস্যঞ্চ গাড়ুরঞ্চৈব ব্রহ্মাণ্ডঞ্চ তত: পরম্ ।।২৪।।

 

অনুবাদ: তন্মধ্যে প্রথম ব্রাহ্মপুরাণ, দ্বিতীয় পদ্ম পুরাণ, তৃতীয় বিষ্ণু পুরাণ, চতুর্থ শিব পুরাণ, পঞ্চম ভাগবত পুরাণ, ষষ্ঠ নারদীয় পুরাণ, সপ্তম মার্কন্ডেয় পুরাণ, অস্টম অগ্নি পুরাণ, নবম ভবিষ্য পুরাণ, দশম ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, একাদশ লিঙ্গ পুরাণ, দ্বাদশ বরাহ পুরাণ, ত্রয়োদশ স্কন্দ পুরাণ, চতুদর্শ বামন পুরাণ, পঞ্চদশ কূর্ম্ম পুরাণ, ষোড়শ মাৎস্যপুরাণ, সপ্তদশ গরুড় পুরাণ, অস্টাদশ ব্রহ্মান্ড পুরাণ ।

…………… অধ্যায় ১৬, তৃতীয়াংশ, বিষ্ণু পুরাণ ।




ব্রহ্মং পাদ্মং বৈষ্ণবঞ্চ শৈবং ভাগবতং ।

ভবিষ্যং নারদীয়ঞ্চ মার্কেন্ডেয়মত: পরম্।

আগ্নেয়ং ব্রহ্মবৈবর্ত্তং লৈঙ্গং বরাহমেব ।।৩৯

স্কান্দঞ্চ বামনঞ্চৈব কৌর্স্মং সাৎস্যঞ্চ গার

ব্রহ্মাণ্ডখ্যমিতিপুণ্যোহরং পুরাণানমসুক্রম: ।।৪০


অনুবাদ: ব্রহ্ম পুরাণ, পদ্ম পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ, শিব পুরাণ, ভাগবত পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ, নারদ পুরাণ, মার্কেন্ডেয় পুরাণ, অগ্নি পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ,   লিঙ্গ পুরাণ, বরাহ পুরাণ, স্কন্দ পুরাণ, বামন পুরাণ, কূর্ম পুরাণ, মৎস পুরাণ, গরুড় পুরাণ, ব্রহ্মান্ড পুরাণ।

………… শিব পুরান, বায়বীয় সংহিতা, প্রথম অধ্যায়




ব্রাহ্মং পাদ্ম্যং বৈষ্ণবং চ শৈব লৈঙ্গং সগারুড়ম্।

নারদীয় ভাগবতমাগ্নেয়ং স্কান্দসংজ্ঞিতম্ ।।২৩

ভবিষ্যং ব্রহ্মবৈবর্তং মার্কেন্ডেয়ং সবামনম্ ।

বরাহাং মাৎস্যং কৌর্মং চ ব্রহ্মাণ্ডখ্যমিতি ত্রিষট্।।২৪

 

অনুবাদ: ব্রহ্মপুরাণ, পদ্মপুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ, শিব পুরাণ, লিঙ্গ পুরাণ, গড়ুর পুরাণ, নারদ পুরাণ, ভাগবত পুরাণ, অগ্নি পুরাণ, স্কন্দপুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, মার্কেন্ডেয় পুরাণ, বামন পুরাণ, বরাহ পুরান, মৎস পুরাণ, কূর্ম পুরাণ এবং ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ।

…………… ভাগবত ১২ স্কন্দ, ৭ম অধ্যায়, ২৩-২৪শ্লোক



ছবিটি পঞ্চনন তর্করত্নের বিষ্ণু পুরান


ছবিটি গীতা প্রেসের বিষ্ণু পুরান