রামায়নের কৃষ্ণ:
ইতি শ্রুত্বা হৃষীকেশ: কামঠং রুপমাস্থিত:।
পর্বতং পৃষ্ঠত: কৃ্ত্বা শিশ্যে তত্রোদধৌ হরি:।
অনুবাদ: হৃষিকেশ শ্রীহরি দেবতাদের এই প্রার্থনা শুনে কচ্ছপের রুপ ধরে মন্দার পর্বতকে নিজের পৃষ্ঠে ধারন করলেন এবং সুমুদ্রে শয়ন করলেন।
পর্বতাগ্রং তু লোকাত্মা হস্তেনাক্রম্য কেশব:।
দেবানাং মধ্যত: স্থিত্বা মম পুরুষোত্তম:।।
অনুবাদ: বিশ্বাত্মা পুরুষোত্তম কেশব, দেবতাদের মধ্যে অবস্থিত হয়ে পর্বতের অগ্রভাগ হস্ত দ্বার ধারন করে সুমুদ্র মন্থন করতে লাগলেন।
......................... ২৯,৩০ নং শ্লোক ৪৫অধ্যায়, বালকান্ড, বাল্মিকি রামায়ন।
শার্ঙ্গধন্বা ঋষীকেশ: পুরুষ: পুরুষোত্তম:।
অজিত: খড়্গধৃগ্ বিষ্ণু: কৃষ্ণশ্চৈব বৃহদ্ বল:।
অনুবাদ: আপনি শার্ঙ্গকার্মুকধারী, ঋষিকেশ(অর্থাৎ, ইন্দ্রীয়গামের প্রভু), বিশ্বব্রহ্মান্ডের সত্ত্বা, পুরুষোত্তম (সকলের শ্রেষ্ঠ), অজেয়, খড়গধারী বিষ্ণু এবং সর্বশক্তিমান শ্রীকৃষ্ণ।
সেনানীর্গ্রামণীশ্চ ত্বং বুদ্ধি: সত্ত্বং ক্ষমা দম:।
প্রভবশ্চাপ্যয়শ্চ ত্বমুপেন্দ্রো মধুসুদন:।।
অনুবাদ: আপনি দেব সেনাপতি, প্রামসমুহের মুখ্য কর্তা। আপনি বুদ্ধি, ক্ষমা, ইন্দ্রিয়গ্রামের প্রশমক দম নামে জ্ঞাত। সমস্ত কিছুর উৎস ও প্রলয়। আপনি উপেন্দ্র বামনাবতার এবং মধুসুদন (মধু নামক দৈত্যের সংহারক)।
…… (১৫-১৬)/১১৭ স্বর্গ, যুদ্ধকান্ড, বাল্মিকী রামায়ন।
আপনি বলতে পারেন এই মধুসুদনতো বিষ্ণুকে বলা হয়েছে, হুম বিষ্ণু রুপী কৃষ্ণ কিংবা কৃষ্ণরুপী বিষ্ণুকেই বলা হয়েছে। বিষ্ণু পূর্ব থেকেই কৃষ্ণ নামে পরিচিত। অথবা বলতে পারেন কৃষ্ণই বিষ্ণু নামে পূর্ব থেকেই পরিচিত। সত্য তো এটাই যে বিষ্ণু ও কৃষ্ণ একই। আসুন দেখে নেই গীতায় কৃষ্ণের বিশ্বরুপ প্রদর্শনের পূর্ব থেকেই বারংবার কৃষ্ণকে মধুসুদন বলে ডাকা হয়েছে।
অর্জ্জুন উবাচ –
মাতুলাঃ শ্বশুরাঃ পৌত্রাঃ শ্যালাঃ সন্বন্ধিনস্তথা।
এতান্ন হন্তুমিচ্ছামি ঘ্নতোহপি মধুসূদন।। ১/৩৪
সঞ্জয় উবাচ –
তং তথা কৃপয়াবিষ্টমশ্রুপূর্ণাকুলেক্ষণম্।
বিষীদন্তমিদং বাক্যমুবাচ মধুসূদনঃ।। ২/১
অর্জ্জুন উবাচ –
কথং ভীস্মমহং সংখ্যে দ্রোণঞ্চ মধুসূদন।
ইযুভিঃ প্রতিযোৎস্যামি পুজার্হাবরিসূদন।। ২/৪
অর্জ্জুন উবাচ –
যোহয়ং যোগস্ত্বয়া প্রোক্তঃ সাম্যেন মধুসূদন।
এতস্যাহং ন পশ্যামি চঞ্চলত্বাৎ স্থিতিং স্থিরাম্।।৬/৩৩
অর্জ্জুন উবাচ –
অধিযজ্ঞঃ কথং কোহত্র দেহেহস্মিন্ মধুসূদন।
প্রয়াণকালে চ কথং জ্ঞেয়োহাস নিয়তাত্মভিঃ।।৮/২
আসুন দেখি বাল্মিকী রামায়নে কোথায় সরাসরি কোথায় কৃষ্ণের কথা রয়েছে,
মাহেন্দ্রশ্চ কৃতো রাজা বলিং বদ্ধ্বা সুদারুণম্।
সীতা লহ্মীর্ভান্ বিষ্ণুর্দেব: কৃষ্ণ প্রজাপতি:২৭
অনুবাদ: আপনি অত্যন্ত পরাক্রমী দৈত্যরাজ বলিকে বন্দি করে দেবরাজ ইন্দ্রকে ত্রিভুবনের রাজা করিয়াছিলেন। সীতা সাক্ষাৎ লহ্মী এবং আপনি নারায়ণ। আপনি সচ্চিদানন্দস্বরুপ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং প্রজাপতি।
…… ২৭/১১৭ স্বর্গ, যুদ্ধকান্ড, বাল্মিকী রামায়ণ