Saturday, July 8, 2023

ভক্তি দেবী:

 

ভক্তি দেবী:


যো  হৃষ্যতি  দ্বেষ্টি  শোচতি  কাঙ্ক্ষতি।
শুভাশুভপরিত্যাগী ভক্তিমান্ যঃ  যে প্রিয়ঃ।।১৭

অর্থঃ- (১৭যিনি ইষ্টলাভে হৃষ্ট হন নাঅপ্রাপ্যবস্তুলাভে আকাঙ্ক্ষা করেন নাযিনি কর্ম্মের শুভাশুভ ফলাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করিয়াছেনঈদৃশ ভক্তিমান্‌ সাধক আমার প্রিয়।

সমঃ শতৌ  মিত্রে  তথা মানাপমানয়োঃ।
শীতোষ্ণসুখদুঃখেষু সমঃ সঙ্গবিবর্জ্জিতঃ।।১৮
তুল্যনিন্দাস্তুতির্মৌনী সন্তুষ্টো যেন কেনতিৎ।
অনিকেতঃ স্থিরমতির্ভক্তিমান্ মে প্রিয়ো নরঃ।।১৯

অর্থঃ- (১৮-১৯যিনি শত্রু-মিত্রেমান-অপমানেশীত-উষ্ণেসুখ-দুঃখে সমত্ববুদ্ধিসম্পন্নযিনি সর্ব্ববিষয়ে আসক্তিবর্জ্জিতস্তুতি বা নিন্দাতে যাঁহার তুল্য জ্ঞানযিনি সংযতবাক্‌, যদ্দৃচ্ছালাভে সন্তুষ্টগৃহাদিতে মমত্ববুদ্ধিবর্জ্জিতএবং স্থিরচিত্তঈদৃশ ভক্তিমান্‌ ব্যক্তি আমার প্রিয়।

যে তু ধর্ম্মামৃতমিদং যথোক্তং পর্য্যুপাসতে।
শ্রদ্দধানা মৎপরমা ভক্তাস্তেহতীব মে প্রিয়াঃ।।২০

অর্থঃ- (২০যাঁহারা শ্রদ্ধাবান্‌  মৎপরায়ণ হইয়া পূর্ব্বোক্ত অমৃততুল্য ধর্ম্মের অনুষ্ঠান করেনসেই সকল ভক্তিমান্‌ আমার অতীব প্রিয়।

...................... ১৭-২০নং শ্লোক, ১২অধ্যায়।

Monday, July 3, 2023

রাধা কৃষ্ণের পুজা:

 রাধা কৃষ্ণের পুজা:



   

  


................... ২০অধ্যায়, ব্রহ্মখন্ড, পদ্মপুরান(নাভাল কিশোর প্রেস)।







মাতা রাধা ঔরষজাত সন্তান ছিলেন না:

 মাতা রাধা ঔরষজাত সন্তান ছিলেন না:


 


 



                                           বি.দ্র: শ্লোক ও অনুবাদ দুটি বইয়ের।

অনুবাদ: শ্রীকৃষ্ণ তখন তার প্রাণেধিক প্রিয়ে রাধিকজিকে ডাকেন। আর বলেন, হে দেবী আমি পৃথিবীতে যাচ্ছি, পৃথিবীর ভার নস্ট করাবার জন্য তুমিও মনুষ্যলোকে চলো। এটা শুনে রাধাজীও পৃথিবীতে ভাদ্র মাষের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দিনের বেলায় বৃষভানুর যজ্ঞভূমি শুদ্ধ করার জন্য সুন্দররুপে আবির্ভুত হন। তখন বৃষভানু রাজা তাকে পেয়ে আনান্দ যুক্ত মনে নিজের স্থানে নিজের রানীকে নিয়ে দেন। তখন রানী রাধাজীকে পালন করেতে লাগলেন।


.................... শ্লোক (৩৮-৪২), অধ্যায় ০৭, ব্রহ্মখন্ড, পদ্মমহাপুরান। 



সত্যম বহুসূতরত্না,-করতাম স প্রাপ গোপদুগ্ধাব্ধি:।

কিন্তবমৃতধ্যুতি-রাধা,-লহ্মীজননাদগাত্ পুর্তিম্।।

সা খলু শ্রী কৃষ্ণজন্মবর্ষনিন্তরবর্ষ সর্বসুখ-সত্রে রাধা নাম্নি নক্ষত্রে জাতেতি রাধাবিধ্যতে।



অনুবাদ:  দুধের সাগর গোপরুপি বৃষভানুর অনেক মুল্যবান পুত্র থাকা সত্ত্বেও তিনি অমৃতপ্রভাবশালিনী রাধারুপী লহ্মী অর্জন করেছিলেন। কন্যার আবির্ভাব হয় শ্রীকৃষ্ণের জন্মে এক বছর পর। ঐসময় মঙ্গলজনক তারকাপুঁজ ছিলো যার নাম ছিলো অনুরাধা। এভাবেই কন্যার নাম হয় রাধা।


........................ (১৯-২০)নং শ্লোক, অধ্যায় ১৫, পূর্বভাগ, গোপালচম্পু (জীব গোষ্মামী)।




Saturday, June 24, 2023

রাস লীলার অষ্ট সখী:

রাস লীলার অষ্ট সখী:


সংমুখে ললিতা দেবী শ্যামলা বায়ুকোণকে। উত্তরে শ্রীমতী ধন্যা ইশান্যাং শ্রীহরিপ্রিয়া।।

বিশাখা চ তথা পূর্বে শৈব্যা চাগ্নৈ তত্ পরম্। পদ্মা চ দক্ষিণে পঞ্চা      ক্রমশ: স্থিতা:।।

যোগপীঠে কেশরাগ্রে চারুচন্দ্রাবতী প্রিয়া। অষ্টৈ প্রকৃতয়: পুজ্যা: প্রধানা: কৃষ্ণবল্লভা:।।

প্রধানপ্রকৃতিস্ত্বধা রাধা চন্দ্রবতী সভা। চন্দ্রাবলী চিত্ররেখা চন্দ্রা মদনসুন্দরী।।

প্রিয়া চ শ্রীমধুমতী চন্দ্ররেখা হরিপ্রিয়া। 



 


 


















Tuesday, June 13, 2023

রাধা নক্ষত্র দেবী:

 রাধা নক্ষত্র দেবী:



                                


অনেকেই প্রশ্ন করেছেন বেদে রাধা নেই, নিরুক্ত অনুসারে বেদে রাধা অর্থে শুধুমাত্র ধন কে বুঝিয়েছে। যখন বেদের অন্য মন্ত্র গুলি নিয়ে বিচার করা হয় তখন দেখা যায় বেদে রাধা অন্য অর্থেও বোঝায়। 


আসুন আমরা দেখে নেই অথর্ববেদ সংহিতার  ১৯/০৭/৩ নং মন্ত্র


                             রাধে বিশাখে শুহবানুরাধা জ্যেষ্ঠা সুনক্ষত্রমরিষ্ট মুলম্।।


               


                                                         ছবিটি তুলশী রাম শর্মার ভাষ্যের

এই ছবিতে দেখা যায় দয়ানন্দ সমাজী তুলশী রাম শর্মা অনুবাদের সময় রাধা ও অনুরাধা শব্দ দুটিকে বাদ দিয়ে অনুবাদ করেছেন।

  


                                                     ছবিটি হরিশরণ  সিদ্ধান্তলঙ্কারের  ভাষ্যের

দয়ানন্দ সমাজী  হরিশরণ সিদ্ধান্তলঙ্কার তার ভাষ্যে রাধা ও অনুরাধা শব্দ দুটিই রেখেছেন। তিনি এক্ষেত্রে রাধা ও বিশাখা নক্ষত্র বলেছেন। এই ভাষ্য অনুষারে রাধা অর্থে নিশ্চয় ধন বোঝানো হয়নি।


আসুন নক্ষত্র সম্পর্কে জেনে নেই। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে নক্ষত্র হল চন্দ্রপথের ২৮টি ভাগ যেগুলো "চন্দ্রনিবাস" হিসেবে পরিচিত । সূর্যের গতিপথকে যেমন ১২ ভাগে ভাগ করে প্রতি ভাগের নাম রাখা হয়েছে রাশি তেমনি চন্দ্রপথকে ২৮ ভাগে ভাগ করে প্রতি ভাগের নাম রাখা হয়েছে নক্ষত্র । ২৮টি নক্ষত্রের নাম যথাক্রমে – () অশ্বিনী () ভরণী () কৃত্তিকা () রোহিণী () মৃগশিরা () আর্দ্রা () পুনর্বসু () পুষ্যা () রেবতী (১০) অশ্লেষা (১১) মঘা (১২) পূর্বফাল্গুনী (১৩) উত্তরফাল্গুনী (১৪) হস্তা (১৫) চিত্রা (১৬) স্বাতী (১৭) বিশাখা (১৮) অনুরাধা (১৯) জ্যেষ্ঠা (২০) মূলা (২১) পূর্বাষাঢ়া (২২) উত্তরাষাঢ়া (২৩) শ্রবণা (২৪) ধনিষ্ঠা (২৫) শতভিষা (২৬) পূর্ব্বভাদ্রপদ (২৭) উত্তরভাদ্রপদ (২৮) অভিজিৎ।


অথর্ববেদের ঐ মন্ত্র সম্পর্কে দয়ানন্দ সমাজী ব্যাতিরেখে অন্য ভাষ্যকরেরা কি বলেছেন দেখা যাক

 

                                                ছবিটি শ্রী রাম  শর্মা আচার্য্যের ভাষ্যের 

অনুবাদঃ রাধা বিশাখা নক্ষত্র আবাহন যোগ্য তথা অনুরাধা, জেষ্ঠা এবং মুল নক্ষত্র মঙ্গলপ্রদ


এই অনুবাদ অনুসারে রাধা দ্বারা বিশাখা, অনুরাধা জেষ্ঠা মঙ্গলপ্রদ মুল নক্ষত্র গুলিকে বুঝিয়েছে।


আসুন দেখে নেই পরমেশ্বর বিষ্ণুর সহিত নক্ষত্রের কি সম্পর্ক?


আদিত্যানামহং বিষ্ণুর্জ্যোতিষাং রবির শুমান্।
মরীচির্ম্মরুতামস্মি নক্ষত্রাণামহং শশী।।

অনুবাদ:দ্বাদশ আদিত্যের মধ্যে আমি বিষ্ণু নামক আদিত্য জ্যোতিস্কগণের মধ্যে আমি কিরণমালী সূর্য্য। মরুৎগণের মধ্যে আমি মরীচি এবং নক্ষত্রগণের মধ্যে চন্দ্র।

....................  শ্লোক ২১, অধ্যায় ১০গীতা।


আসুন দেখি পুরানে নক্ষত্রের সহিত পরমেশ্বর বিষ্ণুর কি সম্পর্ক?


নক্ষত্রপুরুষঞ্চাদৌ চৈত্রমাসে হরিং যজেৎ

অনুবাদচৈত্রমাসে নক্ষত্র পুরুষ হরির পূজা করিবে

 

নক্ষত্রপুরুষো বিষ্ণুপূজনীয় শিবাত্মক:

অনুবাদনক্ষত্রপুরুষ শিবাত্মক বিষ্ণুর পূজা করা কর্তব্য

.........................   ৮নং শ্লোক১৯৬অধ্যায়অগ্নিপুরান



  



  

অনুরাধা   হৃদয়ে, দুই বাহুতে বিশাখা, জেষ্ঠা গ্রীবাতে স্থিত।  অনুরাধা নক্ষত্র দ্বারা ভগবানের উদর, বিশাখা নক্ষত্র দ্বারা ভগবানের দুই বাহু, জেষ্ঠা দ্বারা ভগবানের গ্রীবার পূজো করা হয়।


..................... পৃষ্ঠা ৩৯৬, অধ্যায় ৮০, বামনপুরান(গীতাপ্রেস)


এখান থেকে জানলাম বিষ্ণু নক্ষত্র পুরুষ। 


দেখা যাক অমরকোষ ও শব্দ কল্পদ্রুম কি বলে?

                     

অনুবাদ: রাধা, বিশাখা যো  দো (স্ত্রীয়  ) নাম  বিশাখাকে হো।

........... প্রথম কাণ্ড অমরকোষ।

অমরকোষে রাধা দ্বারা ’স্ত্রী’ ও বোঝাচ্ছে।

 



শব্দকল্পদ্রুম অনুসারে  রাধা বলিতে গোপী বিশেষ:, বিশাখানক্ষত্রম্, বিষ্ণুক্রান্তা ইত্যাদি বুঝিয়েছে।



এখান থেকে জানা যায় রাধা বলিতে গোপী নক্ষত্র বিষ্ণুক্রান্তাও বোঝায়।


রাধাই যেহেতু বিশাখা সেহেতু বিশাখা সম্পর্কে তৈতেরীয় ব্রাহ্মণ কি বলে চেক করি


                          নক্ষত্রাণাধিপত্নী বিশাখে শ্রেষ্ঠা বিন্দ্রাগ্নী ভূবনস্য গোপৌ




অনুবাদ: বিশাখা নক্ষত্রগণের অধিপত্নী ও ভূবনের শ্রেষ্ঠা গোপী।


নক্ষত্র সম্পর্কে আরো কিছু মন্ত্র দেখা যাক:


শ্রীশ্চ তে লহ্মীশ্চ পত্ন্যাবহোরাত্রে পার্শ্বে নক্ষত্রাণি রুপমশ্বিনৌ ব্যাত্তম্ ইঞ্চন্নিষাণামুং  ইষাণ সর্বলোকং  ইষাণ।।



                                     ছবিটি নব্য আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা দয়ানন্দ সরস্বতীর ভাষ্য

………… শুক্ল যজুর্বেদ ৩১/২২।

এখানে জগদীশ্বরকে নক্ষত্ররুপী বলা হচ্ছে অর্থাৎ নক্ষত্র পরমেশ্বর বিষ্ণুর আত্ম রুপ।

পুরান, স্মৃতিশাস্ত্র বিচার করলে দেখা যায় রাধাই কৃষ্ণের আত্ম স্বরুপ। আসুন রেফারেন্সগুলি দেখি


















Wednesday, May 31, 2023

মুখস্ত রাখা:

 মুখস্ত রাখা:



একং সদ বিপ্রা বহুধা বদন্তি 

অনুবাদ: সেই এক ঈশ্বরকে পণ্ডিতগণ বহু নামে বলে থাকেন

.... ১ম মণ্ডল, ১৬৪নং সুক্ত, ৪৬নং মন্ত্র, ঋগ্বেদ সংহিতা


একং সন্তং বহুধন কল্পায়ন্তি

অনুবাদ: সেই এক ঈশ্বরকে বহুরূপে কল্পনা করা হয়েছে

.......... ১০ম মণ্ডল, ১১৪নং সুক্ত, ৫নং মন্ত্র।


দেবানাং পূর্বে যুগে হসতঃ সদাজায়ত

অনুবাদ: দেবতারও পূর্বে সেই অব্যাক্ত(ঈশ্বর) হতে ব্যক্ত জগত উৎপন্ন হয়েছে

ঋক-১০/৭২/

দ্বে বা ব্রহ্মণো রূপে মূর্তং চেব্যমূর্তং চামৃতং চ স্থিতং চ যচ্চ সচ্চ ত্যচ্চ।। 

অনুবাদ:
ব্রহ্মের দুইটি রূপ- মূর্ত ও অমূর্ত, মর্ত্য ও অমৃত, স্থিতিশীল ও গতিশীল, সত্তাশীল ও অব্যক্ত।

বৃহদারণ্যক উপনিষদ, ২/৩/১


শিবকুণ্ডে শিবানন্দা নন্দিনী দেবিকাতটে।
রুক্মিণী দ্বারবত্যাস্ত রাধা বৃন্দাবনে বনে।।৩৮

অনুবাদ: শিবকুণ্ডে শিবানন্দা, দেবিকাতটে নন্দিনী, দ্বারবতীতে রুক্মিণী, বৃন্দাবনে রাধা।

....................... শ্লোক নং ৩৮, অধ্যায় ১৩

শ্রীকালিন্দু উবাচ্।

আত্মারামস্য কৃষ্ণস্য ধ্রুবমাত্মাম্তি রাধিকা।

তস্যা দাস্যপ্রভবেণ বিবহোহস্মান্ন সংস্পৃশেৎ ।।১১।।

তস্যা এবাংশবিস্তবা: সর্ব্বা: শ্রীকৃষ্ণনায়িকা:।

নিত্যসম্ভোগ এবাস্তি তস্যা সাম্মুখ্যযোগত:।।১২।।

স এব সা স সৈবাস্তি বংশী তৎপ্রেমরুপিকা

শ্রীকৃষ্ণনখচন্দ্রালিসঙ্গাচ্চন্দ্রাবলী স্মৃতা।।১৩।।

রুপান্তবম গৃহ্নানা তযো: সেবাতিলালসা।

রুক্মিণ্যাদিসমাবেশো মযাত্রৈব বিলোকিত:।।১৪।।

অনুবাদকালিন্দী বলিলেন,- আত্মারাম কৃষ্ণের আত্মা রাধিকাআমি তাঁহার দাসীতাহার দাস্য প্রভাবেই কাতরতা আমাকে স্পর্শ করিতে অসমর্থসন্দেহ নাই কৃষ্ণের যে সকল নায়িকাতাঁহারাও সেই রাধিকার অংশবিস্তার জানিবে রাধিকার সহিত নিত্য কৃষ্ণের সম্ভোগ-যোগ বিদ্যমানঅতএব রাধিকযোগে অপর নায়িকারাও কৃষ্ণের সহিত সম্মন্ধযুক্ত হন এই  আমি দেখিতেছিসেই কৃষ্ণসেই রাধিকাসেই তাঁহার প্রেমরুপিণী বংশী এবং যিনি কৃষ্ণের নখচন্দ্রের সংযোগে চন্দ্রবলী বলিয়া সম্মানিত হইতেনসেই চন্দ্রাবলীও   রহিয়াছেন রাধা-কৃষ্ণের সেবায় একান্ত অনুরক্তিবশতই্ঁহারা কেহই  রুপান্তর গ্রহণ করেন নাই আর রুক্মিণ্যাদির সমাবেশও  আমি একই স্থানে দেখিতেছি?

................শ্লোক (২১-২৩), অধ্যায় ২য়স্কন্দপুরান বিষ্ণুখন্ডে ভাগবত মাহাত্ম্য


সমুদ্রতয়া বিদ্মহে বিষ্ণুনায়িকিনা ধীমহি

তন্নো রাধা প্রচোদয়াৎ।।

...............  (১০-১৪)/৪৮/২ লিঙ্গপুরাণ।


আস্য জানান্তো নাম চিদ্বিবক্তন মহস্তে বিষ্ণো সুমতিং ভজামহে

এখানে বিষ্ণুর নাম জেনে কীর্তন করতে বলা হয়েছে। বিষ্ণুর সুমতি হোক বলা হয়েছে।

.................... ঋগ্বেদ ১/১৫৬/৩

বিষ্ণবে শিপিবিষ্টায় স্বাহা, বিষ্ণবে নরন্ধিষায় স্বাহা
এখানে শিপিবিষ্ট (বিবস্বান/সূর্য্য) ও নরন্ধিষ
......... শুক্ল যজুর্বেদ ৮/৫৫।

ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ। দিবীব চক্ষুরাততম্॥

সরলার্থ: আকাশে সর্বত্র বিচারী চক্ষু যেমন বিশদ দর্শন করেন তেমনি বেদজ্ঞ ঋত্বিকগণ বিষ্ণুর পরমপদ বা স্বর্গলোক শাস্ত্রীয় দৃষ্টিতে সর্বদা দর্শন করেন।

................ ১ম মণ্ডল, ২২সুক্ত,২০নং মন্ত্র।


আত্মৈবেদমগ্র আসীৎ পুরুষবিধ:

অম্বয়: আত্মা এব ইদম্(এই পরিদৃশ্যমান জগৎ) অগ্রে অসীৎ(ছিলো) পুরুষবিধ:(পুরুষ রুপে)
সরলার্থ: এই পরিদৃশ্যমান পূর্বে জগৎ পুরুষরুপে ছিলো।
.................... বৃহদারণ্যক উপনিষধ ১ম অধ্যায় ৪র্থ ব্রাক্ষ্মণ ১নং মন্ত্র।


স বৈ নৈব রেমে তস্মাদেদাকী ন রমতে ন রমতে স দ্বীতীয়মৈচ্ছৎ। স হৈতাবানাস। যথা স্ত্রীপুমাংসৌ সংপরিচ্বক্তৌ স ইমমেবাত্মানং দ্বেধাপাতয়ত্তত: পতীশ্চ পত্নী চাভবতাং তস্মাদিদমর্ধবৃগলমিব স্ব ইতি স্মাহ যাজ্ঞবল্ক্যস্তস্মাদয়মাকাশ: স্ত্রিয়া পূর্যত এব তাং সমভবত্ততো মনুষ্যা অজায়ন্ত।

সরলার্থ: তিনি আন্দ পাইলেন না সেইজন্য কেহ একা থাকিয়া আনন্দ পান না। তিনি দ্বিতীয় (সঙ্গী লাভ করিতে) চাইলেন। স্ত্রি ওপুরুষ আলিঙ্গিত হইলে যে পরিমান হয় তিনি ততখানিই ছিলেন। তিনি নিজের দেহকে দুইভাগে ভাগ করিলেন । এইভাবে পতি ও পত্নী হইল। এজন্য যাজ্ঞবল্ক্য বলিয়াছেন প্রত্যেকে নিজে অর্ধ বিদলের মতো’; এই জন্য শুন্যস্থান স্ত্রি দ্বারা পূর্ণ হয়। কতনি সেই পত্নীতে মিথূনগতভাবে উপগত হইয়াছিলেন। তাহার ফলে মানুষের উৎপত্তি হইলো।
..................... বৃহদারণ্যক উপনিষধ ১ম অধ্যায় ৪র্থ ব্রাক্ষ্মণ ৩নং মন্ত্র।