Thursday, July 30, 2020

শ্রীমদউর্ধ্বোম্নয় তন্ত্রে শ্রীরাধিকায়কৃপাকটাক্ষস্ত্রোত

শ্রীমদউর্ধ্বোম্নয়ে শ্রীরাধিকায়কৃপাকটাক্ষস্ত্রোত


   


मखेश्वरि क्रियेश्वरि स्वधेश्वरि सुरेश्वरि

त्रिवेदभारतीश्वरि प्रमाणशासनेश्वरि

रमेश्वरि क्षमेश्वरि प्रमोदकाननेश्वरि

व्रजेश्वरि व्रजाधिपे श्रीराधिके नमो˜स्तु ते ॥१२॥

অনুবাদ: হে বৈদিক ত্যাগের রানী, হে পবিত্র কাজকর্মের রানী, বৈষয়িক জগতের রানী, হে উপজাতির রাণী, হে বৈদিক পণ্ডিতের রানী, হে জ্ঞানের রানী, হে ভাগ্যের দেবীগণের রানী, হে ধৈর্যের রানী, হে বৃন্দাবনের রানী, সুখের বন, হে বৃজার রাণী, হে বৃরাজের সম্রাজ্ঞী, হে শ্রী রাধিকা, আপনি শ্রদ্ধার পাত্র!

राकायां सिताष्टम्यां दशम्यां विशुद्धधीः

एकादश्यां त्रयोदश्यां यः पठेत्साधकः सुधीः ॥१४॥

 

यं यं कामयते कामं तं तमाप्नोति साधकः

राधाकृपाकटाक्षेण भक्तिःस्यात् प्रेमलक्षणा ॥१५॥

অনুবাদ: শুদ্ধ বুদ্ধি সম্পন্ন কোনও সাধক পূর্ণ চন্দ্র দিবসে, উজ্জ্বল অষ্টমী, দশমী, একাদশী এবং ত্রয়োদশী নামে পরিচিত চন্দ্র দিবসে স্থির মন দিয়ে এই স্তবটি আবৃত্তি করেন, তবে তার প্রত্যেকে তার প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করবে , একটার পর একটা. এবং শ্রী রাধার করুণাময় একচেটিয়া দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা তিনি এমন একনিষ্ঠ ভক্তির সেবা পাবেন যা ইশ্বরের খাঁটি, পরম ভালবাসায় নিমগ্ন হওয়ার বিশেষ লক্ষণ রয়েছে (প্রেমা)।

ऊरुदघ्ने नाभिदघ्ने हृद्दघ्ने कण्ठदघ्नके

राधाकुण्डजले स्थिता यः पठेत् साधकः शतम् ॥१६॥

 

तस्य सर्वार्थ सिद्धिः स्याद् वाक्सामर्थ्यं तथा लभेत्

ऐश्वर्यं लभेत् साक्षाद्दृशा पश्यति राधिकाम् ॥१७॥

অনুবাদ: যে সাধক শ্রী রাধা-কুণ্ডের  তাঁর উরু, নাভি, বুক, বা ঘাড় পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে ১০০ বার এই স্তব পাঠ করেন, তিনি ধর্ম, আর্থ, কাম, মোক্ষ এবং প্রেম মানব অস্তিত্বের পাঁচটি লক্ষ্যতে সম্পূর্ণ সিদ্ধি অর্জন করবেন। । তিনি এমন শক্তিও অর্জন করতে পারবেন যার দ্বারা তিনি যা বলেছিলেন তা সত্য হয়ে উঠবে। তিনি অতুলনীয় মহিমা অর্জনের কারণে খুব শক্তিশালী এবং কৌতুকময় হয়ে ওঠেন এবং তিনি শ্রী রাধিকাকে সামনা সামনি দেখতে পাবেন, এমনকি তাকে তাঁর বর্তমান চোখ দিয়েও দেখতে পাবেন।

 

श्रीमदूर्ध्वाम्नाये श्रीराधिकायाः कृपाकटाक्षस्तोत्रं( শ্রীমদউর্ধ্বোম্নয়ে শ্রীরাধিকায়কৃপাকটাক্ষস্ত্রোত)


ব্রহ্মসংহিতায় রাধা কৃষ্ণ থেকে ভিন্ন নয় কৃষ্ণের নিজরুপতয়া

ব্রহ্মসংহিতায় রাধা

  


আনন্দচিন্ময়রসপ্রতিভাবিতাভি-

স্তাভির্য এব নিজরুপতয়া কলাভি:।

গোলোক এব নিবসত্যখিলাত্মভূতো

গোবিন্দমাদিপুরুষং তহমং ভজামি।।৩৭



অম্বয়: য: আখিলাত্মভূত:(যিনি নিখিল প্রিয়বর্গের আত্মস্বরুপ) আনন্দচিন্ময়-রসপ্রতিভাবিতাভি: ( উজ্জ্বলনামক যে পরমপ্রেমময়রস তাহার দ্বারা জাতা) নিজরুপতয়া এব(স্বকীয়াভাবেই বর্তমানা হ্লাদিনীশক্তিরুপা শ্রীমতি রাধা) তাভি: কলাভি: (এবং শ্রীমতীর কায়ব্যূহরুপ সগিণের সহিত) গোলোকে এব(গোলোক ধামেই) নিবসতি(বাস করেন), তম্ (সেই) আদিপুরুষং(আদিপুরুষ) গোবিন্দম্ (গোবিন্দকে) অহং(আমি) ভজামি(ভজনা করিতেছি)।৫/৩৭।



অনুবাদ: আনন্দচিন্ময়রস কতৃক প্রতিভাবিতা, স্বীয় চিদ্রুপের অনুরুপা চতু:ষষ্টি-কলাযুক্তা হ্লাদিনী-শক্তিরুপা রাধা ও তৎকায়ব্যূহরুপা সখীবর্গের সহিত যে আখিলাত্ম্ভূত গোবিন্দ নিত্য স্বীয় গোলোকধামে বাস করেন, সেই আদিপুরুষকে আমি ভজনা করি।



তাৎপর্য: শক্তি ও শক্তিমান্ একাত্মা হইয়াও হ্লাদিনীশক্তিকতৃক রাধা ও ‍কৃষ্ণরুপে পৃথক্ পৃথক্ হইয়া নিত্য অবস্থান করেন।







 

Monday, July 27, 2020

গীতায় কি সত্যিই রাধার অস্তিত্ত্ব নাই? আছে তবে প্রকট ভাবে নয় প্রচ্ছন্নভাবে।

গীতার রাধা:


  


১৮টি যোগ ও মাহত্ম্যের সমস্টির গীতায় চতুর্বিদ ভক্তির ব্যাক্ষায় গীতা শাস্ত্রী জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ব্রজ গোপীদের ভক্তিকে নিস্কাম ভক্তি বলিয়াছেন।


চতুর্ব্বিধা ভজন্তে মাং জনাঃ সুকৃতিনোহর্জ্জুন।
আর্ত্তো জিজ্ঞাসুরর্থার্থী জ্ঞানী ভরতর্ষভ।।৭/১৬

অনুবাদ: হে ভরতর্ষভ, হে অর্জ্জুন, যে সকল সুকৃতিশালী ব্যক্তি আমাকে ভজনা করেন, তাহারা চতুর্ব্বিধআর্ত্ত, জিজ্ঞাসু, অর্থাথী এবং জ্ঞানী। চতুর্ব্বিধ ভক্তপূর্ব্ব শ্লোকে যাহারা ভগবদ্বহির্ম্মূখ, পাষণ্ডী, তাহাদিগের কথা বলা হইয়াছে। এই শ্লোকে যে সুকৃতিশালী ব্যক্তিগণ ভগবানে ভক্তিমান্তাঁহাদিগের কথা বলা হইল। ইহারা চতুর্ব্বিধ – () আর্ত্তরোগাদিতে ক্লিষ্ট অথবা অন্যরূপে বিপন্ন; যেমনকুরুসভায় দ্রৌপদী। () জিজ্ঞাসুঅর্থাৎ আত্মজ্ঞান লাভেচ্ছু; যেমন মুকুন্দ, রাজর্ষি জনক ইত্যাদি। () অর্থার্থীইহকালে বা পরলোকে ভোগ-সুখ লাভার্থ যাঁহারা ভজনা করেন; যেমনসুগ্রীব, বিভীষণ, উপমন্যু, ধ্রুব ইত্যাদি। () জ্ঞানীতত্ত্বদর্শী, শ্রীভগবান্কে তত্ত্বতঃ যাঁহারা জানিয়াছেন- যেমন, প্রহ্লাদ, শুক, সনক ইত্যাদি। ইহাদিগের মধ্যে প্রথম তিন প্রকার ভক্ত সকাম। ব্রজগোপিকাদি নিস্কাম প্রেমিক ভক্ত।

  

                       




সবথেকে আলোচিত সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যয়ের গীতা ভাষ্যর গীতা মাহাত্ম্যতে রাধা রয়েছে
           



      
    


বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যয়ের রাধাকে অস্বীকার করা হয়েছে এমন অভিযোগকারিদের প্রমান্য হিসাবে ব্যবহার করা   কৃষ্ণচরিত্র বইটি নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। কৃষ্ণ চরিত্র বইটি আসলে কিশোর-কিশোরিদের জন্য সর্বস্তরের জন্য নহে।


    



 
 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যয় একসময় গীতার শ্লোকও বদলিয়ে দিয়েছিলেন
 
     


মুলশ্লোকে ধর্ম্ম-সংরক্ষণার্থায় নয় সংস্থাপনায় রয়েছে। সংস্থাপনায় নিয়ে কয়েকজনের মতামত দেওয়া হলো।

শাঙ্করভাষ্য। - ধর্ম্মসংস্থাপনায় সম্যক্ স্থাপনং তদর্থং সম্ভবামি যুগে যুগে প্রতিযুগম্ ।।

স্বামীকৃত টিকা।– এবং ধর্ম্মসংস্থাপনাথায় সাধুরক্ষণেন দুষ্টবধেন চ ধর্ম্মং স্থিরীকর্ত্তং যুগে যুগে তত্তদবসরে সম্ভবামীত্যর্থ:।

মধুসূসনসরস্বতীকৃত টীকা।– ধর্ম্মসংস্থাপনার্থায় ধর্ম্মস্য সম্যধর্ম্মনিবারণেন স্থাপনং বেদমার্গপরিরক্ষণং ধর্ম্ম স্থাপনাম্।



        

বঙ্কিমচন্দ্রচট্টপাধ্যয় যখন কৃষ্ণচরিত্র বইটি লেখেন তখন উনি নাস্তিক ছিলেন। 





 বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যয় কতৃক কৃষ্ণের চরিত্র হিসাবে ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণকেউ স্বীকার


              


বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যয় তার কৃষ্ণচরিত্র বইয়ে রাধাকে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে তারই ধর্ম্মতত্ব বইয়ের একাদশ অধ্যায়ে বৈদিক ধর্মকে নিকৃষ্ঠ আর আধুনিক বৈষ্ণব ধর্মকে শ্রেষ্ঠ বলেছেন।


লিংক যুক্ত করা হলো যেনো কেনফিউজ না হন।

https://bn.wikisource.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE:%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC.djvu/%E0%A7%AD%E0%A7%AF?fbclid=IwAR3cuOy37s8snL02LgJRFuH8nBIFTaANg8J6lFeh63CAivkB_m1qjIS51mI

এখান থেকে বোঝা যায় বঙ্কিমচন্দ্রচট্টপাধ্যয় তার নাস্তিকতার আঙ্গিকে রাধাকে অস্বীকার করেছিলেন কিন্তু আস্তিকতায় আধুনিক বৈষ্ণব ধর্মকে শ্রেষ্ঠ অর্থাৎ রাধাকে স্বীকার করেছিলেন।

 
  মম যোনির্মহদ্ ব্রহ্ম তস্মিন্ গর্ভং দধাম্যহম্। 
  সম্ভবঃ সর্ব্বতভূতানাং ততো ভবতি ভারত।।৩

অনুবাদ: হে ভারত, প্রকৃতিই আমার গর্ভাধান-স্থান। আমি তাহাতে গর্ভাধান করি, তাহা হইতেই সর্ব্বভূতের উৎপত্তি হয়।


 সর্ব্বযোনিষু কৌন্তেয় মূর্ত্তয়ঃ সম্ভবন্তি যাঃ।
 তাসাং ব্রহ্ম মহদ্ যোনিরহং বীজপ্রদঃ পিতা।।৪

অনুবাদ: হে কৌন্তেয়, দেবমনুষ্যাদি বিভিন্ন যোনিতে যে সকল শরীর উৎপন্ন হয়, প্রকৃতি তাহাদের মাতৃস্থানীয়া এবং আমিই গর্ভাধানকর্ত্তা পিতা।

এই শ্লোক দুটি থেকে বোঝা যায় যে  এই গর্ভদানকারি পিতা কৃষ্ণ আর গর্ভ(প্রকৃতি) রাধা। 


কৃষ্ণ জামল তন্ত্রে রাধাই পরমব্রহ্ম এবং পুরুষরুপে শ্যামবিগ্রহথারিণী

কৃষ্ণ জামল তন্ত্র থেকে রাধার কয়েকটি ছবি দেওয়া হলো।

  
    



 শ্রী রাধা উবাচ
অহমেব পরংব্রহ্ম পুরুষঃ শ্যামবিগ্রহঃ।
অহং সা পরমাশক্তি শ্রীমৎত্রিপুরসুন্দরী।।
অহং তদ্ব্রহ্ম পরমং সূক্ষ্মং জ্যোতির্নিরঞ্জনম্।
অহমানন্দরূপাহস্মি কৃষ্ণহসৌ রসবিগ্রহঃ।
প্রেমস্বরূপা সা দেবী মহাত্রিপুরসুন্দরী।।
বিনা প্রেমরসো নাস্তি ন চানন্দো রসং বিনা।
প্রেমানন্দো রসশ্চৈব এক এব ন সংশয়ঃ।।






শ্রীরাধা বলিলেন
আমিই পরমব্রহ্ম এবং পুরুষ রূপে আমিই শ্যামবিগ্রহধারিণী। আমিই সেই পরমাশক্তি শ্রীমৎত্রিপুরসুন্দরী। সেই ব্রহ্ম রূপে আমি পরম সূক্ষ্ম, জ্যোতিস্বরূপ ও নিরঞ্জন। আমি আনন্দস্বরূপা ও শ্রীকৃষ্ণ রসস্বরূপ। ভগবতী মহাত্রিপুরসুন্দরী প্রেমস্বরূপা। প্রেম ভিন্ন রসের অস্তিত্ত্ব নেই, আনন্দও রস ভিন্ন হয়না। তাই প্রেম, আনন্দ ও রস একই বস্তু, এতে সন্দেহ নেই।
শ্রীকৃষ্ণযামল

Friday, July 24, 2020

নারদ পঞ্চরাত্রে রাধাই কৃষ্ণবল্লভা, কৃষ্ণসংযুক্তা এবং তার সহস্রনামে নীলাদেবী

নারদ পঞ্চরাত্রে রাধা




    Chiffon Red Lord Krishna Radha Poshak, Shree Radhika Designs | ID ...

দেবী রাধা পরা প্রোক্তা চতুর্ব্বর্গপ্রসাধিনী

ওঁ

শ্রীরাধা রাধিকা কৃষ্ণবল্লভা কৃষ্ণ সংযুতা।।১১।।

অনুবাদ:  এবং চতুর্বর্গ প্রসাধিনী রাধা পরমদেবতা কথিত হইয়াছেন। শ্রীরাধা, রাধিকা কৃষ্ণবল্লভা, কৃষ্ণসংযুতা।।১১।।

…………… শ্লোক নং ১১, পঞ্চম রাত্র, পঞ্চম অধ্যায়, নারদপঞ্চরাত্র।


বৃন্দাবনেশ্বরী কৃষ্ণপ্রিয়া মদনমোহনী।

শ্রীমতী কৃষ্ণকান্তা চ কৃষ্ণানন্দপ্রদায়িনী।।১২।।

অনুবাদ:  বৃন্দাবনেশ্বরী, কৃষ্ণপ্রিয়া, মদনমোহিনী, শ্রীমতী, কৃষ্ণকান্তা, কৃষ্ণানন্দ প্রদায়িনী।।১২।।

…………… শ্লোক নং ১২, পঞ্চম রাত্র, পঞ্চম অধ্যায়, নারদপঞ্চরাত্র।

     


সর্পিনী কেলিনী ক্ষেত্রবাসিনী জগদন্বয়া।

জটিলা কুটিলা নীলা নীলাম্বরধরা শুভা।।৯৪।।

অনুবাদ: সর্পিনী, কৌলিনী, ক্ষেত্রবাসিনী, জগন্বয়া, জটিলা, কুটিলা, নীলা, নীলাম্বরধরা, শুভা।।৯৪।।

…………… শ্লোক নং ৯৪, পঞ্চম রাত্র, পঞ্চম অধ্যায়, নারদপঞ্চরাত্র।

Thursday, July 9, 2020

আচার্য্যদের আরোধ্য কৃষ্ণের রাধা

আচার্য্যদের আরোধ্য রাধা:



 




আমাদের বিভিন্ন মতে মান্য আচার্য্যরা রাধা/রাধিকা/ বৃষভাদুহিতাকে কি মানতেন? যদি না মানতেন তাহলে তাদের বিরোচিত পান্ডুলিপিগুলিতে কিভাবে আসলো? নিচে ভ্রম কাটানোর জন্য জগৎগুরু সহ আচার্য্যদের রচিত অর্চনা থেকে তুলে ধরা হলো।




নিম্বাদিত্য/ নিম্বার্কাচার্য্য:

ধারন করা হয় নিম্বার্কাচার্য্য শঙ্করাচার্য্যের সমসাময়িক কিংবা তারও পুর্বের। তার বেদান্ত কামধেনু দশশ্লোকিতেঃ

অঙ্গে তু বামে বৃষভানুজম্ মুদা
বিরাজমানম্ অনুরুপ সৌভাগম্।
সখীসহস্রেহ পরিসেবিতাম্ সদা
স্মরেম্ দেবীম্ সকলেষ্টকামদাম।।



অনুবাদঃ পরমেশ্বরের শরীরের বামভাগে রাধা বিদ্যমান্ যিনি হর্ষসহকারে অধিষ্ঠিতা, স্বয়ং পরমেশ্বরের মতই সুন্দর; সহস্র গোপিনী যার সেবা করেন; আমরা সেই সর্বোচ্চ দেবীর ধ্যান করি, যিনি সকলের কামনা বাসনা পূরন করেন।৫।

এই দশশ্লোকির কমেন্টারিকে লঘুমঞ্জুসা  বলে। কিভাবে দশশ্লোকির এই শ্লোকটি বিবৃতি করেছেন শ্রী গিরিধর প্রপন্ন তার লঘুমঞ্জুসায় সেটা দেখে নেওয়া যাক,



শ্রী গিরিধর প্রপন্ন তার লঘুমঞ্জুসায় নিম্বাদিত্যের দশশ্লোকির ব্যাক্ষায় ঋক্ পরিশিষ্ঠ শ্রুতি, ব্রহ্মাণ্ড পুরান, গোপালতপানি উপনিষধ, পঞ্চরাত্র এর রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন।


বনমালী মিশ্র(মাধ্বাচার্য্য)

বনমালী মিশ্র তার গীতা (গীতা গুদার্থ চন্দ্রিকা) ভাষ্যের ১২অধ্যায়ের শুরুতে শ্রীমতি রাধা রানীর কীর্তন করেন।


क्रीडन्तं— খেলা, राधया— রাধা, सार्धं— সহিত, वन्दे— নমস্কার, श्रीनन्दनन्दनम्— নন্দ মহারাজের পুত্র.

অনুবাদ: " পরমেশ্বর কৃষ্ণকে প্রণিপাত, যিনি শ্রীমতি রাধা রানীর সহিত ক্রীড়া করছেন।




ভগবদপাদ কনক দাস তীর্থ(মাধ্বাচার্য্য):



ভগবদপাদ কনক দাস তীর্থ তার কীর্ত্তি যাদবারিয়া তে শ্রীমতি সহিত অন্য গোপীরা তাদের বিশেষত দেখাচ্ছেন উল্লেখ করেছেন।






হরিদাস আচার্য্য- শ্রীপাদ বিজয় দাস(তীর্থ)(মাধ্বাচার্য্য):


তিনি তার রাধিকা হৃদয়া অম্বুজা নিন্দাতে কীর্ত্তির (গীতা ১০/৩৪) একজন পল্লবী হিসাবে উল্লেখ করেছেন।




শঙ্করাচার্য্য:

মুরারিকায় শঙ্করাচার্য্যবিরোচিতম্ যমুনাস্টকম্ ১


জলান্তকেলিকারিচারুরাধিকাঙ্গরাগিণী
স্বভর্তুরন্যদুর্লভাঙ্গতাঙ্গতাংশভাগিনী।
স্বদত্তসুপ্তসপ্তসিন্ধুভেদিনাতিকোবিদা
ধুনোতু নো মনমলোং কলিন্দনন্দিনী সদা। ৬।





জলচ্যুতাচ্যুতাঙ্গরাগলম্পটালিশালিনী
বিলোলরাধিকাকচান্তচম্পকালিমালিনী।
সদাবগাহনাবতীর্ণভত্যৃভৃত্যনারদা
ধুনোতু নো মনমোলং কলিন্দনন্দিনী সদা।৭।





শঙ্করাচার্য্য বিরোচিত জগন্নাথাষ্টকম্


কদাচি ত্কালিংদী তটবিপিনসংগীতকপরো
মুদা গোপীনারী বদনকমলাস্বাদমধুপঃ
রমাশংভুব্রহ্মা মরপতিগণেশার্চিতপদো
জগন্নাথঃ স্বামী নযনপথগামী ভবতু মে ।১।


অনুবাদ: যিনি কোন সময়ে যমুনাতীরবিপিনে উৎকৃষ্ট সঙ্গীত করিয়াছিলেন, সানন্দে গোপীগণের মুখকমল আস্বাদ গ্রহণে যিনি মধুকর,যাহার চরণযুগল লক্ষ্মী,শিব, ব্রহ্মা, ইন্দ্র ও গণেশের দ্বারা অর্চ্চিত, সেই স্বামী জগন্নাথ যেন আমার নয়নপথে পথিক হয়েন।


ভুজে সব্যে বেণুং শিরসি শিখিপিংছং কটিতটে
দুকূলং নেত্রাংতে সহচর কটাক্ষং বিদধতে
সদা শ্রীমদ্বৃংদা বনবসতিলীলাপরিচযো
জগন্নাথঃ স্বামী নযনপথগামী ভবতু মে ।২।

অনুবাদ: যিনি বামহস্তে বেণু, মস্তকে ময়ূরপিচ্ছ, কটিতটে দুকূল এবং নয়নপ্রান্তে সহচরবর্গের প্রতি কটাক্ষ লইয়া আছেন, সর্ব্বদাই শ্রীমদবৃন্দাবনবাসলীলায় যাহার পরিচয়, সেই স্বামী জগন্নাথ যেন আমার নয়নপথে পথিক হয়েন।


মহাংভোধেস্তীরে কনকরুচিরে নীলশিখরে
বসন্প্রাসাদাংত -স্সহজবলভদ্রেণ বলিনা
সুভদ্রামধ্যস্থ স্সকলসুরসেবাবসরদো
জগন্নাথঃ স্বামী নযনপথগামী ভবতু মে ।৩।


অনুবাদ:যিনি মহাসাগরতীরে সুবর্ণমনোহর নীলাচলশিখরে বলশালী ভ্রাতা বলভদ্র সহ,মধ্যস্থলে সুভদ্রাকে রাখিয়া প্রাসাদের অভ্যন্তরে বাস করতঃ সকল দেবতার সেবা করিবার অবসর প্রদান করিতেছেন,সেই স্বামী জগন্নাথ যেন আমার নয়নপথে পথিক হয়েন।


কথাপারাবারা স্সজলজলদশ্রেণিরুচিরো
রমাবাণীসৌম স্সুরদমলপদ্মোদ্ভবমুখৈঃ
সুরেংদ্রৈ রারাধ্যঃ শ্রুতিগণশিখাগীতচরিতো
জগন্নাথঃ স্বামী নযনপথগামী ভবতু মে ।৪।


অনুবাদ: যিনি কৃপাসিন্ধু সজলদাবলি মনোহর এবং লক্ষ্মী,সরস্বতী, সোম এবং উজ্জ্বল নির্ম্মলমূর্ত্তী পদ্মযোনি প্রভৃতি দেবপ্রধানগণের আরাধ্য যাহার চরিত্র বেদান্তবর্ণিত,সেই স্বামী জগন্নাথ যেন আমার নয়নপথে পথিক হয়েন।


রথারূঢো গচ্ছ ন্পথি মিলঙতভূদেবপটলৈঃ
স্তুতিপ্রাদুর্ভাবং প্রতিপদ মুপাকর্ণ্য সদযঃ
দযাসিংধু র্ভানু স্সকলজগতা সিংধুসুতযা
জগন্নাথঃ স্বামী নযনপথগামী ভবতু মে ।৫।


অনুবাদ: যিনি রথারোহণে গমন করিবার সময় পথে সমবেত ব্রহ্মাণমন্ডলীর উচ্চারিত স্তোত্র প্রতিপদে শ্রবণ করিয়া সদয় হয়েন,অর্থ্যাৎ গমনবিঘ্ন বিধ্বস্ত করেন,সেই লক্ষ্মী সম্মিলিত দয়াসিন্ধু সর্বজগদ্বন্ধু স্বামী জগন্নাথ যেন আমার নয়নপথে পথিক হয়েন।


পরব্রহ্মাপীডঃ কুবলযদলোত্ফুল্লনযনো
নিবাসী নীলাদ্রৌ নিহিতচরণোনংতশিরসি
রসানংদো রাধা সরসবপুরালিংগনসুখো
জগন্নাথঃ স্বামী নযনপথগামী ভবতু মে ।৬।


অনুবাদ: যে পরাৎপর, বর্হাপীড় অর্থ্যাৎ শেখররূপে মূয়রপিচ্ছকে ধারণ করেন,যাহার আনন্দোৎফুল্ল নয়ন পদ্মপলাশসদৃশ,যাহার নিবাস নীলাচলে, এবং চরণযুগল অনন্তমস্তকে স্থাপিত,যিনি রস ও আনন্দস্বরূপ, রাধিকা সরস দেহ আলিঙ্গনেই যাহার সুখ, সেই স্বামী জগন্নাথ যেন আমার নয়নপথে পথিক হয়েন।



ন বৈ প্রার্থ্যং রাজ্যং ন চ কনকিতাং ভোগবিভবং
ন যাচে2 হং রম্যাং নিখিলজনকাম্যাং বরবধূং
সদা কালে কালে প্রমথপতিনা চীতচরিতো
জগন্নাথঃ স্বামী নযনপথগামী ভবতু মে ।৭।


অনুবাদ: রাজ্য আমার প্রার্থনীয় নহে, সুবর্ণময় ভোগ্য বৈভবও প্রার্থনীয় নহে,আমি নিখিলজনস্পৃহণীয়া রমণীর বরস্ত্রীও যাজ্ঞা করি না, শিবগীতচরিত স্বামী জগন্নাথ যেন আমার নয়নপথে পথিক হয়েন ইহাই সদা যাজ্ঞা করি।



হর ত্বং সংসারং দ্রুততর মসারং সুরপতে
হর ত্বং পাপানাং বিততি মপরাং যাদবপতে
অহো দীনানাথং নিহিত মচলং নিশ্চিতপদং
জগন্নাথঃ স্বামী নযনপথগামী ভবতু মে ।৮।

অনুবাদ: হে দেবপ্রধান! অসার সংসার দ্রুত হরণ কর,হে যাদবপতে! পাপরাশি অত্যধিক হইলেও তাহা হরণ কর, আহা! আত্মসমর্পিত দীন ও অনাথ জনকে সতত রক্ষা করিবার জন্য অচল ভাবে স্থিত,সেই স্বামী জগন্নাথ যেন আমার নয়ন পথের পথিক হয়েন।

উড়িয়া ভাষায় বিরোচিত শঙ্করাচার্য্যর জগন্নাথ অস্টকাম


শঙ্করাচার্য্য কতৃক অচ্যুতাস্টকম্ কেশবম


अच्युतं केशवं रामनारायणं कृष्णदामोदरं वासुदेवं हरिम् ।
श्रीधरं माधवं गोपिकावल्लभं जानकीनायकं रामचंद्रं भजे ॥১।।


अच्युतं केशवं सत्यभामाधवं माधवं श्रीधरं राधिकाराधितम् ।
इन्दिरामन्दिरं चेतसा सुन्दरं देवकीनन्दनं नन्दजं सन्दधे ॥२॥

विष्णवे जिष्णवे शाङ्खिने चक्रिणे रुक्मिणिरागिणे जानकीजानये ।
बल्लवीवल्लभायार्चितायात्मने कंसविध्वंसिने वंशिने ते नमः ॥३॥

कृष्ण गोविन्द हे राम नारायण श्रीपते वासुदेवाजित श्रीनिधे ।
अच्युतानन्त हे माधवाधोक्षज द्वारकानायक द्रौपदीरक्षक ॥४॥


राक्षसक्षोभितः सीतया शोभितो दण्डकारण्यभूपुण्यताकारणः ।
लक्ष्मणेनान्वितो वानरौः सेवितो_ ऽगस्तसम्पूजितो राघव पातु माम् ॥५॥

धेनुकारिष्टकानिष्टकृद्द्वेषिहा केशिहा कंसहृद्वंशिकावादकः ।
पूतनाकोपकःसूरजाखेलनो बालगोपालकः पातु मां सर्वदा ॥६॥

विद्युदुद्योतवत्प्रस्फुरद्वाससं प्रावृडम्भोदवत्प्रोल्लसद्विग्रहम् ।
वन्यया मालया शोभितोरःस्थलं लोहिताङ्घ्रिद्वयं वारिजाक्षं भजे ॥७॥

कुञ्चितैः कुन्तलैर्भ्राजमानाननं रत्नमौलिं लसत्कुण्डलं गण्डयोः ।
हारकेयूरकं कङ्कणप्रोज्ज्वलं किङ्किणीमञ्जुलं श्यामलं तं भजे ॥८॥

अच्युतस्याष्टकं यः पठेदिष्टदं प्रेमतः प्रत्यहं पूरुषः सस्पृहम् ।
वृत्ततः सुन्दरं कर्तृविश्वम्भरस्तस्य वश्यो हरिर्जायते सत्वरम् ॥९॥



রুদ্র সম্প্রদায়: 

পুরুষোত্তম সহস্রনাম স্ত্রোত্রতে রাধিকা:



কৃষ্ণভাবব্যপ্তবিশ্বগোপীভাবিতবেষধৃক্
রাধাবিশেষসম্ভোগপ্রাপ্তদোষনিবারক।।


অনুবাদ: কৃষ্ণ সেই ঈশ্বর যে বিশেষ ফর্মে গোপীদের ঋদয়ে প্রকাশ পান। যাদের ভাবনায় তার থেকে পার্থক্য রয়েছে, পুরো পৃথিবী যার চিন্তা চেতনা। কৃষ্ণ সেই ঈশ্বর যিনি রাধা রানীর মুল্যকে দুরে রেখেছেন আবার নির্দিষ্ট স্থানে মিলন হয়েছে যেমন রাসলীলা।




শ্রী হিত হরিবংশ মহাপ্রভু:

(राग सारंग)

वन की लीला लालहिं भावै

पत्र प्रसून बीच प्रतिबिंबहिं नख सिख प्रिया जनावै ।। ১।।

অনুবাদ: বনের লীলাগুলি লালের কাছে খুব আকর্ষণীয় [শ্রী কৃষ্ণ], সেজন্য তিনি শ্রী প্রিয়জির [রাধা] প্রতিফলন দেখেন, মাথা থেকে পা পর্যন্ত, বনের পাতা এবং ফুলে।


सकुच सकत प्रकट परिरंभन अलि लंपट दुरि धावै

संभ्रम देति कुलकि कल कामिनि रति रन कलह मचावै ।। ২।।

অনুবাদ: সেই পাতা ও ফুলের উপর শ্রী প্রিয়াজীর প্রতিফলন দেখার পরেও দ্বিধার কারণে তিনি তাদের আলিঙ্গন করতে পারেননি, তাই তিনি লোভী মৌমাছির রূপ ধারণ করেন এবং আলিঙ্গনের জন্য দৌড়ান। কিন্তু সুন্দরী শ্রী রাধা আবার খেলাচ্ছলে ডেকে তাঁকে ভ্রমে ফেলে দেন এবং প্রেমের যুদ্ধে ক্রমাগত বিপর্যয় সৃষ্টি করেন।


उलटी सबै समझि नैंननि में अंजन रेख बनावै

(जै श्री) हित हरिवंश प्रीति रीति बस सजनी स्याम कहावै ।। ৩।।

অনুবাদ: শ্রী হরিবংশ মহাপ্রভু বলেন, আজ শ্রী শ্যামসুন্দরের [কৃষ্ণ] চোখ শ্রী প্রিয়াজীর রূপকে চিনতে তাঁকে অনেক প্রতারিত করছে কারণ সবকিছু বিপরীত ভাবে পরিণত হয়েছে, তাই তিনি তাঁর চোখে কলিরিয়ামের একটি লাইন প্রয়োগ করেন। শ্রী প্রিয়াজীর প্রেমে দাস ত্বরাক্রান্ত হয়ে এখন তাঁকে 'সজনী শ্যাম' [সখি শ্যাম] বলা হয়।




নীলকণ্ঠ চতুর্ধর:

মহাভারতের ১লক্ষ শ্লোকের  ভাষ্যকর লীলকণ্ঠ তার ঋগ্বেদ ভাষ্যে রাধার উল্লেখ করেছেন।


অতারিষূর্ভরতা গব্যব: সমভক্ত বিপ্র: সুমতিং নদীনাম।
প্র পিগ্বধ্বমিষয়ন্তী  সু রাধা আ বক্ষণা: পৃণধ্বং যাত শীভম্।।



অনুবাদ: বিশ্বামিত্র গোপীদেরকে বলছেন: “ কৃষ্ণ সকল ভক্তি ধর্মের পুষ্টি । গোপালরা জন্ম-মৃত্যুর সাগর পার হয় তার কারনে। সে সকল ব্রহ্মা সহ ইত্যাদিদের প্রধান আরোধ্য। সে সকল ভক্তদের আলোকিত করে ও জ্ঞান দান করেন।  সুন্দরী রাধার(গোপীদের নেত্রী) সহিত সকল গোপী যুবতী  তার সঙ্গ পায় সর্বদা।
................... ঋগ্বেদ ৩/৩৩/১২ (নীলকণ্ঠ ভাষ্য)




বল্লভ সম্প্রদায়:


চৈতন্যদেবেরও আগে পুষ্টিমার্গ-এর সংস্থাপক বল্লভাচার্য রাধার পূজা করতেন, যেখানে কতিপয় সম্প্রদায়ের মতে, ভক্তের পরিচয় মূলত রাধার সহচরী (সখী) রূপে ঘটে যারা রাধাকৃষ্ণের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের আয়োজনের জন্য বিশেষ অধিকার প্রাপ্ত হন।



      

             গোপিনীদের সঙ্গে কৃষ্ণ - স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউশনের চিত্র


বল্লভাচার্য্য কতৃক বিরোচিত যুগোলষ্টকম:


कृष्ण प्रेममयी राधा राधा प्रेममयो हरिः । 
जीवनेन धने नित्यं राधाकृष्ण गतिर्मम ॥ 1 ॥

श्री राधा श्री कृष्ण प्रेममयी हैं, एवं श्री राधा प्रेममय श्री कृष्ण हैं । मेरे जीवन का सम्पूर्ण नित्य धन एवं गति युगल सरकार श्री राधा कृष्ण हैं ।

कृष्णस्य द्रविणं राधा राधायाः द्रविणं हरिः । 
जीवनेन धने नित्यं राधाकृष्ण गतिर्मम ॥ 2 ॥

श्री कृष्ण का जीवन धन राधा हैं, एवं श्री राधा का जीवन धन श्री कृष्ण हैं । मेरे जीवन का सम्पूर्ण नित्य धन एवं गति युगल सरकार श्री राधा कृष्ण हैं ।

कृष्ण प्राणमयी राधा राधा प्राणमयो हरिः । 
जीवनेन धने नित्यं राधाकृष्ण गतिर्मम ॥ 3 ॥

श्री कृष्ण की प्राण श्री राधा हैं, एवं श्री राधा का प्राण श्री कृष्ण हैं । मेरे जीवन का सम्पूर्ण नित्य धन एवं गति युगल सरकार श्री राधा कृष्ण हैं ।

कृष्ण द्रवामयी राधा राधा द्रवामयो हरिः । 
जीवनेन धने नित्यं राधाकृष्ण गतिर्मम ॥ 4 ॥

श्री राधा श्री कृष्ण के रस में डूबी हुई हैं, एवं श्री कृष्ण श्री राधा के रस में डूबे हुए हैं । मेरे जीवन का सम्पूर्ण नित्य धन एवं गति युगल सरकार श्री राधा कृष्ण हैं ।

कृष्णगेहे स्थितां राधा राधागेहे स्थितो हरिः । 
जीवनेन धने नित्यं राधाकृष्ण गतिर्मम ॥ 5 ॥

श्री कृष्ण नित्य ही श्री राधा के संग में स्थित हैं, एवं श्री राधा नित्य ही श्री कृष्ण के संग में स्थित हैं । मेरे जीवन का सम्पूर्ण नित्य धन एवं गति युगल सरकार श्री राधा कृष्ण हैं ।

कृष्णचित्त स्थितां राधा राधाचित्त स्थितो हरिः । 
जीवनेन धने नित्यं राधाकृष्ण गतिर्मम ॥ 6 ॥

श्री राधा श्री कृष्ण के नित्य ही चित्त में रहती हैं, एवं श्री राधा के नित्य ही चित्त में श्री कृष्ण रहते हैं। मेरे जीवन का सम्पूर्ण नित्य धन एवं गति युगल सरकार श्री राधा कृष्ण हैं ।

नीलाम्बर धरा राधा पीताम्बर धरो हरिः । 
जीवनेन धने नित्यं राधाकृष्ण गतिर्मम ॥ 7 ॥

श्री राधा नीलांबर धारण करती हैं एवं श्री कृष्ण पीताम्बर धारण करते हैं । मेरे जीवन का सम्पूर्ण नित्य धन एवं गति युगल सरकार श्री राधा कृष्ण हैं ।

वृन्दावनेश्वरी राधा कृष्णो वृन्दावने
श्वरः । 
जीवनेन धने नित्यं राधाकृष्ण गतिर्मम ॥ 8 ॥
श्री राधा वृन्दावनेश्वरी हैं, एवं श्री कृष्ण वृन्दावनेश्वर हैं । मेरे जीवन का सम्पूर्ण नित्य धन एवं गति युगल सरकार श्री राधा कृष्ण हैं ।

শ্রীরঘুনাথ দাস গোস্বামি

শ্রীরঘুনাথদাসগোস্বামিবিরচিতস্তবাবল্যাং শ্রীরাধিকাষ্টকং



রস-বলিত-মৃগাক্ষী মৌলিমাণিক্যলক্ষ্মীঃ
প্রমুদিতমুরবৈরিপ্রেমবাপীমরালী ।
ব্রজবর
বৃষভানোঃ পুণ্যগীর্বাণবল্লী
স্নপয়তু নিজদাস্যে
রাধিকা মাং কদা নু ॥ ১।।

স্ফুরদরুণদুকূলদ্যোতিতোদ্যন্নিতম্ব-
স্থলমভিবরকাঞ্চীলাস্যমুল্লাসয়ন্তী ।
কুচকলশবিলাসস্ফীতমুক্তাসরঃশ্রীঃ
স্নপয়তু নিজদাস্যে
রাধিকা মাং কদা নু ॥ ২॥

সরসিজবরগর্ভাখর্বকান্তঃ সমুদ্যত্-
তরুণিমঘনসারাশ্লিষ্টকৈশোরসীধুঃ ।
দরবিকসিতহাস্যস্যন্দবিম্বাধরাগ্রা
স্নপয়তু নিজদাস্যে
রাধিকা মাং কদা নু ॥ ৩॥

অতিচটুলতরং তং কাননান্তর্মিলন্তং
ব্রজনৃপতিকুমারং বীক্ষ্য শঙ্কাকুলাক্ষী ।
মধুরমধুবচোভিঃ সংস্তুতা নেত্রভঙ্গয়া
স্নপয়তু নিজদাস্যে
রাধিকা মাং কদা নু ॥ ৪॥

ব্রজকুলমহিলানাং প্রাণভূতাঽখিলানাং
পশুপপতিগৃহিণ্যাঃ কৃষ্ণবত্প্রেমপাত্রম্ ।
সুললিতললিতান্তঃ স্নেহফুল্লান্তরাত্মা
স্নপয়তু নিজদাস্যে
রাধিকা মাং কদা নু ॥ ৫॥

নিরবধি সবিশাখা শাখিয়ূথপ্রসূনৈঃ
স্রজমিহ রজয়ন্তী বৈজয়ন্তীং বনান্তে ।
অঘবিজয়বরোরঃ প্রেয়সী শ্রেয়সী সা
স্নপয়তু নিজদাস্যে
রাধিকা মাং কদা নু ॥ ৬॥

প্রকটিতস্বনিবাসং স্নিগ্ধবেণুপ্রণাদৈঃ
দ্রুতগতিহরিমারাত্প্রাপ্য কুঞ্জে স্মিতাক্ষী ।
শ্রবণকুহরকণ্ডূং তন্বতী নম্রবক্ত্রা
স্নপয়তু নিজদাস্যে
রাধিকা মাং কদা নু ॥ ৭॥

অমলকমলরাজিস্পর্শবাতপ্রশীতে
নিজসরসি নিদাঘে সায়মুল্লাসিনীয়ম্ ।
পরিজনগণয়ুক্তা ক্রীডয়ন্তী বকারিং
স্নপয়তু নিজদাস্যে
রাধিকা মাং কদা নু ॥ ৮॥

পঠতি বিমলচেতাঃ মিষ্টরাধাষ্টকং য়ঃ
পরিহৃতনিখিলাশাসন্ততিঃ কাতরঃ সন্ ।
পশুপপতিকুমারঃ কম্রমামোদিতস্তং
নিজজনগণমধ্যে
রাধিকায়াস্তনোতি ॥ ৯॥

রঘুনাথ দাস গোস্বামী এই গানটি লিখেছিলেন “Rasa Valita Mrgaksi Mauli”। এই গানের অফিসিয়াল নাম রাধিকাস্টকাম

স্বামী নারায়ন সম্প্রদায়:

রাধাকৃষ্ণাস্টকাম্

नवीनजीमूतसमाना वर्णम, रत्नोल्लसत कुंडल सोभीकरणम; महाकिरीटाग्रमयूरपर्ण, श्री राधिकाकृष्णा महं नमामि (कोरस) .. 1


অনুবাদ: যার দৈহিক বর্ণটি অন্ধকার বর্ষার মেঘের মতো, যার কানের দুল বিছানাতে বিভিন্ন রত্ন এবং হিরে সজ্জিত;

যিনি তাঁর শিরস্ত্রাণের সামনে ময়ূর পালকের সাথে সজ্জিত, শ্রী হলেন লক্ষ্মী, তাই আমি লক্ষ্মীজীর সাথে শ্রী রাধাকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি


निधाय पाणीद्वितीयेन वेणुं, निजाधरे शेखरयातरेणुम; निनादयन्तं च गतौ करेणुम, श्री राधिकाकृष्णमहं नमामि .. 2


অনুবাদ: তাঁর পাগড়িটি বিভিন্ন সুন্দর ফুলের সাথে সজ্জিত, যার সুগন্ধযুক্ত পরাগটি বাঁশিকে তার সুবাস বর্ষণ করে বাঁশির উপর পড়ছে। আমি শ্রীকৃষ্ণের সাথে রাধিকা ও লক্ষ্মীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা তাঁর এক হাত দিয়ে তাঁর ঠোঁটে সুগন্ধী বাঁশিটি ধরে আছেন এবং অন্যটি দিয়ে এটি খুব মিষ্টি নাটক করে।


विशुद्धहेमोज्जवलपित्तवस्त्रम हतारियूथं च विनापि शस्त्रं; व्यर्थीकृतानेकसुरद्विडस्त्रं, श्री राधिकाकृष्णमहं नमामि .. 3


অনুবাদ: তিনি উজ্জ্বল হলুদ রঙের কাপড় পরেছেন যা খাঁটি সোনার মতো প্রসন্ন, তিনি যিনি কোনও অস্ত্র ব্যবহার না করেই অনেক ভূতকে ধ্বংস করছেন; যিনি তাঁর শত্রুদের দ্বারা ব্যবহৃত সমস্ত অস্ত্র ও কৌশল ব্যর্থ করেছেন, আমি লক্ষ্মীজীর সাথে শ্রী রাধাকৃষ্ণকে আমার শ্রদ্ধা নিবেদন করি।


अधर्मतीश्यारदिनसाधुपालं, सद्धर्मवैरासुरसंघकालं; पुष्पादिमालं व्रजराजबालं, श्री राधिकाकृष्णमहं नमामि .. 4


অনুবাদ: তিনি যে সকল সাধু লোকের অযৌক্তিকতা দ্বারা হয়রানির শিকার হন তিনিই সেই রক্ষক, তিনিই সেই ব্যক্তি, যাঁরা নির্ধারিত ভাগবত ধর্ম অনুসরণ করেন না তাদের জন্য মৃত্যুবরণ করেন। যিনি বিভিন্ন ফুলের মালা দ্বারা সজ্জিত, এবং যিনি ব্রজের রাজার পুত্র, তিনি নন্দ মহারাজ, আমি লক্ষ্মীজীর সাথে শ্রী রাধাকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। 


गोपीप्रियारंम्भितरासखेलं, रासेश्वरीरंजनकृतप्रहेलम; स्कन्धोंल्लस सतकुंकुंम चिन्ह चेलं, श्री राधिकाकृष्णा महं नमामि .. 5


অনুবাদ:যিনি তাঁর প্রিয় ভক্তদের - গোপীদের সাথে রাস নাচ খেলছেন, তিনি রাস নাচের ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ ভক্তদের সন্তুষ্ট করার জন্য তিনি এই রাস নাচ খেলছেন; তিনি তাঁর কাঁধে, কুমকুম (লাল গুঁড়ো) চিহ্ন দিয়ে সজ্জিত একটি কাপড় পরেছেন, আমি লক্ষ্মীজীর সাথে শ্রী রাধাকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।


वृन्दावने प्रीततया वसन्तं, निजाश्रितानापद ऊद्धरन्तं; गोगोपगोपीरभिनंदयन्तं, श्री राधिकाकृष्णा महं नमामि .. 6


অনুবাদ: যিনি প্রচণ্ড ভালবাসায় বৃন্দাবনে বসবাস করছেন, তিনিই তাঁর পদ্মফুটকে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণকারী সকলের চূড়ান্ত রক্ষক (সকল পরিস্থিতিতে); তিনি যে বৃক্ষের গরু, কাপুরুষ পুরুষ এবং মহিলাকে অদৃশ্য আনন্দ দিচ্ছেন, আমি লক্ষ্মীজীর সাথে শ্রী রাধাকৃষ্ণকে আমার শ্রদ্ধা নিবেদন করি।


विष्वद्विषण्ममथदर्पहारं, संसारिजीवांश्रयणीयसंसारम; सदैव सत्पुरुसौख्यकारं, श्री राधिकाकृष्णा महं नमामि .. 7


অনুবাদ: যিনি প্রচণ্ড ভালবাসায় বৃন্দাবনে বসবাস করছেন, তিনিই তাঁর পদ্মফুটকে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণকারী সকলের চূড়ান্ত রক্ষক (সকল পরিস্থিতিতে); তিনি যে বৃক্ষের গরু, কাপুরুষ পুরুষ এবং মহিলাকে অদৃশ্য আনন্দ দিচ্ছেন, আমি লক্ষ্মীজীর সাথে শ্রী রাধাকৃষ্ণকে আমার শ্রদ্ধা নিবেদন করি।


आनन्दितात्मव्रजवासितोकं, नंदादिसंदर्शितदिव्यलोकं; विनासितस्वांश्रीतजिवशोकं, श्री राधिकाकृष्णा महं नमामि .. 8


অনুবাদ: যিনি সর্বদা তাঁর স্বীয় অনুরাগের দ্বারা বৃজার বাসিন্দাদের আনন্দ দিচ্ছেন, তিনি যিনি করুণাময় তাঁর ধামকে (আবাসে) নন্দ ও অন্যান্য ভক্তদের দেখান; যে জীবন্ত সত্তার দুঃখকে হ্রাস করে তিনি তাঁর পদ্মের পায়ের কাছে সমর্পণ করেছিলেন, আমি লক্ষ্মীজীর সাথে শ্রী রাধাকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।



স্বামী নারায়ন কতৃক শিক্ষাপত্রীতে শ্লোক:


वामे यस्य स्थिता राधा श्रीश्च यस्यास्ति वक्षसि

वृन्दावनविहारं तं श्रीकृष्णं हृदि चिन्तये 1


অনুবাদ: আমি বৃন্দাবন বিহারী দিব্য কৃষ্ণকে ধ্যাণ করি যার বাম পার্শ্বে রাধা অবস্থিত ও হৃদয়ে লহ্মী অবস্থিত।



শ্রী বৈষ্ণব সম্প্রদায়: 


বৈকুন্ঠের রমা(লহ্মী)ই গকুলের রাধা।



........ শ্রী বেদান্ত দেশিকা (শ্রী যাদব অভ্যুদয়) ১০/৭১


বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী বৈষ্ণবগণ


    File:Rasa Lila in Manipuri dance style.jpg


রাজা গরীব নিবাজ ১৭০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৭৪৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেন এবং তিনি চৈতন্য পরম্পরার বৈষ্ণবশাখায় দীক্ষাগ্রহণ করেন, যারা কৃষ্ণের পূজা সর্বোচ্চ ঈশ্বর স্বয়ং ভগবান রূপে করে থাকে তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে এই ধর্মের অভ্যাস করেছিলেন প্রচারক তীর্থযাত্রীদের আগমন বিপুল সংখ্যায় ঘটতে থাকে এবং আসামের সাথে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় মণিপুরী বৈষ্ণবগণ কৃষ্ণের পূজা আলাদাভাবে করেন না, বরং রাধা-কৃষ্ণকে একত্রে আরাধনা করেন বৈষ্ণব মতের প্রসারের সঙ্গে রাধা কৃষ্ণের পূজা মণিপুরে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে সেখানকার প্রতিটি গ্রামে একটি ঠাকুর-ঘাট একটি মন্দির বিদ্যমান।। রাস অন্যান্য নৃত্য প্রায়শই আঞ্চলিক লোক ধার্মিক পরম্পরার এক বিশেষত্ব, উদাহরণস্বরূপ, একজন মহিলা নর্তকী একই নাটিকায় কৃষ্ণ তার সহচরী রাধা, উভয়ের চরিত্রেই অভিনয় করেন